অভিজিৎ দাসকর্মকারের কবিতা


অভিজিৎ দাসকর্মকার থাকেন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক । দীর্ঘদিন কবিতা চর্চা করছেন  , কিন্তু নতুন ভাবে তাঁকে দেখা যাচ্ছে কবিতার এক নতুন ভাষা নিয়ে  ,   আমরা তারুণ্যের উচ্ছ্বাস বা সাহস বলতেই পারি । কবিতা পাক্ষিক সহ বিভিন্ন পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁর কবিতা ।  ব্ল্যাকহোল সাপ্তাহিক  এবং মল্ল সাহিত্য - নামে দুটি web magazine এর সম্পাদক ।  কবির এই নতুন পর্যায়ের উত্থান  জিরো বাউন্ডারি WhatsApp  group থেকে  , এটা অস্বীকার করার মতো নেই।  কবির সাহসকে জিরো বাউন্ডারি সম্মান জানায় । 
আজ রইল কবির একগুচ্ছ নতুন ভাষার কবিতা ।


(১)
১টি দশমিক কবিতা

কয়েকটি বৃহত্তম পূর্ণসংখ্যার দশমিক ভগ্নাংশ বের করতে চাই---
ঠিক যেমনটা বাক্য(অংশ)গুলি প্রতিনিধিত্ব করে আমাদের ১৫মিনিটের ঘুমগুলিতে____
১৮দ্বারা বিভাজ্য সংখ্যার দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে জোয়ার
আর এদিকে (মরা) কোটালের ভাজ্য গুনিতকে জ্যোৎস্নাস্ফিতি_
অসহায় আমার হাত আর তোর দৃশ্যপট___
আসলে ঘরের (মহিলা) মানুষটির কাছে আমি একটি ব্যস্তনুপাতীক রাশিই ছিলাম,তাই
সন্ধ্যেরা লেখার প্রয়োজনের সাথে আমাকে প্রতিনিয়ত ভাগফলের পৌনঃপুনিকে গড়ছে____

(২)
স্পুটনিকের ভার্জিন কণা

ছায়াপথ থেকে বিষাদ অ্যাপেলো-১ চড়ে
      ক্ষয়াটে নীলরঙের কারুশিল্পে চাহিদাপূরণ করছে ---
বায়ুহীন জলাশয়
আমি আধখানা বাক্য ছুড়ছি তাচ্ছিল্যে
     ভাবছি কত পার্সেন্ট হাতের তালুতে এখনো লেগে।
         অতিবেগুনি রশ্মিটির অসাধারন দৃশ্য
আর তখনই
         গনতন্ত্রের জরায়ুতে ঢুকে যাচ্ছে
               বিষন্ন স্পুটনিকের ভার্জিন কণা---
বিকাল তখন ক্ষরণ শুরু করেছে
   চারদিক থেকে ধেয়ে  আসছে গামারশ্মি আর বৃষরাশি
হে রাম
     এখন বাজ পড়াতে
        মাথার উপর ভর করছে
            আন্টার্কটিকার শ্লেজ-ধূলো
এবং
     আর্তনাদ করছে কয়েকটা ফরাসি চুমু...
           
(৩)
কয়েকটি লা-জবাব শব্দ

সেদিন  অবশেষ থেকে আলাদা হয়নি সকালের হয়রানি,
অসংখ্য আক্কেল যোজিত রাস্তাটির স্বস্তিতে ব্যক্তিগত বলে কিছু ছিলো না___
   ডাকাবুকো মোড়, অপ্রাসঙ্গিক ইমোশন নিয়ে     উপেক্ষিত,
                জানালা বন্ধ থাক___
গেরুয়া মাখা মেয়েটির নীল রঙের কপাল
    বিশের ছোবল, বিশ কিন্তু তালব্য---
            নাস্তানাবুদ চোখের তলা।
গাছের পাশে দাঁড়াও,ঈশান গলিতে ভাবনাগুলো শব্দ  কুড়াচ্ছে...
   ওহে মেঘ তোমার উড়নার নীচে যে বোতামটি কাঠরং নিয়েছে! ভিজিটিং আওয়ার শেষ___
   অবিভক্ত সাহিত্যের আ-রঙ জুড়ে হুবহু একই চিহ্নের প্রতিটি দিন,
অর্থময় সিঁড়ি বেয়ে উঠে চলেছে---
 
(৪)
রেচনজলে আর্সেনিক

রাজ-কোবরার ক্যানাইনে কিছু আর্সেনিকের মলিকিউল রয়েছে--
হয়তো তাই আমার শরীর থেকে সমস্ত ঋণ আর উদ্বেগ রেচনজল হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে__
   ওঃ, সামনেই বোধহয় একটা অশ্বক্ষুরাকৃতি লেগুন---
  চকদাগে ক্রিয়াপদের প্রেক্ষাপটে  লালিত করবে ফ্যালকম কিংবা উড়ুক্কুকে___


(৫)
ঘুম ভর্তি শুধু কয়েকটি চিহ্ন

অনুচ্ছেদ ভাঙছে~পশ্চিমদিকে জলের শব্দ---
ঘুম আসে না |
দ্বিতীয় সপ্তাহের সোমবারটি ২৬°C→
কোল পেলে↓নিশ্চিন্ত হবে জ্যোৎস্না ||
নির্ভরশীল হবো→নির্ধারিত সময় বরাবর...
এখন ১১:২২ এর রাত গড়াচ্ছে >
আমি?১টি ১৮-র গুণিতক |
নিশ্চুপ || অ-কথ্য || অসমান | অথচ দৃশ্য ≈
শেষের কবিতায় সহাবস্থান হবে /
[সন্নিহিত কোণ] অব্দি মহুল গন্ধনেবো |
জানি না___
তোর কোল, সেখানে
       ⇨
আমি চীরস্নান করবো__


Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

দেবীপ্রসাদ বটব্যাল এর কবিতা

শ্যামল সরকারের কবিতা

শম্পা সামন্তর কবিতা