মোনালিসা রেহমানের কবিতা
1: যাদু
- - -
মোনালিসা রেহমান
আমি শপথ করে বলতে পারি
তুমি যা বলতে চাও আমি তোমার মুখ
দেখলেই বুঝতে পারি আজকাল ।
যতই তোমার অবান্তর লাগুক এটাই সত্যি
ভালবাসা শব্দটা আসলে একটা যাদুর মতোন...
যাদু টোনায় অদ্ভুত মায়াবী একটা শক্তি থাকে ।
সেই শক্তির জোরে মানুষ যেমন সবকিছু কেড়ে নিতে পারে
তেমনি আবার সবকিছু বিলিয়ে ও দেয় অকাতরে
2 অর্ন্তদৃষ্টি
- - - -
অবাধ্যতারও একটা বৃত্ত থাকে
সেই বৃত্ত ভেঙে গেলে সহ্যের সীমা
ছাড়িয়ে যায় ...
বেপরোয়া খামখেয়ালিপনায় ধুঁকছে মন
নিকষ কালো অন্ধকারে৷
সবকিছু বেমক্কাভুলে গিয়ে হাঁসফাস করে
একলাজীবন৷
তোমার অন্তর্দৃষ্টিতে পড়ে
সবকিছু কেমন জল হয়ে যায়৷
3:সোচ্চার
- - - - -
মোনালিসা রেহমান
গনতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে সোচ্চার আমরা
অথচ নিজের প্রতি কত অন্যায়
অবিচার চলে অবিরত
কি প্রবলভাবে ফিরে যায় আমার
অবদমিত আবেগগুলো...
সেক্ষেত্রে আমার ভালো থাকার ইচ্ছের
কাছে হার মানে আমার নিজস্বতা।
তথাকথিত ভালো থাকার অভিপ্রায় নিয়ে
বেঁচে থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে যায় শরীর ।
মন ও আবেগের খেলা চলে নিয়মিত
এভাবেই গল্প এগোতে থাকে ...
8 : শব
- -
মোনালিসা রেহমান
সারি সারি শবদেহ সাজানো ..
এরা শবদেহ সেজে রয়েছে
বৃহত্তর সমাজের এরা একটা অংশ
এরা প্রতিবাদ করে না।
এরা অন্যায়কে অন্যায় বলে না
একটা শহর কেমন জমাট অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে ...
ডুবুরির মতো জলের তলায়
খুঁজে নিতে হয় মুক্তো।
এমন বিপন্ন সময়ের দাস
পবিত্রতাহীন ,নিজেকেই করেছে
যারা লাস।
শব্দবন্ধে সেজে উঠেছে মৃত্যুর
পরোয়ানা ।
যারা ইতিমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছে
তাদের কেমন করে মৃত্যু হবে
সে রহস্য অজানা ।
5 :কবিতার পাঠক্রম
- - - - - - -
মোনালিসা রেহমান
বিষন্ন ছায়ার ভেতর থেকে গড়িয়ে পড়ছে
অভাবিত আলো !
ইঙ্গিতপূর্ণ কোনো শুভ ক্ষণ হয়তো !
কিভাবে পাল্টাবে সমাজ,কিভাবে লোহার গারদ
ভেঙে পৌঁছাবো ঈশ্বরের বাগানে ...
নিঃসঙ্গ মানুষের অসুখগুলো আজকাল
একাকার হয়ে মিশে যাচ্ছে উন্মুক্ত উল্লাসে
এই অন্ধকার থেকে কোন মহাপুরুষ
বেঁচে থাকার কৌশলগুলো বাতলে দিক...
কি দিয়ে মাপব আজ প্রলয়গভীর অবয়ব?
আঘাতে আঘাতে জর্জরিত ...
ফ্রয়েডের যৌনতার পাঠ।
বিকৃত করেছে আদমের সন্তানেরা
কবিতার পাঠক্রম ।
অগণিত তরুণ প্রজন্মকে মিথ্যা
ইতিহাস শেখানোর ষড়যন্ত্র চলছে।
- - -
মোনালিসা রেহমান
আমি শপথ করে বলতে পারি
তুমি যা বলতে চাও আমি তোমার মুখ
দেখলেই বুঝতে পারি আজকাল ।
যতই তোমার অবান্তর লাগুক এটাই সত্যি
ভালবাসা শব্দটা আসলে একটা যাদুর মতোন...
যাদু টোনায় অদ্ভুত মায়াবী একটা শক্তি থাকে ।
সেই শক্তির জোরে মানুষ যেমন সবকিছু কেড়ে নিতে পারে
তেমনি আবার সবকিছু বিলিয়ে ও দেয় অকাতরে
2 অর্ন্তদৃষ্টি
- - - -
অবাধ্যতারও একটা বৃত্ত থাকে
সেই বৃত্ত ভেঙে গেলে সহ্যের সীমা
ছাড়িয়ে যায় ...
বেপরোয়া খামখেয়ালিপনায় ধুঁকছে মন
নিকষ কালো অন্ধকারে৷
সবকিছু বেমক্কাভুলে গিয়ে হাঁসফাস করে
একলাজীবন৷
তোমার অন্তর্দৃষ্টিতে পড়ে
সবকিছু কেমন জল হয়ে যায়৷
3:সোচ্চার
- - - - -
মোনালিসা রেহমান
গনতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে সোচ্চার আমরা
অথচ নিজের প্রতি কত অন্যায়
অবিচার চলে অবিরত
কি প্রবলভাবে ফিরে যায় আমার
অবদমিত আবেগগুলো...
সেক্ষেত্রে আমার ভালো থাকার ইচ্ছের
কাছে হার মানে আমার নিজস্বতা।
তথাকথিত ভালো থাকার অভিপ্রায় নিয়ে
বেঁচে থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে যায় শরীর ।
মন ও আবেগের খেলা চলে নিয়মিত
এভাবেই গল্প এগোতে থাকে ...
8 : শব
- -
মোনালিসা রেহমান
সারি সারি শবদেহ সাজানো ..
এরা শবদেহ সেজে রয়েছে
বৃহত্তর সমাজের এরা একটা অংশ
এরা প্রতিবাদ করে না।
এরা অন্যায়কে অন্যায় বলে না
একটা শহর কেমন জমাট অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে ...
ডুবুরির মতো জলের তলায়
খুঁজে নিতে হয় মুক্তো।
এমন বিপন্ন সময়ের দাস
পবিত্রতাহীন ,নিজেকেই করেছে
যারা লাস।
শব্দবন্ধে সেজে উঠেছে মৃত্যুর
পরোয়ানা ।
যারা ইতিমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছে
তাদের কেমন করে মৃত্যু হবে
সে রহস্য অজানা ।
5 :কবিতার পাঠক্রম
- - - - - - -
মোনালিসা রেহমান
বিষন্ন ছায়ার ভেতর থেকে গড়িয়ে পড়ছে
অভাবিত আলো !
ইঙ্গিতপূর্ণ কোনো শুভ ক্ষণ হয়তো !
কিভাবে পাল্টাবে সমাজ,কিভাবে লোহার গারদ
ভেঙে পৌঁছাবো ঈশ্বরের বাগানে ...
নিঃসঙ্গ মানুষের অসুখগুলো আজকাল
একাকার হয়ে মিশে যাচ্ছে উন্মুক্ত উল্লাসে
এই অন্ধকার থেকে কোন মহাপুরুষ
বেঁচে থাকার কৌশলগুলো বাতলে দিক...
কি দিয়ে মাপব আজ প্রলয়গভীর অবয়ব?
আঘাতে আঘাতে জর্জরিত ...
ফ্রয়েডের যৌনতার পাঠ।
বিকৃত করেছে আদমের সন্তানেরা
কবিতার পাঠক্রম ।
অগণিত তরুণ প্রজন্মকে মিথ্যা
ইতিহাস শেখানোর ষড়যন্ত্র চলছে।
সুন্দর সুন্দর, কোমল স্পর্শ কবিতার শরীরে।
ReplyDeleteএককথায় খুব ভালো লাগলো প্রত্যেকটি লেখা।
ReplyDelete