বর্ণজিৎ বর্মণের কবিতা
পরিচিতি:বর্ণজিৎ বর্মন । জম্ম , কোচবিহার জেলার গোসানিমারিতে । বর্তমান মালদায় বসবাস । পেশা-গবেষণা(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) ।
আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে বর্ণজিৎ বর্মণের একগুচ্ছ কবিতা।
১: অন্ধকারের রাত
নৌকাটি স্রোত ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে
আলোমুখী জীবন পারাপার করে ।
কিন্তু ইজ্জতের নির্যাস দারিদ্রের কোনো ঢেউ
ভাঙ্গতে পারেনি মাঝির ।
ভবিষ্যত রীতিমত এভাবে চলে কি ?
শেষ সম্বলটুকু চোখের জ্লে ভিজিয়ে
গভীর অন্ধকারের রাত, বনলতা সেন পেরিয়ে
আমরা চলছি চরম গন্তব্যে..
২: মন্তব্য
এক বহ্নি শিখা থেকে কাঁচা আলোর
যে মুখ পথ বেরিয়ে আসে
তার স্পর্শ চাই আমার সবুজ শরীর জুড়ে
তারপর এক জোড়া প্রজাপতি
দাম্পত্য গল্প শোনাবে আমার
ঘাসফুলে বসে
আমি শিখি , আর একটা চারাগাছ হয়
জেনারেশন 2জেনারেশন
উত্তরাধিকারির পতাকা বয়ে নিয়ে যায় ।
এভাবে কোনো মন্তব্য ছাড়াই শীত নেমে আসে
আমরা জম্মজ্ম্মান্তরের অধিবেশন বসাই
৩: বিশ্বাস
সম্ভাব্য পাতা গুলি ঝরে যাওয়ার আগেই
সন্ধানী শিকড় বলেছিল
বিশ্বাস ভেঙে যেওনা
ভোরের পাখি কাকলি শুরু করেলেই
পাতা সারা রাতের কথা ভুলে গিয়ে
উড়তে চেষ্টা করে
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ফলে
শুরু হয় বৃষ্টি
উরালপুলেও জমে যায় জল
পাতাদের আর উড়া হল না
বিশ্বাস ভেসে আসে না নদীর জ্লে
অন্তর থেকে তৈরি হয়
যা উড়তে , নামতে ,শিখতে আলো ছায়ার মতো লেপ্টে থাকে
৪: শীত
প্রতি বছর শীত এলে
মা প্রফুল্ল মনে
একখণ্ড পলিটিক্স ,
বুকে জড়িয়ে দেয়
দিদি বিপাশা ঘুমায়
এক সাধারন গ্রাম্য ঘুমে ডুবে যায় বিনানই গ্রাম ।
মা'রা একা একা বসে জেগে থাকে
কখন ভোর হয়ে
বাসনার ফুল ফোটে
৫" প্রত্যাশা
সারারাত প্রত্যাশার সাথে বসবাস করি
আমার খুব কাছাকাছি এসে
ফিসফিস করে রঙবেরঙের কথা বলে ।
জীবনের জার্নি পথে ধূপ গন্ধ
ছড়াতে ছড়াতে বকুল তলায় মাটি খুরতে যাও,
যুবরাজ - রাজপাটের ওয়ালে চিত্রকলা প্রদর্শনীর
পাবলিসিটি করলে আমি
দুধসাদা মনের খোঁজে প্রত্যশার তল্লাশি আঁকি।
অসাধারন
ReplyDelete