Posts

Showing posts from September, 2019

দেবাশিস তেওয়ারীর কবিতা

Image
সংক্ষিপ্ত জীবনী ----------------------- জন্ম১৪ ই জানুয়ারি ১৯৮২. ২০০২ সালে দেশ পত্রিকার শারদ সংখ্যায় কবিতা প্রকাশের মধ্যে দিয়ে বৃহত্তর পাঠক সমাজে পরিচিতি।আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে নিয়মিত কবিতা পাঠে অংশ নেন।এ যাবৎ কবির প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৬।  শেষেরটি প্রকাশ করেছে আনন্দ পাবলিশার্স। দেশ,আনন্দবাজার,বর্তমান,শিলাদিত্য,নন্দন,প্রসাদ,কবিতা পাক্ষিক থেকে শুরু করে অজস্র কাগজে নিয়মিত লেখালেখি করেন।কবি পছন্দ করেন প্রচুর পড়াশোনা করতে,ও প্রচুর হাঁটতে।পেশাঃ গভঃ হাইস্কুলের শিক্ষক(বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ) রোমান্টিক কবি দেবাশিস তেওয়ারী  কবিতার মধ্যে এক মায়াবী জগত তৈরি  করেন যা পাঠককে কিছুটা হলেও আবিষ্ট করতে পারে । আজ রইল কবির চারটি কবিতা 1: চাঁদ মানে আসমানি কিতাব স্তবকের পর স্তবক সাজিয়ে চাঁদকে ধরবার কথা যত ভাবি,বিষাদ সন্ধ্যায় এলোমেলো হাওয়া ওঠে।নির্দ্ধিধায় সমস্যার ব্যাকরণ ভেঙে সমাসক্তি অলংকার জাগিয়ে প্রদীপ শিয়রে রাখি।ভাঙা কুঁড়েঘর থেকে জোছনার চাল এসে ভাসায় বিছানা।আমাকে ভ্যাঙায় কত নিবু নিবু দু'হাতের ফালি।সমষ্টির উপমা ছাড়িয়ে, দাম্পত্যের বেড়াজাল ঠেলে এক একটি স্তবক যেন ভাঙাচোরা মই, ফেঁড়ে উর

সোমিনা ইয়াসমিনের কবিতা

Image
সোমিনা ইয়াসমিন তরুণ প্রজন্মের এক কবি ।  মুর্শিদাবাদ শহরে বেড়ে ওঠা এবং পড়াশোনা । ধ্রুপদী  ঘরানার মধ্যে তাঁর অনুভূতির বিষাদ কথনগুলোই হয়ে ওঠে কবিতার ভাষা । তাঁর শব্দ চয়ন জুড়ে থাকে অদ্ভুত এক বৈভব । বিষাদ কথনের মধ্য ফুটে ওঠে হার না মানা এক দৃঢ় প্রতিবাদী মন । সমাজ  এবং জীবন সম্পর্কে আত্মকথনের এবং প্রতিবাদের কিছু অংশ নিয়ে আজ রইল কবির চারটি কবিতা 1: মন-দালান এ মনে ততখানি আগুন নেই যতখানি উত্তাপে স্মৃতিরা পুড়ে যায়। এ মনে ততখানি ঘৃণা উদবৃত্ত নেই, যতখানি ঘৃণা অপমানকে ছাপিয়ে যায়। এ মনে ততখানি প্রতিশোধ স্পৃহা নেই, যতখানি সলতে করে তোমার সুখদালান ঝলসে দেবে। এ মনে ততখানি সুখ নেই যতখানি সুখ তোমায় ভুলতে দেবে। জেনে রেখো অভিরাজ, আমাদের অতীত বর্তমানে,বর্তমান ভবিষ্যতে আর ভবিষ্যৎ অতীতের সরল রেখায় দাঁড়িয়ে। 2:  অবদমিত যন্ত্রণারা অব্যক্ত অনুভূতি জমা হতে হতে মেয়াদত্তীর্ণকালে ককিয়ে ওঠে স্নায়ুর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জালিকায় মাঝেমধ্যেই শোনা যায় মুখোমুখি যুদ্ধের শ্লোগান, সিটিস্ক্যানে নির্ভুলভাবে ধরা পড়ে যায়  উন্মত্ত হয়ে ওঠা হিমোগ্লোবিন। বাধা হয়ে দাঁড়ায় অণুচক্রিকা, শোনায় সতর্কবাণী-- মুখোমুখি যুদ্ধে হে

সিদ্ধার্থ সিংহের কবিতা

Image
                      সিদ্ধার্থ সিংহের পরিচিতি ২০১২ সালের 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে।  ক্লাস নাইনে পড়ার সময়ই তাঁর প্রথম কবিতা ছাপা হয় 'দেশ' পত্রিকায়। প্রথম ছড়া 'শুকতারা'য়।  প্রথম গদ্য 'আনন্দবাজার'-এ। প্রথম গল্প 'সানন্দা'য়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহল তোলপাড় হয়। মামলা হয় পাঁচ কোটি টাকার। ছোটদের জন্য যেমন সন্দেশ, আনন্দমেলা, কিশোর ভারতী, চির সবুজ লেখা, ঝালাপালা, রঙবেরং, শিশুমহল ছাড়াও বর্তমান, গণশক্তি, রবিবাসরীয় আনন্দমেলা-সহ সমস্ত দৈনিক পত্রিকার ছোটদের পাতায় লেখেন, তেমনি বড়দের জন্য লেখেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ এবং মুক্তগদ্য। 'রতিছন্দ' নামে এক নতুন ছন্দের প্রবর্তন করেছেন তিনি। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দুশো চুয়াল্লিশটি। তার বেশির ভাগই অনুদিত হয়েছে বিভিন্ন ভাষায়। বেস্ট সেলারেও উঠেছে সে সব। এ ছাড়া যৌথ ভাবে সম্পাদনা করেছেন লীলা মজুমদার, রমাপদ চৌধুরী, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মহাশ্বেতা দেবী, শংকর, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সুচিত্রা ভট্টাচার্য,