সোমিনা ইয়াসমিনের কবিতা
সোমিনা ইয়াসমিন তরুণ প্রজন্মের এক কবি । মুর্শিদাবাদ শহরে বেড়ে ওঠা এবং পড়াশোনা । ধ্রুপদী ঘরানার মধ্যে তাঁর অনুভূতির বিষাদ কথনগুলোই হয়ে ওঠে কবিতার ভাষা । তাঁর শব্দ চয়ন জুড়ে থাকে অদ্ভুত এক বৈভব । বিষাদ কথনের মধ্য ফুটে ওঠে হার না মানা এক দৃঢ় প্রতিবাদী মন । সমাজ এবং জীবন সম্পর্কে আত্মকথনের এবং প্রতিবাদের কিছু অংশ নিয়ে আজ রইল কবির চারটি কবিতা
1: মন-দালান
এ মনে ততখানি আগুন নেই যতখানি উত্তাপে স্মৃতিরা পুড়ে যায়।
এ মনে ততখানি ঘৃণা উদবৃত্ত নেই, যতখানি ঘৃণা অপমানকে ছাপিয়ে যায়।
এ মনে ততখানি প্রতিশোধ স্পৃহা নেই, যতখানি সলতে করে তোমার সুখদালান ঝলসে দেবে।
এ মনে ততখানি সুখ নেই যতখানি সুখ তোমায় ভুলতে দেবে।
জেনে রেখো অভিরাজ,
আমাদের অতীত বর্তমানে,বর্তমান ভবিষ্যতে আর ভবিষ্যৎ অতীতের সরল রেখায় দাঁড়িয়ে।
2: অবদমিত যন্ত্রণারা
অব্যক্ত অনুভূতি জমা হতে হতে মেয়াদত্তীর্ণকালে ককিয়ে ওঠে
স্নায়ুর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জালিকায় মাঝেমধ্যেই শোনা যায় মুখোমুখি যুদ্ধের শ্লোগান,
সিটিস্ক্যানে নির্ভুলভাবে ধরা পড়ে যায় উন্মত্ত হয়ে ওঠা হিমোগ্লোবিন।
বাধা হয়ে দাঁড়ায় অণুচক্রিকা, শোনায় সতর্কবাণী--
মুখোমুখি যুদ্ধে হেরে যেতে হয়।
কৌশল,কৌশলেই হবে জয়।
অবশেষে সমস্ত উদ্দীপনা বন্দি করি কফিনে,
মুখোমুখি হতে না পারা অবদমিত যন্ত্রণারা
গ্লানির মুখোশ পরে
বাঁধভাঙা ধৈর্য এখন ধৈর্য্যের পসরা সাজায়।
3: অতীত-অস্তিত্ব খুঁজি
নগরীর বুকের ভেতর অসংখ্য শিরাউপশিরায় তোমার উক্ত স্বীকারোক্তির সত্যতা খুঁজি অর্ধউন্মাদনায়।
খুঁজতে খুঁজতে একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে গুগুল, রেটিনা নিভিয়ে দিতে চায় আলো,
কিন্তু কোথাও পাইনা আমার অতীত-অস্তিত্ব।
অসহ্য যন্ত্রনা অস্থিরতা বাড়ায়, বিশ্বাসের আড়ালে উঁকি মারে প্রমাণ।
খুঁজি প্রমাণ!
তারপর শ্রান্ত মনে জলে-কাজলে হাতড়ায় অলিখিত সেই নাম।
4: সঞ্জীবনী লতা
পাথুরে বুকের খাঁজে
সুপ্ত আগ্নেয়গিরি লুকিয়ে রেখে
অভিমান নিয়েছে মুখ ফিরিয়ে।
যে চোখে জীবন দেখেছি,
অর্ধমৃত লাশে প্রাণ পেয়েছি,
সঞ্জীবনী লতায় ভর করে
বাঁচার স্বপ্ন দেখেছি,
আজ সে চোখ আমায় ঝাপসা দেখে।
সময়ের শাসনে মনোরাজ্যে অনেকেরই আনাগোনা,
জীবনের খোলা খাতায়।
কিন্তু, সঞ্জীবনী তো সঞ্জীবনীই হয়, বিকল্প আজও নেই।
দিলাম বার্তা, পৌঁছে যাক হাওয়ায় ভেসে।
1: মন-দালান
এ মনে ততখানি আগুন নেই যতখানি উত্তাপে স্মৃতিরা পুড়ে যায়।
এ মনে ততখানি ঘৃণা উদবৃত্ত নেই, যতখানি ঘৃণা অপমানকে ছাপিয়ে যায়।
এ মনে ততখানি প্রতিশোধ স্পৃহা নেই, যতখানি সলতে করে তোমার সুখদালান ঝলসে দেবে।
এ মনে ততখানি সুখ নেই যতখানি সুখ তোমায় ভুলতে দেবে।
জেনে রেখো অভিরাজ,
আমাদের অতীত বর্তমানে,বর্তমান ভবিষ্যতে আর ভবিষ্যৎ অতীতের সরল রেখায় দাঁড়িয়ে।
2: অবদমিত যন্ত্রণারা
অব্যক্ত অনুভূতি জমা হতে হতে মেয়াদত্তীর্ণকালে ককিয়ে ওঠে
স্নায়ুর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জালিকায় মাঝেমধ্যেই শোনা যায় মুখোমুখি যুদ্ধের শ্লোগান,
সিটিস্ক্যানে নির্ভুলভাবে ধরা পড়ে যায় উন্মত্ত হয়ে ওঠা হিমোগ্লোবিন।
বাধা হয়ে দাঁড়ায় অণুচক্রিকা, শোনায় সতর্কবাণী--
মুখোমুখি যুদ্ধে হেরে যেতে হয়।
কৌশল,কৌশলেই হবে জয়।
অবশেষে সমস্ত উদ্দীপনা বন্দি করি কফিনে,
মুখোমুখি হতে না পারা অবদমিত যন্ত্রণারা
গ্লানির মুখোশ পরে
বাঁধভাঙা ধৈর্য এখন ধৈর্য্যের পসরা সাজায়।
3: অতীত-অস্তিত্ব খুঁজি
নগরীর বুকের ভেতর অসংখ্য শিরাউপশিরায় তোমার উক্ত স্বীকারোক্তির সত্যতা খুঁজি অর্ধউন্মাদনায়।
খুঁজতে খুঁজতে একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে গুগুল, রেটিনা নিভিয়ে দিতে চায় আলো,
কিন্তু কোথাও পাইনা আমার অতীত-অস্তিত্ব।
অসহ্য যন্ত্রনা অস্থিরতা বাড়ায়, বিশ্বাসের আড়ালে উঁকি মারে প্রমাণ।
খুঁজি প্রমাণ!
তারপর শ্রান্ত মনে জলে-কাজলে হাতড়ায় অলিখিত সেই নাম।
4: সঞ্জীবনী লতা
পাথুরে বুকের খাঁজে
সুপ্ত আগ্নেয়গিরি লুকিয়ে রেখে
অভিমান নিয়েছে মুখ ফিরিয়ে।
যে চোখে জীবন দেখেছি,
অর্ধমৃত লাশে প্রাণ পেয়েছি,
সঞ্জীবনী লতায় ভর করে
বাঁচার স্বপ্ন দেখেছি,
আজ সে চোখ আমায় ঝাপসা দেখে।
সময়ের শাসনে মনোরাজ্যে অনেকেরই আনাগোনা,
জীবনের খোলা খাতায়।
কিন্তু, সঞ্জীবনী তো সঞ্জীবনীই হয়, বিকল্প আজও নেই।
দিলাম বার্তা, পৌঁছে যাক হাওয়ায় ভেসে।
ভালো। ভাবনা ও শব্দ চয়ন সাবলীল ।
ReplyDeleteচারটি কবিতাই অসাধারণ। হোঁচট বিহীন। মুক্তাঙ্গন।
ReplyDelete