রঞ্জনা ভট্টাচার্যের কবিতা
রঞ্জনা ভট্টাচার্যর বাড়ি মধ্যমগ্রাম । ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স এবং শিক্ষিকা । তাঁর কবিতায় থাকে সৎ এবং পরিশ্রুত উচ্চারণ যেন হৃদয় থেকে উৎসারিত ছোট ছোট শব্দের বুদবুদ , আমাদের বেষ্টিত করে।
আজ রইল কবির একগুচ্ছ কবিতা
1: তবু প্রেম
ছায়া ছায়া অণুবীক্ষণিক যন্ত্রণা
গুঁড়ো গুঁড়ো ইচ্ছের রেণু মেখে
ধুসর পাখিদের ডানায় বসে রোদ পোহায়,
আর ঠিক তখনই বৃষ্টি নামে ,
ভেজা পালকের
সাথে পাখির বাসার হঠাৎ দেখা অসময়ে,
অসময়ে বাসায় আসা পাখিরা একটু প্রেম
খোঁজে উষ্ণতার জন্য,
ভেজা শরীরে শীত জেগে ওঠে।
2: শারদীয়া শুভেচ্ছা
ঝুপুস কিছু ঝুলন্ত ক্ষত
মণ্ডপের ঢাকে বাজে,
মেঘের মঞ্চ সজ্জায়
সঙ্গিনী গোধূলির
রাঙা টিপ, লেপ্টে আছে
পড়ন্ত বিকেলের শারদীয়া
শুভেচ্ছায়,
মনভেজা শহরে আলোর রোশনাই
আর তুমি জেগে থাকো আলিঙ্গনে।
3: আধেক আমিকে...
আধখানা আমি এঘর ওঘর,
আরেক আধেক বিন্দুতে টলমল,
পিপাসা তো সুজাতার ও ছিল,
তবে পায়েসান্নের গায়ে লেগে থাকা
পবিত্র প্রেম বোধি বৃক্ষের জল, মাটি, বায়ু,
আমার কবিতা ও তো আম্রপালি হতে চায়,
তাই
আধেক আমিকে দূরবিনে ভরে রাখি,
অলৌকিক কিছু স্বপ্ন আবছা হবার আগেই।
4: ওই গাছটা
ওই গাছটা দেখলে তোমার কথা মনে পড়ে।
গাছটার তলায় আমি নদী ছিলাম,
তোমার টিলাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যেতাম,
তোমার টিলায় ঈশ্বরের মতো জেগে
থাকতো আলো ছায়া, আর
টিলার পায়ে আমার ছলাৎ স্পর্শ সুখ,
আজ বৃষ্টি শহরে তুমি এসেছো,
শিরশির বাতাস জানালো,
ওই গাছ টা তো এজন্মে নেই,
। না থাক,
আমার অলীক ঠিকানায় ও ছবি পাঠায়
গতজন্মের ভালোবাসাবাসির ছবি।
বেশ লাগলো ॥
ReplyDeleteবলতে গেলে ভাষা হারিয়ে যায়...খুবই প্রান জোড়ানো ওনার কবিতা গুলি।
ReplyDeleteভীষণ ভালো লাগে কবিতা গুলো
ReplyDeleteভালো লাগলো। আপনার কবিতা আমি তো পড়ি নিয়মিত। অন্যকে না পড়লে নিজেকে জানা যায় না। ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।
ReplyDelete