বন্দনা বর্ধনের কবিতা

 

পরিচিতি : গৃহবধূ।  কবিতাকে ভালোবেসে কবিতা লেখা।  হুগলি জেলার চণ্ডীতলা থানায় নিবাস।  কবিতা প্রকাশিত হয়েছে কিছু কিছু পত্রিকায় । 

আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে বন্দনা বর্ধনের পাঁচটি সাবলীল ভাষার কবিতা। 


১ : দীর্ঘশ্বাসের ঘ্রাণ 


অজান্তে  অভ্যাসগুলো কেমন এলোমেলো হয়ে গেছে

আজও সেই দিনগুলো খুঁজে চলি

মধুমাখা দিনের মালা গেঁথে জব করি একশ আটবার করে

ভালোবাসা অন্যায় নয় যত দূরে থাকি আরও গভীর প্রেমে আকৃষ্ট হয়ে যেতে চাই এই চন্দ্রিমা রাতে  

আলতো বাতাসের ছোঁয়া মনের কড়া নাড়িয়ে বলে লক্ষ তারার ভিড়ে তোমায় খুঁজি

তোমার জন্ম ছিল আমার অন্তরের একাগ্রতা হবার জন্য

দীর্ঘশ্বাসের ঘ্রাণ আজ বিকেল সাড়া  দিয়ে উঠল 

এখন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় এসে গেছে

সব কিছু হৃদয়ের মণিকোঠায় সযন্তে তুলে রাখলাম



২ : হৃদয় ছোঁয়া লক্ষ্যভেদে



অগোছালো জীবন লুকোচুরি খেলা থেকে মুক্তি 

কত শত পথের বাঁক ঘুরে বেড়িয়েছিলাম 

নতুন মানুষের সমারোহ আলাপ আলোচনা সব মিলে মিশে একাকার ছিল ভরা যৌবন

সুদূর অতীতে প্রসারিত অবস্থায় রয়েছে একটি সাধারণ শহরের কবিতা রচনা

জানি তুমি আর ফিরে তাকাবে না

 দিলে না তো সাজিয়ে গুছিয়ে কবিতার গুচ্ছগুলো

আমি তোমার আঁখির স্বপ্ন দিয়ে বাঁচতে শিখেছি

তোমার হৃদয় স্পর্শে কবিতা লিখতে চেষ্টা করি

দিলে তো হাত দুটি ছেড়ে আমি অথৈ জলে

ভেসে যাই তুমি জানো বড়ো

 অভিমানি তাই যে আমি গভীর জলে ডুবে যাবো উঠবো না আর কোনো দিন 

অবশিষ্ট থেকে যাবে তোমার হৃদয় খানি

আমি বসে বসে ভাবি নাই বা দিগন্তের এই হার মানা হার খেলায় মেতে উঠবে জ্বলে শিখা চিরন্তন সত্য বলে উল্লেখ করে থাকে

ভয় কি সাথে যুক্ত কথা বলার মতো হৃদয় ছোঁয়া লক্ষ্য ভেদের পরশ দিলে ভোরে



৩ : কুঞ্জবনের আড়ালে 



অনেক বছর পরে দৃষ্টির আকর্ষণ খুঁজে পাওয়া 

হৃদয় কাঁপানো প্রস্থগুলো চুঁইয়ে রক্ত সঞ্চালন 

কিছু শব্দের খোঁজ মেলে আকাশ বাতাস চন্দ্র ফুঁড়ে

ভালো বাসার স্রোতের টানে ভাসতে ভাসতে দেখলাম কতগুলো নূড়ি বালির সাথে নদী গোপন আলাপ

 এমন কি হয় না সূদুর থেকে গোপন মিলন শান্তির নীরব নীড় ভেসে আসা

তোমার সাথে লুকিয়ে থাকা ছায়াপথ স্তবকের আহ্নিক গতিতে ছুটতে থাকা

প্রাণের আকুতি বেঁধেছি আলোর

 প্রতিফলন ঘটেছে বলে উল্লেখ করা

বসন্তের ছায়া কুজ্ঞবনের আড়ালে মর্মে গেঁথে রাখা



৪ : আসমান ভেসে শব্দ ছোটে


অন্তরের লুকিয়ে থাকা টুকরো স্মৃতিগুলো

 অনুভবের বাস ভবনের খুঁজে যাওয়া

রাতের আলতো হাওয়ায় গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত

শ্রাবণের সন্ধ্যা তারায় বইছে 

উঠবে জ্বলে অলক্ষ্যে নতুন বাণীর সুর ধরে

বন্দি ঘরে শূন্য আসন সকল 

আজ সকালে উঠবে নতুন সূর্য দিশারী সবুজ রঙে বেয়ে উঠতে শুরু সুখের খনি

শস্য শ্যামল ভরা  সবুজ গাঁয়ে মন , ভরা পাখির ডাকে আসবে স্মৃতির পাতায় ঝরে

সকল প্রাণের প্রদীপ শিখা চিরন্তন হয়ে

 জ্বলবে দীর্ঘ নদীর তীরে একটি সাধারণ কবিতা হয়ে

আসমান ভেসে শব্দ ছোটে ধরতে নাই দিগন্তের এই মাঝ পথে



৫ : অবশিষ্ট রয়েছে একটি মেহগনি গাছ 



মেহগনি গাছ নিঙড়ে  বের হচ্ছে অস্থি মজ্জা

আমি সেই মেয়ে একটা গোটা পৃথিবী দেখতে চেয়েছি কবিতা দিয়ে 

আলতো মৃদু চোখে হাজার স্বপ্ন নিয়ে 

দূরে কেউ অপেক্ষাকৃত কম বেশি সময় ধরে

রাখতে পারি সময় খানিকটা তোমায় দেবো বলে

আমি আর পাঁচ জন কার মতো নয় শুনতে পাচ্ছ 

পৃথিবীর এক প্রান্তে অবস্থিত একটি নতুন কাহিনী লেখা

আমি সময়কে বড়ো অপেক্ষা করায় থমকে বুকের মাঝে 

ঢেউ তুলেছে সজীব গাছের পাতা ভরা গানে

অঙ্কে মেলেনি জীবন পরিচয় 

সংসার হলো না শেষে জীবনখানা বৃথা

প্রাণ চুয়ে রক্ত সঞ্চালন লাইন করে আসে

দীর্ঘ দিন অবশিষ্ট রয়েছে একটি মেহগনি গাছে

নীচে চারটি প্রধান কাজ করতে হবে আজ

খবর পড়ে উঠলাম সকল প্রকার নীতি বাচক

Comments

Popular posts from this blog

শম্পা সামন্তর কবিতা

মোনালিসা রেহমানের কবিতা

বিবেকানন্দ দাসের কবিতা