রাখী সরদারের কবিতা
শূন্য দশকের কবি রাখী সরদার । খুব দ্রুত উঠে আসা এক মুখ । ।প্রথম প্রকাশিত
কাব্য গ্রন্থ "খয়েরি কেরকেটা।"কবিতা লিখতে ভালোবাসেন।বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করছেন।কবিতার পাশাপাশি ছোটগল্প ও প্রবন্ধ ও লেখেন।রবীন্দ্র সংগীত গাইতে ভালোবাসেন। জিরো বাউন্ডারি WhatsApp group এ তাঁর কবিতা নিয়মিত পঠিত হয় । আজ রইল কবির একগুচ্ছ প্রাণবন্ত কবিতা ।
1: অভূতপূর্ব দৃশ্য
এতগুলো নষ্ট রাত
একসাথে জড়ো হয়েছে।মনে হচ্ছে
যুদ্ধ সমাগত।
আমি ঢাল তুমি তরোয়াল
দুজনের মধ্যিখানে শান দিচ্ছে স্পর্ধা।
সুপ্রাচীন নক্ষত্রেরা অস্ফুট তাকিয়ে
প্রতিবেশী গাছেরা অধীর।
কি হয়,কি হয়!
তুমি গাঢ় লাল হয়ে
আমার দিকে এগিয়ে আসছো
,ছুঁড়ে দিচ্ছো তন্ময় জখম।
আমি শান্ত অনুরাগে
কুড়িয়ে নিচ্ছি আঘাত, অতুলনীয় সন্তাপ।
যেন দহনে অভিমানে সন্ধিস্থাপন ...
2 : আদিমতা
হে আমার অক্লান্ত ঈশ্বর
একের পর একের দেহে নিজেকে বিছিয়ে রেখে
আমি কি ভুল করেছি!
এই বরাভয় খিদে
তুমিই তো প্রোথিত করেছো
যাবতীয় শরীর সায়রে।
এখন প্রবল জলোচ্ছ্বাস
ভেঙে যায় দেহের আগল।
মৎস্যকন্যারা জলরেখায় মনোরম হতে হতে
আমাকেই শাপ -শাপান্ত করে।
ঈষৎ আরক্ত হয়ে
আমি তাদের প্রণাম করি।
3 :অবুঝ জল
অকারণে ভেঙে দিলে মাটির কলসি
তবুও অবুঝ জল হয়ে
থই থই শব্দ তুলি তোমার অন্তর-ঝিলে।
ফেনিয়ে উঠেছে রাত
জলে কালবাউশ ঘ্রাণ...
তুমি টান দিচ্ছো সে প্রবলে
আমি আঁকড়ে ধরি মাটি
অরক্ষিত জল ফোঁটা
শুকিয়ে যায় দীর্ঘ রোদ্দুরে।
4: সুদর্শন আঁধারে
কে তোমার প্রিয়তর?
কে বেঁধেছে বিষণ্ণ সেতার?
কে কেড়েছে ঠোঁটের কোমল!
ক্ষিরোদিনী ,কেন একা শুয়ে
ওই শূন্যতার ঘরে।দেহের কাতর ফেলে
ক্ষিপ্র হয়ে ওঠো।
আদিগন্ত ফসলের ভারে
বেজে ওঠে হলুদ শ্রীখোল।লঘুপদে
নেমে আসে সোনামুঠি রোদ।
তবুও শীতল থাকো!
সুদর্শন কৃষ্ণ পাখি সবেগে এসেছে উড়ে
নখরে মোহিনী কাঁপে!
তুমি ছাড়া এ দেহের ধাঁধা
কোথায় লুকাবো বলো?
জেগে ওঠো প্রকৃতি আমার...
সুন্দর
ReplyDeleteভাব গভীরতা,শব্দের মাধুর্য্য সবটা মিলিয়ে খুব সুন্দর! শুভেচ্ছা রইলো।
ReplyDelete(গৌতম বাড়ই)
চমৎকার কবিতা । সুদর্শন আঁধারে খুব খুব ভালো লাগলো ।
ReplyDelete