বটুকৃষ্ণ হালদারের কবিতা


পরিচিতি:_বটু কৃষ্ণ হালদার, জন্ম_পিতা _সনৎ কুমার হালদার, মাতা_ঊষা রানী হালদার, জন্ম_১৯৮৫ সালে, সুন্দর বনের পাঠান খালি কামার পাড়া নামক গ্রামে। গ্রামে স্কুল পাঠানখালী আদর্শ বিদ্যাপীঠ থেকে ২০০২ সালে মাধ্যমিক পাশ করে কলকাতায় চলে আসেন উচ্চশিক্ষার জন্য। 2002 সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন রাজপুর বিদ্যা নিধি হাই স্কুল থেকে।২০০৬ সালে গ্রাজুয়েশন পাস কলকাতার সংস্কৃত কলেজ। ২০০৮ সালে ইতিহাসে মাস্টার ডিগ্রী কলকাতার আলিপুর ক্যাম্পাস। ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ রেলওয়েতে কর্মরত কর্মচারী হিসেবে যোগদান আদ্রা ডিভিশন। 2017 সালে টান্সফার কলকাতা য়। বর্তমান পোস্টিং শিয়ালদহ ডিভিশনে। লেখালেখি শুরু ক্লাস নাইন থেকে। প্রথম কবিতা "স্বার্থপরতা" ছাপা হয়  সালের পুরুলিয়া জেলার অত্যন্ত জনপ্রিয় দৈনিক সংবাদ মাধ্যম মানভূম সংবাদ মাধ্যমে। বর্তমানে দেশ পত্রিকা, আন্তর্জাতিক কাবিমুখ, বঙ্গীয় সাহিত্য দর্পণ, সারথি, কৃশানু, ইলশে গুড়ি, সহ ভারতবর্ষের বাইরে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া,কানাডা দিয়ে প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা প্রকাশিত।
 আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবির একগুচ্ছ কবিতা

১: বিবর্ণ  ভাষা

সব কিছু মুখে বলতে হয় না
  মায়াবী চোখের বাঁকা ইশারায় ও লুকিয়ে থাকে ভাবের বহি:প্রকাশ.....
হৃদয়ের বন্ধন আলগা হয়ে যায়, নূন্যতম ভাষার অস্বচ্ছতার অ লক্ষে
বলতে গিয়ে ও কত বিবর্ণ হৃদয়ের ব্যাপ্তি, মিশে যায় চোরা স্রোতের গহীন বাঁকে
জোর করে সুন্দর গোলাপ কে পদ দলিত করা যায়, কিন্তু আপন করা যায় না
বৃন্ততে ফুল কেই বা ফোটাতে পারে
মিথ্যা অভিনয়ে সত্যি ভালোবাসা প্রকট হয় না.
আবার কিছু ভালোবাসা বিকিয়ে যায় সস্তা দরে র ফুটপাথের বদ্ধ হোটেলের কামরায়
একটু পা ভিজিয়ে মাপা যায় না সমুদ্রের গভীরতা
অবলেশহীন স্রোতের বিবর্ণ ভাষা
কিছু ভাষা মৌন হয়ে রয়ে যায় পাষান হৃদয়ের আড়ালে.


২: : বিবেক খোঁজে আশ্রয়


দাবানলের ক্রোধ অ্যামাজনের সীমানা ছাড়িয়ে ক্যাঙ্গারুর দেশে
আশ্রয়হীন শকুনি ও আধপোড়া মাংসের গন্ধ পায়।
কাশ্মীর হতে দিল্লির শাহীনবাগ, ধর্মের নামে অস্ত্রের মৌন মিছিল দোদুল্যমান।
কংক্রিটের দেওয়াল থেকে পচা নর্দমা শুনতে পায় গোঁগানির বিকট উল্লাস।
এখন চোরাবালির স্রোত হয়ে থাবা বসিয়েছে করোনা, থমকে গেছে গতিময় জীবনের ব্যস্ততা।
দাড়ি,কমা পূর্ণচ্ছেদ একসাথে ভিড় জমায় তিন রাস্তার মোড়ে।
দিনে দিনে পৃথিবীর অসুখটা বেড়েই চলেছে। গৃহবন্দি মানুষগুলোর বাড়ছে চরম উদ্দীপনা। শুনশান লোকালয়ে অবাধে ঘুরছে হিংস্র জীব জন্তু।
ধর্ম স্থান গুলো কালো কাপড় দিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। প্রশ্ন একটাই, হাতে হাত রেখে স্নিগ্ধ বালুচরে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা কি শুধু স্বপ্ন হয়ে থেকে যাবে?
এ চরম দুঃসময়ে উলঙ্গ বিবেক খোঁজে আশ্রয়।


৩: অস্তরাগের গান


কবিতা তোমায় পাব না জেনে এই জীবন কে দিয়েছি ছুটি,
আঁধার ঘেরা জীবনটা কে মোর সাজিয়েছি পরি
পাটি "
তুমি জংলা তীরে আসবে বলে পাড়ি দিয়েছি খুব ভোরে,
ভেবেছিলাম নির্জন নিঃসঙ্গতায় তোমায় বাঁধিব বাহুডোরে"
তোমার কথা ভাবতে ভাবতে হয়েছি বে হিসেবি ভাবুক,
তোমায় ছুঁয়ে দলিত যুবকটি খেয়েছে অগণিত
চাবুক "
তোমার নেশায়  কত শত  দেবদাস ডুব দিয়ে
মতিঝিলে"
তোমার দাম্ভীক উষ্ণ বলয়ে তাদের পিষেছ পায়ের হিলে"
তোমার কথা ভেবে গাইছে বিবেক অস্ত রাগের
গান
অতলান্তিকের ঢেউ মাপ তে গিয়ে বেঘোরে দিয়েছে প্রাণ"


৪: : তোকে বড্ড ভালোবাসি


ইস, তোকে যদি একবার ছুঁয়ে দেখতে  পারতাম
, তোর ওই লাল ঠোঁটে যদি স্বপ্ন এঁকে দিতাম,
না এমন আশা কোনোদিন করিনি,
কারণ আমি তোকে বড্ড ভালোবাসি পাগলী,
তোকে সারা জীবন বুকের মাঝে আঁকড়ে বাঁচতে চেয়েছিলাম,
তোর চোখের তারায় স্বপ্ন দেখেছিলাম,
কিন্তু কখন যে তারা খসা হয়ে ঝরে পরলাম বুঝতে পারিনি,
 গহীন আঁধারের বুকে চাতক পাখির মতো জেগে থাকে পিপাসার্ত মন।
সুরার পেয়ালা এখন সঙ্গ দেয় আমার।
আত্মার সঙ্গে মিশে যেতে চায়। যখন খুব বেসামাল হয়ে পড়ি,
তখন ছুটে যাই জলঙ্গীর তীরে,
সোহাগীর জল তরঙ্গের কাছে জানতে চাই, কেমন আছে বন্ধু আমার?

Comments

Popular posts from this blog

দেবীপ্রসাদ বটব্যাল এর কবিতা

শ্যামল সরকারের কবিতা

শম্পা সামন্তর কবিতা