গৌতম বাড়ই এর কবিতা
গৌতম বাড়ই
লেখালিখি ভালোবাসার টানে।জন্ম উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে,তরাই অঞ্চলে,মহানন্দার পাড়ে।বর্তমানে কর্মরত ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডে আধিকারিক পদে।সতেরো বছর বয়সে একটি ছোটো গল্প প্রকাশিত হয় উত্তরবঙ্গ সংবাদে,
কবিতার দেশের নাগরিক।জীবনটা কবিতা রূপেই দেখেন । বর্তমানে কলকাতায় বাস ,চাকরী সূত্রে। এখানে ওখানে সোশ্যাল সাইটে বিভিন্ন লেখালেখি করেন ।
আজ রইল কবির দুটি কবিতা
1: একাকীত্ব
আকাশের ভাসাভাসা আলোয়
বিষাদের মেঘ বুঝি এতো গাঢ় কালো!
গাঙ্গেয় জলে বয়াগুলি স্মৃতি ধূসর।
শ্যাওলা স্মৃতি গায়ে গায়। মাছরাঙা ঘুমায়।
আমার ভগ্ন বিধুর কালো কালো সন্ধ্যায়
নক্ষত্র একটি দুটি আবছা আরো দুর স্বজনে
এ স্তব্ধতায় আমি একা শুধু এক।
আমার সাথে আমার কথা থাকে অহরহ
বিষাদের ভাগ শুধু একলা কাঁদে চারদেয়াল।
উচ্ছাসে ভেসে যায় প্রাণ।উচ্ছাস ছোঁয় না আমায়।ধীর সে যুধিষ্ঠির।
গায়ে গায়ে লেগে থাকা এ ব্যথা ছোঁয় না কেউ।
পরিযায়ী পাখিরা শীত বসন্তে কোলাহল।
পৃথিবীর দুধবাটিতে গা লেগে থাকা কিছু কিছু সর।
শৃঙ্খলে বেঁধে দেখিয়ে দেখিয়ে,বুঝি সবটুকু নাটকের মহড়া।
আমার কঠোর কষ্ট যাপনের ব্যথা ব্যথা, আমার বিন্দুতে রচি আমার বৃত্ত।কাজ নিয়ে ভুলে থাকা। সুদূরের পাড়ি।জানি--
এও পুরো একক অভিনয়।
2 : মোহনার দিকে
শেষ বাষ্পীয় পোত আজ
নগরের বন্দর ছেড়ে মোহনার দিকে।
ভাটির মাইল মাইল দূরত্বে
যারা নদীর জলের গন্ধ রক্ত শিরায়
বাষ্পের ঘ্রাণ নেয় অন্তরে।
মাছেদের কারাগারে আজ বহ্নি উৎসব।
শামুকখোলের বুকের ভেতরের যতো সুষমা
নিত্য ছড়ায় এ ঘাটে।
শীত আসন্নে--
মেছুয়াদের ঘেমোগন্ধ অঘ্রাণিত
চুনোমাছ কাঁকড়া পোড়াবিড়ি তাবিজ কবজ
হিজিবিজি কাগজ তাগা ধাগা ইতস্ততঃ ছড়ানো।
কাদামাখা বালিশ চপ্পল ঘট এটাওটা
ভেসে এসেছিলো জোয়ারে।
শূন্যতা নদীর বুকে
বাষ্পীয় পোত ভেসে ভেসে কখন সুদূরে।
গাধাগুলো জাবরা কাটছিলো হলদী নদীর দিকে হলদে ঘোলাটে চোখে।তাদের যে পালক,
বিবর্ণ জামাকাপড়ে শীর্ণ আরো আরো অধম।
প্রতিদিন হেলা বটতলায় নিশি ডাকলে
ক্লান্তক্রীড়া শেষে মন্দিরে পশুপতিকে খোঁজে।
চমৎকার
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Delete