আজাহার সেখ এর কবিতা
পরিচিতি : আজাহার সেখ, নয়ের দশকে জন্ম । ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে প্রকৃতির মাঝে বেড়ে ওঠা। ছোটবেলা থেকে কবিতার সাথে আত্মীয়তা গড়ে ওঠে ।
বর্তমানে বি.এড এ পাঠরত ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকাতে লেখালিখি ।জিরো বাউন্ডারি কনসেপ্ট সাহিত্য চর্চার অনন্য মাধ্যম ।
আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে তরুণ এই কবির একগুচ্ছ কবিতা
১: রাতের গল্প
দিনের শেষে জমেছে ধ্বংসস্তূপ
অন্বেষণ করেছি বহুবার
খবর আসেনি বারান্দার
দরজায় ।
রাসায়নিক দাহ্য মেখে নাবালিকা
সে গল্পের বই ঠাঁই নেই ।
রাতের অন্ধকারে ডুবে গেছে
কবেই শহর দাবানল ।
পড়ে আছে একক প্রদর্শনী ভস্মীভূত ছাই ।
ভালোবাসার কথা থাকে না কর্ণদ্বয়ে ।
রাতের গল্প রেখেছি কলমের ডাইরিতে ।
২: ভাঁটফুল
পাহাড়ী গা বেয়ে তেপান্তরের মাঠ
নগ্ন দেহ অনাগত ঢিবি
একটুকরো দুঃখ কাঁদে
তাই শঙ্খ চিল অভিনয় করে
আর পরিযায়ী পাখি বসে
ঘুন ধরা বিশ্রামহীন সখের বশে
আকাশ মুখ ঘোরায়
সবুজ সংকটে
বৃষ্টি আজ বন্ধ্যা
আপসোস ভাঁটফুলের ।
৩ : আতঙ্ক
চিহ্ন ছুঁয়েছে সকালের হাসি
গন্ধকে বলেছি সরে দাঁড়াও
জানালাতে চেনা পাখি বড্ড বজ্জাত
শালিকের গায়ে বীজ বোনে ঈগল
চিবুকে ফলায় পৃথিবী নামক
অগ্রসর বিনাশী শাবল
আমার কবিতা ধমক দেয়
ধুর
গোসাপে আকঁছি আতঙ্ক ।
৪ : অন্য বৈশাখ
নতুনত্বে ভরিয়ে দেব সারা জাহান
ছন্দের তালে তালে মুখরিত
আনন্দ বদ্ধ জলাভূমিতে আবদ্ধ
নিমগ্ন অসুখ, বেতাল হাওয়া
আমিত্বে চাষ করি দিনযাপন
আকাশ অস্তিত্বহীন অস্থিরতা
ভিড়কে চাবুক মেরে অসাড় ও একাকীত্ব ;
দূষিত কবলে পড়ে গোল্লাছুট বরকন্দাজ ,
দীর্ঘ পথ সেরে অজস্র চেক
নববর্ষ কে পাঠিয়েছে শ্রীঘরে ;
সাহস নেই তাধিন তাধিন নাচ
সভ্যতাকে অকাতরে অমাবস্যাদেখানো
আজ বাঙালি বুকে দগদগে অসুস্থ অন্য বৈশাখ ।
৫ : বিশ্রাম
ব্যস্ত রাজপথ অবরোধে সামিল হত জন্ম লগ্ন থেকে
কিছু শুধাবার আগেই পিষে ফেলত আখের রস বের
করার মত,
এই কষ্টের সীমান্ত পেরিয়ে আসতে চায়,
বাস বিশ্রাম নেয় লকডাউনের ঘাড়ে
ট্রেন বিশ্রাম নেয় লকডাউনের ভারতের হৃদয়ে
বিমান নেয় লকডাউনের খাঁচার ভিতর ,
খাবার চায় পরিযায়ী শ্রমিক
আর চায় এক টুকরো হাসি
না চাওয়াতেই পেল অসীম ঋণ
ঔরাঙ্গবাদে শেষ দেনাপাওনা মিটল অমর বিশ্রামে।
Comments
Post a Comment