অজয় ঋষি দাসের কবিতা
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার এক ঐতিহাসিক অঞ্চল টাকির একেবারে প্রান্তিক চত্বরের একটা গ্রামে বেড়ে ওঠা|
টাকী রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক গন্ডি পেরোনো|
বর্তমানে ইলেক্ট্রিকাল ট্রেড নিয়ে Iti করছেন
ছোটবেলা থেকে কবিতার সাথে পরিচয় কিন্ত জিরো গন্ডির আবর্তে অন্য রকম দৃষ্টি দিয়ে দেখতে শিখেছেন
আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে অজয়ের একগুচ্ছ কবিতা।
১: ডার্ক ওয়েবের পণ্য আমি*
দৃশ্য ১
স্থূল কোণে শুইয়ে
বরফ মেশানো নীল ওয়াইন ঢেলে চলেছো আমার স্তনের ফাঁকে
আর মাঝে মাঝে চুমুক দিয়ে চুষে নিচ্ছো আমার যোনির ওপরে মুখ রেখে
দুচোখে নেশা মেখে এসেছো
আর আমার নেশার আগুনে নেশা ঢেলে আররও নেশাতুর হতে চাইছো
আমার দুচোখের সামনে
তলপেট বেয়ে নেশা গড়িয়ে পড়ছে
যোনি দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে ঢুকে যাচ্ছে
আর আমি ঠোঁট কামড়ে কামড়ে নেশা সংবরণ করছি
আমার নেশা পিক পয়েন্টে ওঠার আগেই তুমি হাত দুটি বেঁধে ফেলেছো
যে দুটি মেয়েদের নেশা আঁকড়ে ধরার একমাত্র সম্বল
তুমি তোমার শরীরকে আমাকে স্পর্শ করতে দাওনি
আমাকে তুমি ছিঁড়ে খেয়েছো সর্বাঙ্গ দিয়ে
যখন আমার শরীর ফিনিক্সের মতো লেমিঙ্গের মতো
ধ্বংসের লীলায় মেতে ওঠতে চাইছে
শরীরের লোমকূপ ফেটে আগ্নেয়গিরি বেরিয়ে আসতে চাইছে
তুমি তার মজা নিচ্ছিলে
না আমি আর পারছিনা
আমার কোষে কোষে পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটে যাচ্ছে
ধবধবে শশীর লাল হয়ে যাচ্ছে
স্তনের ওপরের সংকীর্ণ মোলায়েম বুকে গরুর মতো খসখসে জিভ চেটে যাচ্ছে
এক হাতে বাদামি চুলের মুটি ন্যাংটো হচ্ছে অন্য হাতের তর্জনী আর মধ্যমা সমান্তরালে দাড়িয়ে নক করে যাচ্ছে যোনিদ্বারে
পরের মূহর্তে আমার ওষ্ঠ অধর কামড়ে ছিড়ছো হিংস্র দাঁত দিয়ে
আঙুলের ডগা আঁচড়ে আঁচড়ে পিঠের মাঝে ডুবে যাচ্ছে
আর আমার উষ্ণতাকে হিমেল করতে নাকের সমান্তরালে জেগে ওঠা শিশ্ন সঙ্গম করে চলেছো আমার যোনিপথে
আমি আসমুদ্র শীৎকার করে চলেছি
আর আমার ভার্জিনিটি নষ্ট হচ্ছে দুপায়ের ফাঁকে
দৃশ্য ২
এতকিছু সব তোমাকে দিয়েছিলাম প্রেমিকা হিসাবেই
কিন্ত কে জানতো বদ্ধ ঘরের দৃশ্য ভিডিও হয়ে যাচ্ছে ট্যাগ হয়ে উলঙ্গ বিশ্বে
আমি হাতে হাতে শেয়ার হয়ে যাচ্ছি ওয়েব লিংকের মধ্যে দিয়ে
কে এবার ওয়েব সিরিজ করে ভিডিওর কাঁটা কাঁটা অংশগুলি উল্লুর প্লাটফর্মএ ছেড়ে দিয়েছে চড়া রেটে
আমি চলা রাস্তায় মানুষের দৃষ্টিতে হোঁচট খাই
ঐকিক নিয়মে আমার সমস্যার সমাধান করতে পারিনি
বীজগণিতের একঘাত দ্বিঘাতেও সমাধান করতে পারিনি
এবারে বহুঘাত সমীকরণ এ প্রয়োগ করে দেখি
তোমরাও চেষ্টা করে দেখ
যদি কোনো সমাধান করতে পারো বহুঘাতে
২: সোহাগ সঙ্গমের রাসায়নিক বিক্রিয়া
সন্ধ্যার বুকে গেথে যাওয়া ছুরি
গভীর রাত নামিয়ে এনেছে____
রক্তের হিমোগ্লোবিনে জেগে ওঠা হিমউষ্ণতা
শীৎকার ছড়িয়ে দিয়েছে শরীরের প্রতি লোমে!
মাইটোকনড্রিয়ার সঞ্চিত শক্তি
আকাশে বিদ্যুৎ নেশা মাখিয়ে দিয়েছে |
সোহাগ সঙ্গমের প্রথম অধ্যায় লিখতে চলেছো আমার উপন্যাসে ••••••••
খসে পরা জ্বলন্ত উল্কা ন্যাংটো হতে হতে ছুটে আসছে আমার নরম শরীরের গভীরতা মাপতে !
তীক্ষ্ণ নখেদের হিংস্র থাবা
মসৃন চামড়া ছিঁড়ে ন্যাংটো করতে চাইছে আমার সমস্ত রসালো কাঁচা শরীর
মাংসের কিমা কসতে কসতে বায়বীয় ফ্লেবার চেটে স্বাদ মেটাচ্ছে টেস্টোস্টেরন
দুটো হাত আমাকে নরম বিছানার সাথে মাখিয়ে অনুভব করতে চাইছে
কিছু উত্তেজক অনুঘটক মার্কা শব্দে চিৎকার করে আমাদের রাসায়নিক বিক্রিয়াকে একটা আর্টের রূপ দিতে চাইছো
ঐকিক নিয়মের বিভাজন পদ্ধতিতে
হরের ওপরে লব বসে
শান দিচ্ছে
দুফোঁটা ঘাম প্রতি ধাক্কায় কেঁপে উঠে এক হয়ে যাচ্ছে
৩: আফজল আলির অলৌকিক আলিঙ্গন
আফজল আলির একটা একটা ঘনিষ্টতার আঁচড় আমাকে ব্ল্যাকহোলে বারে বারে রেখে আসে
দীর্ঘ কয়েক বছর পরে আমার কবিতার বুকে
বোধহয় জারি হওয়া ১৪৪ ধারার অবসান হয়েছে
শব্দকণিকারা সময় রসে মিশে ধমনী বেয়ে প্রাণখোলা হয়ে ছুটে চলেছে হৃৎপিন্ডে
দীর্ঘকালীন মনোপজ ভেঙে গিয়ে জরায়ুর ডিম্বাণুরা সৃষ্টির নেশা খুজে পেয়েছে
হাজার নক্ষত্রের ধর্ষণের পরেও চাঁদ মুখে হাসি ছড়াচ্ছে
শব্দেরা ছুৎকার ভুলে গিয়ে জামাপ্যান্ট খুলে মিশতে শিখে গেছে
এখনকার ওয়ার্কসপে
সায়েন্স
ফিলোসফি
লিটারেচারের থ্রী ফেজে
চালিত মস্তিস্ক থেকে বেরিয়ে আসছে নতুনভাবে বলার বহুমুখী শব্দ
আজ আমার ভাষারা শুধু আলাদিনের প্রদীপের আলোয় পথ খুঁজে পাইনি
খুঁজে পেয়েছে স্বয়ং আলাদিনকে
আজ অনুর গভীরে পরমাণুরা স্বছন্দে নিষিক্ত হচ্ছে
৪: জিরো বাউন্ডারি স্বাদ গন্ধে
জিরো বাউন্ডারির বিশাল কড়াইতে রান্না হয়ে যাচ্ছে;
কেউ কি এর আগে ভেবেছিলো এরকম ভাবে রান্না করা যায় কি ••••••••
ওদিকে মূল রাঁধুনি "জিরো বাউন্ডারি কনসেপ্ট" নামে রান্নার ওপরে একটা দর্শন লিখে ফেললো!
রান্নার ওপরে এরকম দর্শন যে হতে পারে!
বেশ কিছু মানুষ বেঁকে বসেছিল।
কিন্তু বিজ্ঞানের Chemistry জানা
সেই শৈশব বেলা থেকে খাতার যোনিতে পেন নাড়িয়ে আসা
রাঁধুনি জানে
কিভাবে নিউমেনু
নতুন প্রজন্মের মুখে রুচি জোগাতে পারে
আজ জিরো বাউন্ডারি ছাদ খোলা হোটেলে নতুন নতুন সব রেসিপি তৈরী হচ্ছে
যার বহুমুখী স্বাদ গন্ধে ভরপুর হচ্ছে আকাশের নিচের সমগ্র এলাকা
লেখনীতে
খুব ছোটো ছেলে
৫: প্রাসের গতিপথে তাকিয়ে আছ
আকাশের তলপেটে থরেথরে মেদ জমছে রোজ
ডাবগাছের মাথার কচি বুড়ো অন্ডোকোষেরা নেকড়ে দৃষ্টিতে করছে তৃষ্ণার খোঁজ
কচি কাশের চুলের মুটি টেনে বিবস্ত্র করে
দুলে উঠে নেশা মেটাচ্ছে হিংস্র বাতাস
এই দশকের নরম প্রকৃতিরা আজ ধর্ষণের শিৎকারে করছে হাসফাস
শরতের পূর্ণিমার আলোতে কোকিলের গায়ের কালো জিন্স টপ খুলে মজা নিচ্ছে কাক
মাঘের শুক্লা চতুর্থীর রাতে উত্তরপ্রদেশের গমের বাগানে কোনো এক গমের শীষে দাঁত দিয়ে স্তন ছিড়ছে পিশাচ
বারো মাসে হাজারটা ধর্ষণের উৎসবে মেতেছে পিশাচের দল
বাহ, একেবারে অন্য রকম। অত্যন্ত আধুনিক
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো।