ইন্দিরা ব্যানার্জির কবিতা



ইন্দিরা ব্যানার্জী
ঠিকানা: সারদা সরণী
থানা-বারাসাত
পোস্ট-হৃদয়পুর

পেশা: শিক্ষিকা
বিড়া বল্লভপাড়া শান্তি পিপাসা বালিকা বিদ্যালয়

আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবির একগুচ্ছ কবিতা


১ : পরিক্রমণ একার

যখন ভাবি সামলে নিয়েছি,
ভাঙা কাঁচের টুকরো জীবন,
তখনই দমকা হাওয়া বয়;
পুণরাবৃত্তিতে মুঠো থেকে জল গড়ানোর বেলা আসে

হারাতে হারাতেও হারাবার খেয়াল বাষ্প হয় না;
সত্যিই কী ভাগ্য খোদাই থাকে প্রস্তরে?
এদিকে মাথা কুটি দুবেলা তার পায়ে

অবসাদের কী প্রবল মাধ্যাকর্ষ;
কোন পাতালপুরী আমার দেশ?
নিজের নিঃশ্বাসে বিষের অস্তিত্ব

কারুর কারুর এভাবেই চলতে থাকে পরিক্রমণ...


২ : অনুচ্চারিত

গড়তেই তো চেয়েছিলাম, এক অলৌকিক জগৎ;
যার প্রতি কোণে কোণে রহস্য,পরতে পরতে রোমাঞ্চ

বৈধ-অবৈধের বেড়াজাল ভেঙে,
চার দেওয়াল জুড়ে স্বপ্নিল আবরণে;
বৈচিত্রতা নয় বাঁচার প্রয়োজনে
সম্পর্কের দাঁড়িপাল্লায় বাটখারা না হয়ে

পিছনোর সংকেত আসে এগিয়ে চলা পথে,
অজানা আতঙ্ক অযাচিত মেঘ;
তবে সঙ্গী-সফর সবটুকুর নিয়ন্ত্রক সময়

গোটাবে যখন তখন বিছানোই বা কেন?
উত্তর জানা থাকলেও উচ্চারণে জড়িয়ে আসে জিভ


 ৩ : পরিবর্তণ চলছে

মোহ মুক্তি মানেই অধ্যয় পরিবর্তণ;
সত্য সে যতই বিস্বাদ হোক গিলতেই হয়;
তারপর রোমন্থন,
যেদিন পেরিয়ে আজ-এখন-এই মুহুর্তে অধিষ্ঠান

প্রশ্ন যত সব নিজেকেই করি;
'অহংঙ্কারেই লোকানো পতনের  ভ্রুণ' ভাবলেই কোলাহলে চেপে ধরে একাকীত্ব;
আমিত্বের সাথে আমার সংঘাতে রক্তাক্ত আমি

সবাই কি গন্তব্য জেনেই পথে নামে? তাই যদি সত্য, ঝড় উঠলে দায়টা কার?


 ৪: কার্ফু চলছিল

শূণ্যতায় খাঁ খাঁ করে রাজধানীর রাজপথ;
আকাশে ওড়া পাখিরাও যেন সতর্ক;
নিঃস্তব্দতা ভাঙার অপরাধজনিত শাস্তির ভয়ে গুটিয়ে সবাই

এরই মধ্যে যে বা যারা অভিসারে যায়,
তাদের না থাকে কোন অজানা আতঙ্ক না থাকে নগ্ন পায়ে বেঁধা কাঁটার যন্ত্রনা;
মুড়িয়ে নিজেকে বর্ণহীন চাদরে রঙীন হবার বাসনায়,
আঁধার ভালোবেসে চুম্বক আকর্ষণে

একটুকু ছোঁয়া ক্ষণিক দেখা তারপর আবার একলা চলা পথ;
সেটুকু কাড়ার মন্ত্র জানে না কোন কার্ফুই...

Comments

Popular posts from this blog

দেবীপ্রসাদ বটব্যাল এর কবিতা

শ্যামল সরকারের কবিতা

শম্পা সামন্তর কবিতা