সত্যজিৎ রজকের কবিতা
পরিচিতি
------------
জন্ম -১৯৯৬ সালে ৫ জুন । পুরুলিয়া জেলার ভাগাবাঁধ গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-এ পড়াশোনা এবং ‘ প্ল্যাটফর্ম ‘ পত্রিকা সঙ্গে যুক্ত । বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন এবং web magazine এ লেখা প্রকাশিত হয় ।
আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে সত্যজিৎ রজকের টানা গদ্যে লেখা দুটি কবিতা
১: অসুখ
বিপাক্ষীক যুদ্ধের শেষে লাশ গুনে ফিরে এসো পৃথিবী , বৈদিক ঋষির গুহা থেকে অবশেষে শোনা যায় বিলুপ্ত পাখিদের গান ।
তুমি এই ভেবে মন খারাপ করো না , হেরে গেছো বলে ।
আলগা মাটির উপর শ্মশানের মুখোমুখি সাক্ষাৎ পেলে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায় মন্ত্র মুগ্ধ পৌরুষের জলাতঙ্ক রোগে !
হে প্রভু , এবার এপথে মেঘ হয়ে ভেসে যেও না । সঠিক সংখ্যার নামতা গুলি বুকের ভেতর সাজিয়ে রেখেছি ...
কিছু একটা বিহিত করে মেঘ নয় নদী হয়ে এসো , নদীর কিনারে একবার হেঁটে দেখতে চাই পৃথিবীর শেষ নিশান...
পৃথিবীর শেষ পথেই ক্রমমুক্তি ঘাটে জীবনের অসুখ । অসুখ বড়ো অসহায় , জীবনের ওঠা পড়া লেগে থাকে জল ও আগুনের মতো !
জল ও আগুন আমাদের পবিত্রতার প্রতীক । সমস্ত ঘৃণা অপমান , সমস্ত রক্তের দাগ মুছে যায় তার স্পর্শ পেলেই ।
২: প্রবাহ বিলাপ
সমাধি সাজিয়ে রেখেছে কুহেলি অন্ধকার। শুন্যতায় ফিরে এসো নাবিক, প্রাচীন জাহাজের শরীরে কোনো আলো নেই। শেষ বারের মতো ভেঙে গেছে পৃথিবীর সমুদ্র পথ !
এই পথে আর হাওয়া নেই কোনো ঝড় নেই , শুধুই থৈ থৈ স্তব্ধ নাবালিকা বধূর মতো অশ্রু বিলাপ। কোনো ঢেউ নেই কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই প্রবলের পরিখা জুড়ে।
পালের দড়ি ছিঁড়ে গেলে চলো বিমুগ্ধ পৃথিবীর পাটাতনে গিয়ে দাঁড়ায়। সদ্য পিঁপড়ের খুদকুঁড়ে নিয়ে যাওয়া আহারে সংসার পাতার অভ্যাস করি ।
আবহাওয়া সাংবাদের প্রান্তিক জুড়িবুটি জুরাসিক বন গিলে ফেলেছে সব। সামাদা করে ওঠার মতো ভারসাম্য চিহ্ন মাত্র আর বেঁচে নেই দ্বিতীয় কক্ষ প্রান্তরে !
প্রবাহ থেমে গেলে , বুকে মধ্যে সমাধানের রৈখিক পথ, অভিযোজনতত্ত্বের ডগায় কামড় বসাতে চলেছে বিচারের শেষ যুগ। তাই এই মাত্র ভেসে যাওয়া বা ভেসে আসার আর কোনো পথ নেই ;
পরিবর্তনের সময় যেভাবে আগুন খেলে গেছে , যেভাবে বরফ খেলে গেছে বুকের মধ্যে, তোমাকে আর কিভাবে বলি ! এই প্রেক্ষাপট জুড়ে বালিহাঁস দল বেঁধে উড়ে গেলে, তোমাকে এক চিলতে সংকেত পাঠানোর জন্যেও ভেবে দেখেনি কেউ ।
Excellent.......
ReplyDelete