Posts

শম্পা সামন্তর কবিতা

Image
কবি পরিচিতি: শম্পা সামন্ত ইউ জি সি অনুমোদিত 'অন্তর্মুখ' নামে একটি গবেষণা পত্রিকার সম্পাদক । নন্দন , কবিকণ্ঠ, একুশ শতক , কবিতা পাক্ষিক , জিরো বাউন্ডারি , এবং মুশায়েরা সহ আরো অনেক পত্রিকায় লিখেছেন।  তাঁর কবিতা যাপন যেন এই সময়ে দ্রুত উঠে আসা এক মুখ । আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে রইল কবির তিনটি মননশীল কবিতা।  ১: মোচন খুব কষ্ট পেলে কেন যে কান্না আসে আর অভিনয়গুলো কখন যেন সত্যের চাদরে মোরা হয়ে গেলে আমি বীভৎস এক কান্নার সরোবরে সাঁতার কাটি। এখন একটা জোশ এসে সরিয়ে নিচ্ছে বাকল। সরিসৃপের মতো।  শীতের দেশে পর্ণমোচীর গা বেয়ে আয়ুরেখা ঝরে যাচ্ছে পাতাখসার সময়।আর একটা কুয়াশায় ঢাকা সকাল ধোঁয়া ওঠা চায়ের ভাঁড়ে বয়োবৃদ্ধ কাকের মতো ডানা ঝাপটেছি। ক্লান্ত, অবসন্ন হৃদয় খুঁটে, এক খানা ধানবীজ ফেলে গেলে আমি বর্ষার গান গাই। মল্লার  মেঘগুলি বৃষ্টি আনে। আর বীজটি অঙ্কুরিত হচ্ছে রুহ রুহ স্বপ্নের জাল বুনে,আকাশের দিকে। ২: বয়স ঘনিয়ে এলে বয়স ঘনিয়ে এলে গ্লুকোমায় ঝাপসা হচ্ছে চোখ। কিউটক্যাল ক্ষয়ে যাচ্ছে দাঁতের। মালাইচাকি ও কসেরুকা মৃত্যুর দিকে ধাববান।আমার চৌহদ্দি জুড়ে শীত এসে গেলে মোচন সেরে ফেলছে পত্রবাহ রুহ।

মোঃ আনোয়ার হোসেন কবিতা

Image
  মহম্মদ আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহে থাকে। যখন দীর্ঘ কবিতা লেখার চল প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বললেই চলে , তখন তরুণ আনোয়ার লিখে চলেছে একের পর এক দীর্ঘ কবিতা। যদিও  কম বয়সের জন্য কিছুটা আবেগ থাকছে , তবে আনোয়ার বেশ সম্ভাবনাময়।   আজ জিরো বাউন্ডারিতে প্রকাশিত হল তার একটি দীর্ঘ কবিতা।  রাত্রির ক্লান্ত শহর ---------------------    নূঁয়ে পড়া আকাশ   একফালি চাঁদ উদিত হচ্ছে  ঘুমন্ত শহরে,  নিস্তব্ধতা ভাঙতে আকাশের।            আর শহর ঘুমন্ত,              ঘুমন্ত মানুষের শহর,              ক্লান্তির ঘুম শহরে,  ঘুমন্ত পাথরে অট্টালিকার প্রাচুর্যে। রাত্রির ক্লান্ত পৃথিবীর শহর ক্লান্ত হয়ে               মুখ থুবড়ে ঘুমিয়ে,               নাবিক মন ঘুমের রাজ্যের অলসতার বিবর্ণতার                 ধূসর। এক পেশে মনে হয় পুরো ঘুম শহর    ব্যস্ত সময়৷ ব্যস্ত অফিস কাচারি, -     ব্যস্ত গাড়ি, নিঃস্তব্ধ পরে রয়।  শুধু ঘুম জেগে আছে মানুষের  চোখের        পাপড়ির ভেতর! ব্যস্ত স্বপ্নরা বাসা নিয়েছে  চোখের          কুঠোরে।         শহর, অলিগলি নিস্তব্ধ আধুনিকতার মোড়ক রাজ্যে          অদ্ভুত সব রঙ করা বাতি,  ল্যাম্প পোস্ট দাঁড়িয়ে

অমিত বাগলের কবিতা

Image
  অমিত বাগল। বয়স ৫৮,কবিতা পথ চলা :-৮০-র দশকে। জন্ম চিত্তরঞ্জন,, পেশা রেলকর্মী, ব‌ই1.ক্যনভাসে আদিম বর্বর2.জলবর্ণমালা3.পিওনপাখির সাইকেল 4.ইষ্টকুটু 5.অশ্রুবীজ 6.অসুখসোনা 7.অনুরোদের আসর।  মা:-শ্রীমতি রানুকনা বাগল ; বাবা:-শ্রী উমানাথ বাগল আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবির তিনটি কবিতা।  ১:  টানাটানি  লিখি আনন্দ  লিখি  আনন্দের পরমায়ু  বিধাতাপুরুষ  আমার  কপালে যতখানি পরমায়ু লিখে দিয়েছেন  ষষ্ঠী  জাগরণে তার  সবটুকু তোকে দিয়ে রাখি , নে নে ধান-দুব্বো... আর তাই নিয়ে তুই শুধু আনন্দ  লিখে দে আমার  জীবনে  দেয়া-নেয়া আছে আমাদের  কাকে না বলেছি আমি দ্যাখ,দেখে যা   সব দেখা ফেলে আয় জীবন যে কতো বড় সাতসকালে তোর হাত থেকে পায়রা খাচ্ছে দানা...এও কী কম আনন্দ  নাকি জীবন-যাপনে  পাখি ও তোর এতো বড় বন্ধুতা   খুব বড় আগমণী খুব বড় টান টান বুঝলি না--দানা নিয়ে  আমার  উঠোন ধোয়ানো জল  ঠোঁটে করে টেনে নিলো  বসন্ত-বউরি ২:  আমার  সৃজন  সব গেছে। মধুরম্ মধুরম্। সব। এখন দুর্নাম, আর পড়াবেনা স্যার --- কজন পার্থসারথী হয়! মানুষের  স্তব্ধতা দেখোনি তো  এই হলো গিয়ে সময়। অবহেলা পেয়ে পেয়ে, ফুঁপিয়ে  ফুঁপিয়ে ড্রপ-

রূপা অপরাজিতার কবিতা

Image
  রূপা বন্দ্যোপাধ্যায়, জন্ম21শে মার্চ,1976,হাওড়ায়।  উচ্চ শিক্ষিত হলেও একজন গৃহবধূ  এবং সমাজকর্মী ।  নিজস্ব সংবেদনশীলতায় লেখার তাগিদ এবং স্বতঃস্ফূর্ত কবিতা লেখাতে বিশ্বাসী।  " আমার সেই ভাবনারই বৈদূর্য্য প্রতিফলন , প্রতিটি অক্ষরজাতক ই আমার  জীবন দর্শনের এক একটি নিদাগ দর্পণ" এটাই হল কবির কথা। আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে রুপা অপরাজিতার চারটি কবিতা  1)অভিমন্যুরা পাওনাগুলো নেবার সময় পালনও পালকে মুড়ে নিই, অভিজাত অভিঘাত তুলে রাখি পুরনো সুটকেশে, ছত্রাকগুলো ছড়িয়ে পড়ছে ওদের নজর হয়ে আমাদের শরীরে। আপাত স্থিতিশীল আমাদের সবুজ আকাশ আগ্রাসী নিঃশ্বাসের চাতুরি  নিয়ে আমাজন থেকে কান্না পাঠাচ্ছে যে যুদ্ধপিড়ীত বালক তার হাতে একটুকরো চকোলেট তুলে দিতে পারলেই ঘুম আসবে পৃথিবীর  চোখে অজানা গর্ভের সাবলীল শ্লোকে  আবার........আর ভুল না করলেই কি নয়? 2) কাঁটাতার আহত চাঁদের নীচে  ছড়ানো ছেটানো সব ঝড়ে ভাঙা পাখির বাসার মত সাজানো সংসার আটকে আছে শখে নিহত দুচোখে সীমানার ক্যানভাস।  ওইখানে পরিপাটি লক্ষ্মীর আলপনা,  পীরের প্রসাদ কাঁটাতারে লেগে মেঘ, নিবিষ্ট অবসাদ। আমি ঠিক ওখানেতে আছি মরে যাও

অমিত বাগলের কবিতা

Image
  অমিত বাগল। বয়স ৫৮,কবিতা পথ চলা :-৮০-র দশকে। জন্ম চিত্তরঞ্জন,, পেশা রেলকর্মী, ব‌ই1.ক্যনভাসে আদিম বর্বর2.জলবর্ণমালা3.পিওনপাখির সাইকেল 4.ইষ্টকুটু 5.অশ্রুবীজ 6.অসুখসোনা 7.অনুরোদের আসর।  মা:-শ্রীমতি রানুকনা বাগল ; বাবা:-শ্রী উমানাথ বাগল আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবির একটি সিরিজ কবিতা।                           জন্মদিনের দাগ                                      ১ বারিময়দানের মোনালিসা   ম্যারেজ হল  থেকে ফিরে  এলাম ঝকঝকে রাত পশুপতি কমপ্লেক্স-এ --- আমাদের  "বোতাম-ঘর "-টিতে দেয়া-নেয়া আছে আমাদের  শিবের  মাথায় জলের মধু দেবার মতো দেবীর পায়ে আমাদের‌ই পুষ্প-জনম ... মা কালো পাথরের বাটি করে চানজল রেখে দিতো মাদুলিতে ফুল ভরে  কী গরম, কী গরম টপটপ টপটপ মোম                                      ২ ফিরে এসে আবার  সেই আনন্দেরই পরমায়ু... মেয়ে  আনন্দ সাজিয়েছে বেলুন দিয়ে। উপহার  দিয়ে-থুয়ে ওর বাবির জন্মদিনের দিন। 08-ই জুলাই... মেয়ে আমার, মাও আমার--যা বকাঝকা দেয় না  কি বলবো তার... কেক আনিয়েছে মিও-আমোরে থেকে। নিজের  চাকরির টাকা-পয়সা দিয়ে।  কেক কাটবো রাত পোহালে। প্রণাম জানবেন আপ

আবু তালেব মোল্লাহ-র কবিতা

Image
  পরিচিতিঃ আবু তালেব মোল্লাহ্ বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৯৬২ সালে জন্ম গ্রহন করেন। স্থানীয় স্কুল ও কলেজে লেখাপড়ার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও এম, এ পাশ করেন। অনুষঙ্গ সাবজেক্ট দর্শন এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পড়েন। ১৯৯০ সালে কর্মজীবন শুরু হয়। কর্মজীবনের সমাপ্তি টানেন ২০১৬ সালে। এরপর থেকে রাজশাহী শহরে স্থায়ী ভাবে বাস করছেন। এপর্যন্ত তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ তিনটি। এখনো লিখছেন।  কবি জিরো বাউন্ডারি গ্রুপের সাথে যুক্ত আছেন। আজ প্রকাশিত হল কবির একগুচ্ছ ভিন্ন স্বাদের কবিতা  ০১। বিকেল  এমনই কোমর বন্ধনী জড়িয়ে কোমরে নেমে আসে বিকেল— প্রতিদিন শাড়ির রং পাল্টায় ম্যাচ করে ঠোঁটের লিপস্টিক।  ভুল বুঝাটাও সহজ ব্যাপার নয় প্রশান্তমহাসাগরীয় গভীরতা লাগে, আর, এজন্য ব্যাপারটা ছোটখাটো হয়ে নাই,  ঋতু বদলেছে — পানি গড়িয়েছে অনেক। ০২। নিম্নচাপ সেই চ্যানেলটা নিম্নচাপ বিষয়ে  দিনরাত বকবক করে চলেছে, অভিজ্ঞতা থেকে ক্ষয়ক্ষতির জল্পনা  জুড়ে দিচ্ছে বিস্তারিত। কিছুক্ষণ পরপর চা ও বিস্কিটের ট্রে— ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড়। ০৩। ভ্রমন সবুজ ভূমিতে ঝিনুকগুলো ছড়িয়ে রেখেছি— পত্

স্নিগ্ধা মন্ডলের কবিতা

Image
  স্নিগ্ধা মন্ডল শিক্ষকতার সাথে যুক্ত , মাস্টার্স সহ বি পি এড করেছেন । । এছাড়া তাঁর নানান hobby আছে। যেমন নানান পদের রান্না করা , আলপনা দেওয়া, crafting এর কাজ , কারুশিল্প,  গান গাওয়া । ক্যারাটে এবং যোগাতে তিনি পারদর্শী,  পাহাড়ে ট্রেকিং করাও তাঁর একটা passion.   কবিতা লেখেন পাশাপাশি।  জিরো বাউন্ডারি গ্রুপের সাথে যুক্ত আছেন। এখানে এসে তিনি কবিতায় নতুন ভাবে শুরু করেছেন জার্নি।  আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে রইল তাঁর একগুচ্ছ কবিতা।  ১: শেষের ইতিহাস আমার  নিঃশব্দ উপস্থিতি তোমার নিদ্রাভঙ্গ , সেদিন স্নানের ঘরের বাষ্পে পাবে আমার স্পর্শ, সেদিন জানবে আমি কত আপন, খাবারের গ্রাসে পাবে আমার ঘ্রাণ, সেদিন জানবে আমি কত খানি জুড়ে, বাস্তবতার বেড়াজালে তাকে বাঁধতে পারবেনা, এ 'আমি' সেই আমি। কোনো এক একাকিত্বের রজনীতে, আমি হব শয্যাসঙ্গিনী, তোমার কুন্তল ,ললাটে থাকবে আমার আর্দ্র স্পর্শ।। তোমার শরীরের প্রতিটি কোণায় কোণায়, মায়াজাল গেঁথে দেব আমি, চুম্বনে আঁকবো মুখমন্ডল, যার ছোঁয়া ফুটে উঠবে আরশির প্রতিচ্ছবিতে, যাকে অনুভব করবে তুমি, কিন্তু ফেরাতে পারবে না তার অনুজাল। ২ : অতিক্রম আকাশের দিকে চেয়ে দ