সোনালি মন্ডল আইচের কবিতা
সোনালি মন্ডল আইচের জন্ম ও বর্তমান নিবাস : কলকাতা ।শিক্ষা: চারুচন্দ্র কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ।পেশা : বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত
ভালোলাগা : বই পড়া, কবিতা লেখা, পোষ্যদের সাথে সময় কাটানো ।
আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবির একগুচ্ছ কবিতা ।
১: কালিদাস
অতঃপর এই ক্যানভাস
তুমি একজন ছবিপাগল
দিনের আলো রাতের অন্ধকার
কিছুই বাদ যায় না
অসংলগ্ন রঙিন কথা --
চোখে ভেসে আসা তীব্র রঙ
তার আঙ্গিকে কণামাত্র অনটন নেই
সেখানে ইঙ্গিতে শব্দ ভেঙে পড়ে
জোড়া লাগাবার প্রয়াস ছুঁয়ে
টেবিলের কোনা বেয়ে মেঝেতে
গড়াতে থাকে একরোখা ভঙ্গি
আত্মবিশ্বাস ইতিহাস টেনে আনে
বাস্তিল গলা ফাটাচ্ছে হারবে জেনেও
একজোড়া ড্রাম স্টিক মাতালো রাত
ঝুলে রইল অসম্পূর্ণ পোট্রেট দেয়াল জুড়ে
কালো চশমায় দর্শক ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়...
২: সমতটে
ক্ষণমুহূর্তের জন্যও চেনা হয়না
প্রতিচ্ছবির মধ্য আশ্চর্য মিল
ধরতে গেলে গুঁড়িয়ে যায়
সমস্ত ট্র্যাজেডি
ব্যক্তিগত বলে তরজমা নেই
প্রতিবাদও মিথেন গ্যাসে বায়বীয়
সময়ের নিরিখে বোতল ভাঙে
সতর্ক থেকো
লেবুফুল জোনাকি নিয়ে সাজে
ফুলের বাস বুকের শ্বাস মিলেমিশে
রুদালি হয়ে এখন পাবন্দি
সওয়ার সওয়ারী ....
৩: শব্দ সরিয়ে
পিরামিডের ছবিটা দেখছি
আগেও দেখেছি বহুবার,এঁকেছি নগ্নতা
ভেবেছিলাম তোমার কাছেই যাবো
গোপন ঈগলের ডানায় চড়ে
অমনি সব ঔপনিবেশিক ইচ্ছে ছুঁতে চাইল
নিজের সাথে সে এক লম্বা যুদ্ধ
ঘর থেকে বেরোলাম না উপায় কী
অস্ত্র দাগহীন ,রাকা হাসল রাতভর
বুদ্ধের নিমিলিত চোখ তখনও বাস্তু মাপছে
চলছে মিথুন রাশির মাগ্গি-গন্ডার বাজার ...
৪: জানলা জুড়ে
লেবু গাছে ফুল ধরেছে
বৈশাখী আবহাওয়া চলছে
কালো শার্সি ঝলসায়
বিদ্যুতের নীল আলোয়
চাকার খটখট আওয়াজ
মিশে যাচ্ছে বাজ পড়ার শব্দে
বিশ্বাস করো কী ভীষণ ঝগড়াঝাটি
আর চারদিকে বৃষ্টির ফিসফিসানী
ক্রমে চলছে দূরীকরণ প্রথা
তবু ফিরতি পথের ইচ্ছেগুলোয়
সাজছিল বন একা
এক্কেবারে নিজের দেয়াল
যখন হেলান দেবে দিও
আলাদিন তোমার সিসে রঙা বুকে
আমি অর্ধেক হয়ে লেপ্টে
আর কোত্থাও কেউ নেই
এত্তো চিৎকার আর ধাক্কাধাক্কি
যে ব্যাগপাইপ বাজিয়েরাও
বিরক্ত হয়ে চলে গেল
অথচ কথা ছিল আজ সব হবে...
©Sonali Mandal Aich
ভালোলাগা : বই পড়া, কবিতা লেখা, পোষ্যদের সাথে সময় কাটানো ।
আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবির একগুচ্ছ কবিতা ।
১: কালিদাস
অতঃপর এই ক্যানভাস
তুমি একজন ছবিপাগল
দিনের আলো রাতের অন্ধকার
কিছুই বাদ যায় না
অসংলগ্ন রঙিন কথা --
চোখে ভেসে আসা তীব্র রঙ
তার আঙ্গিকে কণামাত্র অনটন নেই
সেখানে ইঙ্গিতে শব্দ ভেঙে পড়ে
জোড়া লাগাবার প্রয়াস ছুঁয়ে
টেবিলের কোনা বেয়ে মেঝেতে
গড়াতে থাকে একরোখা ভঙ্গি
আত্মবিশ্বাস ইতিহাস টেনে আনে
বাস্তিল গলা ফাটাচ্ছে হারবে জেনেও
একজোড়া ড্রাম স্টিক মাতালো রাত
ঝুলে রইল অসম্পূর্ণ পোট্রেট দেয়াল জুড়ে
কালো চশমায় দর্শক ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়...
২: সমতটে
ক্ষণমুহূর্তের জন্যও চেনা হয়না
প্রতিচ্ছবির মধ্য আশ্চর্য মিল
ধরতে গেলে গুঁড়িয়ে যায়
সমস্ত ট্র্যাজেডি
ব্যক্তিগত বলে তরজমা নেই
প্রতিবাদও মিথেন গ্যাসে বায়বীয়
সময়ের নিরিখে বোতল ভাঙে
সতর্ক থেকো
লেবুফুল জোনাকি নিয়ে সাজে
ফুলের বাস বুকের শ্বাস মিলেমিশে
রুদালি হয়ে এখন পাবন্দি
সওয়ার সওয়ারী ....
৩: শব্দ সরিয়ে
পিরামিডের ছবিটা দেখছি
আগেও দেখেছি বহুবার,এঁকেছি নগ্নতা
ভেবেছিলাম তোমার কাছেই যাবো
গোপন ঈগলের ডানায় চড়ে
অমনি সব ঔপনিবেশিক ইচ্ছে ছুঁতে চাইল
নিজের সাথে সে এক লম্বা যুদ্ধ
ঘর থেকে বেরোলাম না উপায় কী
অস্ত্র দাগহীন ,রাকা হাসল রাতভর
বুদ্ধের নিমিলিত চোখ তখনও বাস্তু মাপছে
চলছে মিথুন রাশির মাগ্গি-গন্ডার বাজার ...
৪: জানলা জুড়ে
লেবু গাছে ফুল ধরেছে
বৈশাখী আবহাওয়া চলছে
কালো শার্সি ঝলসায়
বিদ্যুতের নীল আলোয়
চাকার খটখট আওয়াজ
মিশে যাচ্ছে বাজ পড়ার শব্দে
বিশ্বাস করো কী ভীষণ ঝগড়াঝাটি
আর চারদিকে বৃষ্টির ফিসফিসানী
ক্রমে চলছে দূরীকরণ প্রথা
তবু ফিরতি পথের ইচ্ছেগুলোয়
সাজছিল বন একা
এক্কেবারে নিজের দেয়াল
যখন হেলান দেবে দিও
আলাদিন তোমার সিসে রঙা বুকে
আমি অর্ধেক হয়ে লেপ্টে
আর কোত্থাও কেউ নেই
এত্তো চিৎকার আর ধাক্কাধাক্কি
যে ব্যাগপাইপ বাজিয়েরাও
বিরক্ত হয়ে চলে গেল
অথচ কথা ছিল আজ সব হবে...
©Sonali Mandal Aich
Comments
Post a Comment