অজয় ঋষির কবিতা

 


বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার এক ঐতিহাসিক অঞ্চল টাকির একেবারে প্রান্তিক চত্বরের একটা গ্রামে বেড়ে ওঠা|

টাকী রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক গন্ডি পেরোনো|

ছোটবেলা থেকে কবিতার সাথে পরিচয় কিন্ত জিরো গন্ডির আবর্তে অন্য রকম দৃষ্টি দিয়ে দেখতে শিখেছেন

আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে অজয়  ঋষির একগুচ্ছ কবিতা। 


১: মোহময় শীতের উত্তপ্ত কুয়াশারা আমাকে বেশ্যা করেছে


আমার শরীরের মাংসের পিন্ডেরা সেদ্ধ হচ্ছে ইস্টজেনের পরম নেশায়

শীতের ঘন কুয়াশারা আমাকে ঝাপসা করে তাদের বারো মাসের জমানো তেষ্টা মেটায়

মায়াময় চতুর্থীর ঝাপসা আলোকে বেশ্যা ভেবে আমিওতো লেসবিয়ন সেক্স করতে চেয়েছিলাম

ফিরিজে জমানো বরফের বুকে নেশারা বায়বীয় হয়ে উবে যাচ্ছে

আমি নেশা সামলাচ্ছি ঠোঁট কামড়েকামড়ে

ইচ্ছামতীতে আজ হরমোনেরা আমফানের ওলোটপালোট করা আর্গাজম তুলে পরমউষ্ণতা মাখছে কিছুর অপেক্ষায়

এবারেস্টের আদর করার মতো নিটোল উন্নত চূড়ার কৌণিক বৃন্ত থেকে গড়িয়ে পড়া শুভ্রতা আমার শরীরের লোমেদেরকে শিহরণেশিহরণে খাড়া করে রাতের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে

শীতের হাড়কাপনি নেশারা উষ্ণতা তুলে বিশ্বের সমস্ত কৌণিকদূরত্বকে একসমকোণে টেনে এনেছে


২ : তোমার নাভিতে নাভি রেখে


 তোমার নাভিতে নাভি রেখে আমি তোমার বামস্তনের অতৃপ্ত মহাকালের স্পন্দন অনুভব করেছি ডান পাঁজরের অস্তি দিয়ে 

তোমার ঠোঁটের চুমুকে চুমুকে জেগে উঠেছে প্রলয় তান্ডব!

তোমার নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে তুলছো সাইক্লোনের গোগ্রাসী নেশা!

আর শীৎকারে শীৎকারে আকাশের বুকে ফাঁটল ধরিয়েছ

দুর্বাসার এক তেষ্টায় চুষে নিতে চাইছো আমাকে

আজ তোমাকে ঠিক কি বলবো সে বড়ো কঠিন

 মনেহয় হয়তোবা কোনো উলঙ্গ অপ্সরা মহাকালের রোষে উদ্দাম খেপে উঠেছে সারা শরীরে আগুন মেখে


৩ : এবং বাম স্তনে মুখ রেখে


পদ্ম পাতার ওপরে হৃৎপিণ্ড রেখে জেনে গেছি

 আমাকে খামচে আঁকড়ে ধরার ক্ষমতা তোমার কত আছে

আর গভীর শুন্যতার ওপরে হেলান দিয়ে শুয়ে বুঝেগেছি তুমি কত বড়ো মিটমিটে আগ্নেয়গিরি

তোমার সাথে আমার বীভব পার্থক্য বাড়িয়ে নিয়ে আমার  পৌরুষত্বর ঘনত্ব বাড়াচ্ছি

তোমার খোলা শরীরে ঢালবো বলে,

কাঁটা খালে শীতের নরম চরম রৌদ্র তির্যক ভাবে ফেলে  উষ্ণ  মাদকতা ধরিয়ে দিয়েছি তোমার শরীরে,

সুয়েজ খালে

 এভারেস্ট শৃঙ্গ উবুড় করে ফেললে তোমার পৃথিবী কেঁপে উঠবে নিশ্চিত

তোমার বামস্তনে মুখ রেখে উষ্ণ তেষ্টা পাচ্ছে আমার ন্যাংটো শরীরের লোমে লোমে



৪  : ইছামতীর 


ইছামতীর তীরে বসে আছি , 

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসা শোকের ছায়া দিয়ে ঘেরা আকাশের নীচে ;

আজ আমি সব কিছুর মাঝে নিঃসঙ্গতাকে খুঁজে পাই | 

আজ চারিদিক যেন নীরব অন্ধকার :

এ জগৎ যে এতো নিষ্ঠুর-বাস্তব , একথা জানা ছিল ;

কিন্তু তার রূপকে কখনও দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার |

আজ কেন জানিনা এ নদীর বুকে এত আন্দোলন !

হয়তো বা আমার মতোই ----

তাকে কেউ আঘাত দিয়েছে |

আজ তার বয়ে চলার মাঝে কোনো ছন্দ নেই ;

নেই কোনো নব উদ্যম মেশানো উল্লাসের ভাষা | 

তবুও তাকে বয়ে যেতে হবে , 

এই মহান বিশ্বের নিয়মের স্রোতের টানে 




Comments

Popular posts from this blog

শম্পা সামন্তর কবিতা

মোনালিসা রেহমানের কবিতা

বিবেকানন্দ দাসের কবিতা