তানিয়া হাসানের কবিতা
তানিয়া হাসান বাংলাদেশের নতুন লিখতে আসা এক তরুণী
তাঁর মধ্যে ভিন্ন আঙ্গিক এবং ঘরানায় লেখার প্রবণতা। বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিতব্য ই-ম্যাগাজিন -ক্যাওস- এর সম্পাদনার সাথে যুক্ত।
আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবির একগুচ্ছ কবিতা
ত্রিভুজ বিভ্রান্তি
---------------------------
বিপর্যস্ত আবহাওয়ায় সাদা গোলাপ লাল না হলেও
অপরাজিতা নিশান উড়ায়
আলিঙ্গনের পিপাসায় সম্পর্কে হাহাকার
বন্ধু+প্রেম+কষ্ট =সমবাহু ত্রিভুজ
বিকেল ফুরালে
তিনটি রেখা ঝলমলে
তবু আবদ্ধতা দণ্ডনীয় অপরাধ।
আর একটি ভূমি নির্বাচন
ট্রাপিজিয়ামের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স
চার চোখের দুশমনি পোক্ত হলে
মুখস্থ করা যেতেই পারে ফাকি দেওয়ার পন্থা
এক ডজন স্লিপিং পিল পিং পং খেললে
জিতে যাবে শুভঙ্করের ভোর
শূন্যের মাঝে বিন্দু খোঁজার আকাঙ্খায়
ডানা ঝাপটায়,ঝাপসিয়ে যায়
আস্থার বারবিকিউ-
--------------------------
অতএব,প্রমাণিত হলো কাক কখনো সাদা হয় না
আর সাদা কাকের ডানায় বিশ্বাস ঘুমায়!
চার এক্কে চার এর আয়োজনে
শালবনে মেহেন্দির যে বারবিকিউ হয়েছিলো
তার রিক্ত ঘ্রাণ,আধুনিক ভোরে হরিণকে
হরণ করতে পারেনি, তবে কিছুটা ঘায়েল করেছিলো,
হায়েনার দৃষ্টি চিনতে গভীর বনে যেতে হয়নি
আরশিকে,
সে নিজেই পরাস্ত শিশিরের দৈন্যতায়,
অসময়ের বৃষ্টি ধুয়েদিলো নকল রাজার কেশর
ছায়ার শরীরে অল্প আচে রক্তের বুদবুদ
বাষ্প - বাষ্পে সংঘর্ষে
অবাক-সুখে মুক্ত আজ অব্যক্ত বর্ণমালা
অজ্ঞাত উচ্ছ্বাস -
----------------------
মুগ্ধতার ছলে বেতাল কাক ছল হাওরে ঘুরে
ঠোঁটের নিচে তিলক রশ্মির গল্প তার অজানা,
উচ্ছ্বাসে অজ্ঞান হলেও জ্ঞানের কপাটে কিছুটা ভাজ আছে বলেই কোকিলের কাছে সে ফেলারী।
কাক হয়তো জানেই না খুব বেশি
ভালোবাসলেই অভিশাপ করা যায়!
চোখপুকুরে বারোমাস বর্ষা তবে
বৃষ্টি দেখেনি কেউ।
ঝাকড়া চুলের সাথে দাঁড়ির সমঝোতা হলোনা
সাইজীর দুয়ারে তাই নাচলোনা মেঘ
জ্ঞান,অজ্ঞানের দ্বন্দ্বে
চাঁদেশ্বরী পুড়লো তবে পুকুরঘাট অক্ষত!
ছিলো, আছে, থাকবে....
অঘোষিত হিপোক্রেট অন্তস্থলে-
-------------------------------------------
আমি ও আমার বিতর্কে জিতে যায় অন্তস্থলের আমি!
ছেড়া গল্পে পরিনত ঘা ফিকে লেবুর সুভাস বিলায়
পঁচে যাওয়া বাসর আধা পেয়াজের সঙ্গমের তৃষ্ণায় জাগে প্রলয়ের ক্ষুধা
উপোসিত ঠোঁটে অপ্সরীর চুম্বনের ঘ্রাণে।
আমাবস্যার ভয় ভয় কামে
আমি ঘৃণা খায় আমার উপাসনালয়
স্যাতস্যাতে উঠোনে ফোরনার পাপড়ি ছড়িয়ে মেঘেদের স্নানে করে হুল্লোড়।
মুঠোবন্দি শিখা হিমাংকের নিম্নবর্গে
এক ঝলক তুষার পাত....
পাথর ক্ষয়ে গড়ে অহম,
আমিকে ভুলায় আমার রিপু
রংধনুর জখমে আকাশ ভেঙে ২৮ বসন্ত মেডিটেশনরত একটা নীল পাঞ্জাবীর অপেক্ষায়...
স্রস্টার ঘরে কথার প্রদীপ জ্বেলে
আমি হিপোক্রেটের বারান্দায়।
আমার দীর্ঘশ্বাসের কলতলায় আষাঢ় নামায়
চিরঘাতী আমি, চৈত্রের বিকেলে।
আমার তলদেশে উচ্চবর্গীয় আমি
আস্ত সূর্য গিলে উড়াল দেয় সাদা কাকের ডানায়।
আমার আমি!!
মাইক্রোস্কোপেও হয়না চিহ্নিত।
অতীতের অঙ্কুর-
----------------------
আমরা দাঁড়িয়ে ফিকে বারান্দায়
নিজ অঙ্কুরিত ফল হাতে
মরিচাধরা অতীতের ধাক্কায়
শামুক কাঁপে!
আষাঢ় চমকায় বোবা তরঙ্গে
সেপাড়ের ব্যাপারে রোমিও
চিলের ডানায়
ভিজেনা কদম
থালাভরা প্রেম
বুভুক্ষু করতল
ছটফট হাওয়া
হাওর সাঁতরিয়ে
হাঁড়িতে নৌকা নৌকা খেলে
বাক্সবন্দী চোখে বিকেল ভাসে
বাশপাতার সংগীতে।
পাগল রাতে খুচরো প্রেম
ধুয়ে উজ্জ্বল হয়
খরচ হয়নি, হবেও না হয়তো
উষ্ণ হসন্ত-
-----------------
হ- যদি হয়েও না-হয়
হাবুডুবু খেতেই পারে হসন্ত উষ্ণনুনে
ভেজা সবুজ ক্যানভাসে আঁকতে পারে
ব্যাঙের স্কেচ,
ধোঁয়ার ভগ্নাংশ,
সকালের স্বপ্নে যদি স্মৃতির শুটকি পিক ফেলে
রুপালি ইঁদুরের লেজে নাক চুলকিয়ে
আলপিনের সাথে হতে পারে সখ্যতা।
আঙুরের বাগান জানেন
ঘোরের ঘরে কায়া, মায়া,ছায়া সহোদর,
তাই পাহাড় টিকটিকির নখকাটলে
নিভবেনা চাঁদ
শিশিরের কপালে সিঁদুর খেলে
ভেসে যাবেনা এক ঝাঁক মৃত্যু।
ধোঁয়ার ভগ্নাংশ,
সকালের স্বপ্নে যদি স্মৃতির শুটকি পিক ফেলে
রুপালি ইঁদুরের লেজে নাক চুলকিয়ে
আলপিনের সাথে হতে পারে সখ্যতা।
আঙুরের বাগান জানেন
ঘোরের ঘরে কায়া, মায়া,ছায়া সহোদর,
তাই পাহাড় টিকটিকির নখকাটলে
নিভবেনা চাঁদ
শিশিরের কপালে সিঁদুর খেলে
ভেসে যাবেনা এক ঝাঁক মৃত্যু।
*তানিয়া হাসান*
সব কটিই দুর্দান্ত
ReplyDeleteকবিতাগুলো কি আপনি লেখন, নাকি ঈশ্বর !!!
ReplyDeleteশুভ কামনা থাকলো অসাধারণ অনুভূতি অসাধারণ প্রতিটি কবিতাই জুড়ে রয়েছে অসাধারণ কিছু শব্দের লীলা যা সত্যিই অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ।
ReplyDeleteঅদ্ভুত
ReplyDeleteঅনেক গভীরতায় গিয়ে লিখেছেন কবিতাগুলো! এগিয়ে চলুন সম্মুখে।
ReplyDeleteঅপূূূর্ব কিছু শব্দচয়নে
ReplyDeleteদারুন কাব্যময়তা - মাদকতাময়!
খুব সাম্প্রতিক মনন ও প্রকাশভঙ্গি।
ReplyDeleteচমৎকার কবিতা
ReplyDelete