রুবি রায়ের কবিতা



মধ্যমগ্রাম নিবাসী রুবি রায়  , বাংলায় অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করেছে । প্রথম থেকেই রুবি ভিন্ন ঘরানার  লিখতে অভ্যস্ত , তার কবিতার শব্দ চয়ন এবং ব্যবহার নজর কাড়ে। 

আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে তরুণ এই কবির একগুচ্ছ ভিন্ন স্বাদের কবিতা। 



১: আর্যভট্টের সাথে থাকি :-


আর্যভট্ট!

আজকাল দুয়ারে শুধু তোমারই বৃত্তানুপ্রাস।

রাতের স্ফুটনাঙ্কে " অরন্যের অধিকার " পারেনা ছায়া স্মৃতি ভোলাতে ।

নাভিবিন্দু থেকে বেরনো সেলাই রেখাংশগুলি 

এক একটি মদন বানের সংজ্ঞা ।

পাস্ট কনটিনিউয়াস রোদে গলে উপছে পড়ে 

রাতে জমে চোখে ।

আর্যভট্ট !

মুক্তিবেগ ঘটবে না ?

দরজাবন্ধ আম মাখা গরমে আমার 

তর্জনী ও মধ্যমার কার্বন ডাই অক্সাইড 

পারেনা --

ঘুলঘুলির সংসার ভেঙে দিতে ।

আর্যভট্ট !

আমার লাশ সৎকারের অধিকরণ কারক 

খুজে পাচ্ছে না ।

অগত্যা , ছোট্ট চারাগাছটার শিকড় 

ধরে শুয়ে পড়েছি ।

                                

 ২: অতএব , সমাধান 


    ঐ দেখো ....

        পৃথিবীর কন্ঠনালী বেয়ে নেমে যাচ্ছে 

        অট্টহাস্যের রোল ।

ভ্যারাইটিস হাস্যমুখ ... ইমোজির পুঁটুলিতে 

বেঁধে সেন্ড হচ্ছে স্ক্রিন টু স্ক্রিন ।

মৌরি চিবানো এরোটিক ভাবনায় , হাত - না - পড়া সতীচ্ছেদের ইচ্ছা !। থার্ড ব্র্যাকেটে 

[অর্থশাস্ত্র] পড়ে থাকে ।

পদ্মবনে শুঁয়ে থাকা উঁচু ঢিবি সমৃদ্ধ নারীর 

সাথে + হওয়ার ভাবনাগুলি --

ভাইব্রেট মৈথুন ধারায় জারিত হয়ে যখন ,

নিউটনের সাথে নেমে দাঁড়ায় ....

সেই মুহূর্তে কাশ্মীর কি কলির !

কুচকানো চামড়ার মাংসের দলা সিন করে 

গালিগালাজ গুলো ধ্যাষ্টামো দেখাতে থাকে 

একশ তিরিশ কোটির কোষে ।

জেরক্সরূপী স্ক্রিনশট গুলি বদলে গিয়ে ,

শ্মশান ঘাটের দুপুর নেমে আসে অস্থিমজ্জায় ।

তবে,,, পিন্ডিদানের মন্ত্রে আষ্টেপিষ্টে বেঁধে 

ছুঁড়ে মারা হোক তাকে অজনবী ঠিকানায় ।

অতএব,জীবন = নিয়তি ।

এবার, 

        ভালোবাসায় 

                  গ+ই+য়+আ+র

               চাপো ।

গারগেল করতে করতে দেখো --

ষোড়শী পেরিয়ে যাওয়া জবাটারও

মাসিক চলছে ।

                                     

 ৩: বিশেষ্যের পরিচয় 


সামান্য নাইট্রাস অক্সাইড চেটে নিয়ে আবার সালোকসংশ্লেষ প্রকিয়ায় নিজেকে রত করেছি ।

প্রতিটা বীর্য মাখা কাপড় --

দলিলের কোণায় ঠেসতে থাকে আমায় ।

আমি ... বিশেষ্যের পরিচয় খুঁজতে খুঁজতে

চিৎপটাং হয়ে বাঁশের কেল্লায় শুয়ে ---

ঐ লম্বা মশালটার আলোয় 

পরজন্মকে দেখে নেব ।

                                

 ৪: চার্লি চ্যাপলিনের গোঁফ 


ডায়রির সংখ্যা , নাকি ডায়রির পাতা গুনলে 

সম্পর্কের গভীরতা বোঝা যাবে ? 

অনেকেই সম্পর্কটাকে চপিংবোর্ডে রেখে ,

শান দেওয়া Adjective ছুরি দিয়ে --

গভীরতা বুঝতে যাবে |

বিশ্রী গন্ধ মাখা "LY" যুক্ত শব্দ গুলো 

আমার দিকে আসবে | কারণ .....

আমি " যোনী জাত" , আমার দায় বেশি |

আমার Destiny জেনে বসে থাকা মানুষগুলো 

স্থূলকোণী ভাবে জারিত হয়ে হাসছে | 

গভীরতা খোঁজার নামে , পচা কাদা ছিটিয়ে --

আমার ভালোবাসাটাকে .......

চার্লি চ্যাপলিনের গোঁফে বসিয়ে দিচ্ছে !

                                              

 ৫: হাইপোডেমিক


তোমার ক্লিন সেভড গালে --

আমার ঠোট যেভাবে ছবি আঁকত !

তত সহজে , সাদা - কালো মার্বেলে --

বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারিনি |

ফেলে আসা রাজ্যে উড়িয়েছিলাম 

চকোলেট প্যানজি , কমনটিট |

কড়ি খেলা কি , সম্পন্ন হল ?

আমার যাযাবর জীবনে --

রাইকাদের উপস্থিতি |

মাঝে মাঝে দেখতে পাই 

বিধ্বংসী হাইপোডেমিক দাঁত


                                   রুবি রায় |

Comments

  1. ভালো লাগলো আমার। বিশেষ করে ১,২ নম্বর লেখাগুলো যেনো একটা বৃত্তের কাছে ক্রমশ ঘুরতে ঘুরতে মচকানো কলমির জল শেলাই কলের রেখাংশোগুলিকে শুনতে গিয়ে বলে উঠে আমাকে শুনতে দাও ,শুনতে দাও ষোড়শীর দিন যাপনের কথা ।এই যেনো অতিচেতনায় চারা গাছটার মশাল জ্বালিয়ে দেখতে পাচ্ছে স্ক্রিন শট বদলে ফেলছে তার পরজন্ম!
    বাহ! বাহ !চলুক...

    ReplyDelete
  2. শব্দ ব‍্যবহারে যে ঝলক আনার চেষ্টা তা আরও কয়েকজনের লেখায় দেখেছি। ইংরেজি শব্দ, বিজ্ঞানের পরিভাষা ব‍্যবহার, ব‍্যাকরণের পরিভাষা ব‍্যবহার আরোপ হয়ে উঠছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে।
    আর একটু কবিতা পড়ে লিখতে বলছি।

    ReplyDelete
  3. অনবদ্য ❤️🔥👌

    ReplyDelete
  4. অন্য রকম। ❤️❤️❤️

    ReplyDelete
  5. অন্য রকম। ❤️❤️❤️

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

শম্পা সামন্তর কবিতা

মোনালিসা রেহমানের কবিতা

বিবেকানন্দ দাসের কবিতা