বর্ণজিৎ বর্মণের কবিতা




জন্ম 10 ই জুন , 1990 । বর্ণজিৎ বর্মন (বিশ্বজিৎ বর্মন )। পিতা -কিঁশোরী মোহন বর্মন , মাতা -কানন বর্মন । ABN Seal College থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স সহ  গ্রাজুয়েশন 2014 , গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে M.A. 2016 তে । 2018 December NET qualified রাষ্ট্রবিজ্ঞানে । BED 2019 June । বর্তমানে Mphil চলছে international relation এর উপর ।  Raigang university থেকে । জিরোবাউন্ডারি কনসেপ্ট গ্রুপ এর সঙ্গে যুক্ত , মুক্তচিন্তা ওয়েলফেয়ার অরগানাইজেশনের সঙ্গে যুক্ত । অনেক লিটল ম্যাগাজিন ও ওয়েব ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশিত ও প্রতিনিয়ত লিখে চলেছেন ।
আজ রইল কবির একগুচ্ছ স্বতন্ত্র কবিতা ।


1: ইচ্ছা

কোরাপশনের হাড়িতে ব্লাক কাক নুড়ি-পাথর জমিয়ে জমিয়ে

নিউ হিমালয় বানালো -ধাপে ধাপে
জনজাতির বসত ভিটা
বৈচিত্রের দাবি তোলে ,

তৃপ্ত হলনা তেষ্টা কাকের

ভবিষ্যৎ কলসি ভরে কোথা রাখে ? কোন সংসারে ?

আমার অদৃষ্ট যদি ব্রিজ হতো
নিমিষে নেমে যেতাম

ওয়াটার কতো নীচে ,
দেখি
বাসনা ,প্রাণ ভরাব পাখিদের

পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার লিষ্টে
তুলে রাখি ইচ্ছার নাম ।

পরম শ্রদ্ধাভরে পাখি , জনতাকে জল পানের পুকুর বানিয়ে দিতাম ।




2: জিরো আওয়ারটা জানিস


প্রকৃত সব পাখিদের
ডেমোক্রাসি ,

পাপোশে পা না মুছে যার প্রবেশ
সে ঘারধাক্কা খেলো ফলত

চোখের নিষ্পাপ জল মুছতে মুছতে
যে খোঁড়া মিছিলে হাটল

সে জন্মান্ধ ছিল ,
পেটে দেওয়া দুটো দানার জন্য


3: ব্রিজ

সব সম্পর্কের মাঝে একটা করে ব্রিজ থাকে

আমি সময়
শীত , বসন্তের মাঝে ব্রিজ হয়ে বুক পেতে থাকি
নিজ সংসারের গভীরতা মাপি ,

অবক্ষ প্রেম পাতানো রেল লাইন বেয় বিচিত্র দেশ পরিভ্রমনে বেরোয়

ভ্রমরের মতো ।

কৃষ্ণপক্ষ আর রাধাপক্ষের মাঝে ব্রিজ
লভ এক্সপ্রেস্ খুঁজি
নৌকো আঁকা ঠোঁটে ,

আমি ব্রিজ
দুই সম্পর্কের মাঝে ঝুলে থাকি
এ বাণী  শ্বাশত ।

তবু কেন তুমি চিরকাল
ওপারেই থাকো ।


4: গোধূলি লগ্নে পরায়েছি সিঁদুরের লাল টিপ
ক্লাসিক্যাল সম্পর্কেও
ভাঙ্গনের ছিল অন্ধকূপ।



বসন্তের নদীতে রাজহাঁস চলে ধীরে
গোপনে কথাকয়  অনিমেষ তীরে

পদ্ম পাতায়  কতো শিশিরের লিলা
ফড়িং তার প্রেমিকা

নিশিথে জ্যোস্না যামিনীকে  চিঠি লেখে
স্তন বৃন্তের ফোঁটা ফোঁটা রক্তের তন্ত্রে সেতার বাজায়

এ প্রান্তর শুধু সাদা খাম বেচে
আপন শপে নিকট মার্কেটে


5 : শিকারী


 শীত জানে চাদরের শতাংশ মর্ম
দূর্বা বোঝে শিশিরের গোপন ইচ্ছার কথা

আলুক্ষেতে বুকে একটা আদুরে চাদর জড়িয়ে দাও
উষ্ণতা বুঝে নেবে
শিতল হৃৎপিন্ডের যতো চাহিদা

তোর্ষা নদী

ওয়াল পেপারে মেঘনা বর্ষা নামাক

কচুপাতার গাঙ্এ কলমের স্বচল সংসার ,

শীতে টাঙ্গাবো টিউলিপ পর্দার তাবু

শিকারের আশায় 

 অতন্দ্র প্রহর গুনবো

কখন কস্তুরীবালী চতূর হরিণ
তাবুর ভিতরে থাকা
বোতলের জল খেতে আসে ।


6: : বায়োমেট্রিক


যে জানালা খুলে যায়
অদৃষ্টের বায়োমেট্রিক স্পর্শ পেলে

আমার ও অবক্ষ অপেক্ষার ডিজায়ার রুমে

অকুল প্রার্থণা করি
টাইমলি আসুন , ক্লাসে গেটে এখন আর
কৃষি ক্ষেতে বায়োমেট্রিক মেশিন বসেছে

ফসলের মরশুমে কামকালে পুংকেশর -গর্ভকেশর

রবি শর্ষের উষ্ণ জ্যাকেট খোলে বায়োমেট্রিকে বৃদ্ধাঙ্গুল চ্যাট মেরে

Comments

Popular posts from this blog

শম্পা সামন্তর কবিতা

মোনালিসা রেহমানের কবিতা

বিবেকানন্দ দাসের কবিতা