বিকাশ দাসের কবিতা
পরিচিতি: বিকাশ দাস
জন্ম পশ্চিম বাংলার মালদায়। পিতা স্বর্গীয় বীরেন্দ্র কুমার দাস। মাতা স্বর্গীয়া সিন্ধু দাস।
ছেলেবেলার লেখা বয়সের সঙ্গে ধরে রাখতে পারেনি । সংসার সামলাতে লেখালেখির দুয়ার দিতে হয়েছিলো।
ইদানীং আবার লেখা শুরু করেছি রোজকার পুজো আর্চার মতো। বর্তমানে মুম্বাইতে বসবাস।
আমার কবিতা কতটুকু আপনাদের ভালো লাগাতে পেরেছে, জানি না। এইটুকু বলতে পারি আমাদের সবাইকে হৃদয় দিয়ে কবিতা ভালোবাসতে হবে । আমি বিশ্বাস করি একদিন কবিতা বিশ্বজনীন বাসিন্দা হয়ে উঠবে।
আমার প্রকাশিত একক কাব্যসংকলনঃ
এখন আমি একা / জরায়ুজ / নিকুচি করেছে কবিতা /কবির শেষপাতা / তবু ভালো দুঃখ দিও/ জীর্ণ ব্যথার মুখবন্দী কথা / নির্বাচিত কবিতা / ঈশ্বর এবার খেটে খা / মৃত্যুর জন্য কবিতা দায়ী।
আজ রইল কবির দুটি কবিতা
1: প্রার্থনা
নিজের সঙ্গে একলা থাকার নির্ভরতা দাও
দু’চোখের দৃষ্টি ভেঙে আলিঙ্গনের সত্তা দাও
আকাশ থাক আমার বুকে এক ফালি মেঘ দাও।
ঘাস মাটি উর্বর করতে পারি দু’হাতে অস্ত্র দাও
দু’হাত প্রার্থনার অঞ্জলিমুঠোতে মাথা নিচুর জলাঞ্জলিতে
সমাজ উদ্বিগ্ন করে ভয়ের পাহারার নিঃশ্বাসে যেন বাঁচতে না হয়
বরং জীবনব্যাপী মৃত্যুর উঠোনে নিঃসঙ্গতার সংসার দাও।
কথা দিলাম তুলে আনবো বিশ্ব সংসার এক ছাদের তলানিতে
বিনা রক্ত পাত জেহাদে কবিতা সংগীতের শব্দের গুছোনিতে
শুধু কলমের কালিতে কালিতে ছলাৎ দাও।
2: যথাযথ
এ সংগতি
নজরবন্দী বুক ভর্তি নদী
ছায়াবহুল গাছের পাতা একমুঠো ভোর
কোলে দিয়ে বলে যায় অবাধ্য নারী সদ্য পরিণীতা
ঘর-সংসার না শিখলে লেখা যায়না ভালোবাসার কবিতা।
আমি ভেবে উঠতে পারছিনা নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিনা
দু’চোখে ঘুম আসতে চায়না নিজের যত্ন নিতে ইচ্ছে করেনা
নোনতা মিষ্টান্নর সঙ্গে নিবিড় বন্ধন অথচ ঠোঁটে স্বাদ লাগেনা।
শরীরে পাগলপারা একটানা জ্বর
ভালোবাসার বর্ণমালা ঘর প্রান্তর
স্বস্তির নিশ্বাস ধরে
আমি কবিতার মধ্যে ডুবে আছি
আর একটু একটু করে ধ্বংসের অতলে চলে যাচ্ছি।
জন্ম পশ্চিম বাংলার মালদায়। পিতা স্বর্গীয় বীরেন্দ্র কুমার দাস। মাতা স্বর্গীয়া সিন্ধু দাস।
ছেলেবেলার লেখা বয়সের সঙ্গে ধরে রাখতে পারেনি । সংসার সামলাতে লেখালেখির দুয়ার দিতে হয়েছিলো।
ইদানীং আবার লেখা শুরু করেছি রোজকার পুজো আর্চার মতো। বর্তমানে মুম্বাইতে বসবাস।
আমার কবিতা কতটুকু আপনাদের ভালো লাগাতে পেরেছে, জানি না। এইটুকু বলতে পারি আমাদের সবাইকে হৃদয় দিয়ে কবিতা ভালোবাসতে হবে । আমি বিশ্বাস করি একদিন কবিতা বিশ্বজনীন বাসিন্দা হয়ে উঠবে।
আমার প্রকাশিত একক কাব্যসংকলনঃ
এখন আমি একা / জরায়ুজ / নিকুচি করেছে কবিতা /কবির শেষপাতা / তবু ভালো দুঃখ দিও/ জীর্ণ ব্যথার মুখবন্দী কথা / নির্বাচিত কবিতা / ঈশ্বর এবার খেটে খা / মৃত্যুর জন্য কবিতা দায়ী।
আজ রইল কবির দুটি কবিতা
1: প্রার্থনা
নিজের সঙ্গে একলা থাকার নির্ভরতা দাও
দু’চোখের দৃষ্টি ভেঙে আলিঙ্গনের সত্তা দাও
আকাশ থাক আমার বুকে এক ফালি মেঘ দাও।
ঘাস মাটি উর্বর করতে পারি দু’হাতে অস্ত্র দাও
দু’হাত প্রার্থনার অঞ্জলিমুঠোতে মাথা নিচুর জলাঞ্জলিতে
সমাজ উদ্বিগ্ন করে ভয়ের পাহারার নিঃশ্বাসে যেন বাঁচতে না হয়
বরং জীবনব্যাপী মৃত্যুর উঠোনে নিঃসঙ্গতার সংসার দাও।
কথা দিলাম তুলে আনবো বিশ্ব সংসার এক ছাদের তলানিতে
বিনা রক্ত পাত জেহাদে কবিতা সংগীতের শব্দের গুছোনিতে
শুধু কলমের কালিতে কালিতে ছলাৎ দাও।
2: যথাযথ
এ সংগতি
নজরবন্দী বুক ভর্তি নদী
ছায়াবহুল গাছের পাতা একমুঠো ভোর
কোলে দিয়ে বলে যায় অবাধ্য নারী সদ্য পরিণীতা
ঘর-সংসার না শিখলে লেখা যায়না ভালোবাসার কবিতা।
আমি ভেবে উঠতে পারছিনা নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিনা
দু’চোখে ঘুম আসতে চায়না নিজের যত্ন নিতে ইচ্ছে করেনা
নোনতা মিষ্টান্নর সঙ্গে নিবিড় বন্ধন অথচ ঠোঁটে স্বাদ লাগেনা।
শরীরে পাগলপারা একটানা জ্বর
ভালোবাসার বর্ণমালা ঘর প্রান্তর
স্বস্তির নিশ্বাস ধরে
আমি কবিতার মধ্যে ডুবে আছি
আর একটু একটু করে ধ্বংসের অতলে চলে যাচ্ছি।
Comments
Post a Comment