অর্ঘ্যকমল পাত্রর কবিতা
বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত৷ টুকটাক কিছু পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হচ্ছে... নয়ের দশক ও প্রথম দশকের কবিদের দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত। স্বল্পদিন পৃথিবীতে আসায় যে অর্বাচীন আর নিজের পরিচিতি দীর্ঘায়িত করছে না। বাংলা কবিতা, ও তার বাঁকবদল দীর্ঘজীবি হোক...
আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে অর্ঘ্যকমলের একগুচ্ছ কবিতা।
★অ্যাশট্রে★
১.
আমার মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য
কাঠ এনে চিতা সাজাই
তারপর
মৃত্যুভয়ে আগুন দিই তাতেই।
পুড়ে যায় কাঠ
একটা জীবন...
২.
এবং বৃষ্টি হল খুব।
গাছেরা চানটান করে খেয়ে দেয়ে
চলে গেল ঘুমোতে
শুধু
আমার ঘুম,কেউই ভাঙালো না
৩.
এই মধ্যদিনে, খুব করে সেজে
মেয়েগুলে গাছের ছায়ায় দাঁড়াল
স্বভাবতই মাটি, স্বভাবতই ঘাস
ভীষণভাবে দগ্ধ হয়
অতএব, একমাত্র শাশ্বত প্রবণতা
জীবানুনাশক রোদ!
৪.
এই ঘর আর এই টেবিল আর এই বালিশ
আমাকে কোনোদিনই নির্বাণ দেবে না!
যেভাবে
‘নিঃশব্দের’ ভিতরে লুকিয়ে থেকে
খোদ ‘শব্দ’ই আঘাত হানে!
★যোগসূত্র★
১.
ফের ঘষাঘষির লোভে
প্রতিটি ভেজা গামছা গরম হয়
আর শুকিয়ে যায়...
২.
বড়লোক বাড়ির সন্তানহীন চাকর।
ক্যামেরা আর টিভি...টিভি আর বিজ্ঞাপন...
এসব দেখতে দেখতে বুঝে গেছে
জাপানি মন্ত্রেই উজ্জীবিত হবে সকলে
৩.
রোজ রাত্রেই, একটা জালের
ভিতর আটকে পড়ি আমি।
তারপর রূপকথা থেকে
একটা ইঁদুর আসে, আর জাল কেটে কেটে
সকালকে উন্মুক্ত করে
৪.
সিলিং থেকে ঝুলে পড়লেই যে
আমরা হালকা হব আর ভেসে বেড়াব...
এমনটা কেউই বলে যায়নি
৫.
একটাই দরজা। বন্ধ।
বাইরে বেরোতে হলে, দরজা
টানতে হবে
আর তোমাকে ভেতরে আসতে হলে
দরজা ঠেলতে...
*বিড়ালের মতো*
স্রেফ কল্প। এর আগে
কোনো চিত্র নেই।
ভরদুপুরে, তুমি শরীরে লালন করছ
হারমোনিয়াম
জানি, নাস্তিকের হেরে যাওয়া বলতে
ব্যর্থ ইতিহাস।
খুনী, চিরকালই রক্ত বিষয়ে সচেতন
কবিতা গুলো ভীষণ সুন্দর
ReplyDeleteদারুন দারুন কিছু কবিতা....
ReplyDeleteদারুন দারুন কিছু কবিতা....
ReplyDeleteদারুন দারুন কিছু কবিতা....
ReplyDelete