প্রসূন কুমার মন্ডলের কবিতা
প্রসূন কুমার মন্ডল সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জে থাকে। বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে ভূগোলে সাম্মানিক নিয়ে পড়াশোনা। প্রকাশিত হয়েছে একটি কাব্যগ্রন্থ - বিশ্বাস ও গোপন তিল
আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে ওর কবিতা।
উড়নচণ্ডী মেয়ে
[এক]
সারাক্ষণ তোমাকে মাথায় নিয়ে ঘুরছি
যেমন বহুদিনের পুরানো জ্বর
এসো, স্বল্পায়ু বিশ্রাম দিয়ে যাও।
আজকে আমার খুব ইচ্ছে করছে —ওই ফর্সা পা আর
বসন্তের দাগ ছুঁয়ে আলতো চুমু এঁকে দিই
পরশু রাতে তোমাকে স্বপ্নে দেখেছি
আমার জন্য কৃষ্ণচূড়া ফুল কুড়িয়ে এনেছো দেখলাম
বহুদিন দেখা হয়না আমাদের,আগের মতো....
গাছটি এখনো বেঁচে আছে,ছায়া দেয়,আশ্রয় দেয়
ফুল ফোটে,সন্ধ্যায় পাখিরা এসে বসে
ফুল ফুটলে তাকে অগ্নিগর্ভা দেখায়,দূর থেকে দেখি
[দুই]
এই যে ভীরুতা, নিজেকে জলাঞ্জলি
ছুটে আসা তোমার কাছে, বারবার
ফিরি প্রত্যাখ্যান নিয়ে —কুড়িয়ে রাখি
ধারণ করি মালা গেঁথে,প্রিয় সর্বনাশের মতো
ক্ষতিপূরণ নেই জেনেও—তবুও,তবুও আসি
তুমি একে কি বলবে রাসেশ্বরী? উচ্চাশা,নাকি প্রেম?
[তিন]
যত বারই রেখেছি চোখে চোখ
মনে হয়েছে—আমি সেই অসহায় বালক
যে কুড়াতে এসেছে ঝিনুক,বিশাল সমুদ্রে,একাকী
[চার]
উচ্ছন্নে যাওয়ার
প্রায় দুশো ছাপান্ন রকম পদ্ধতি জানা থাকা সত্বেও
আমি নির্বাচন করেছি তোমাকেই
তা না হলে প্রেমিক কিসের?
এই যে মায়া নদী,পার হতেই
কেটে যাবে আরো একটি মায়াজন্ম
ক্রমশ এগিয়ে আসছে এক চির প্রতীক্ষিত
জিরো আওয়ার,মৃত্যু—এক নিশ্চিত জন্মফল।
[পাঁচ]
প্রত্যেকটা ভুল করা মাত্রই খুলে যায় তিনটি দ্বার
(ক্ষমা, শাস্তি, মৌনতা)
যেভাবে আলগা হয় পোশাক সঙ্গমপূর্বে—মুক্ত অথচ আবদ্ধ
বস্তুত, প্রেমিককে শিখে রাখা উচিত
প্রতিশ্রুতি তে আবেগ থাকতে নেই।
চমৎকার সব কবিতা
ReplyDeleteখুব সুন্দর রে।
ReplyDelete