উম্মে ফারহিনের কবিতা
উম্মে ফারহিন উত্তর ২৪ পরগণায় থাকে , বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স। ছোট থেকেই কবিতার প্রতি আগ্রহ এবং লেখা । পড়াশোনার জন্য দীর্ঘদিন বিরতি থাকার পর পুনরায় লেখা শুরু মাস্টার্স চলাকালীন। খুব সহজ সরল ভাষায় লেখা কবিতা হৃদয়ে অনুভূতি সৃষ্টি করে । জিরো বাউন্ডারি চায় সম্ভাবনার নতুন মুখ তুলে আনতে । ফারহিন জিরো বাউন্ডারি গ্রুপের সাথে যুক্ত এবং ওখান থেকেই উত্থান। আগামী দিনে আরও ভালো লিখবে আশা রাখি।
আজ একক উদযাপন বিভাগে রইল এই তরুণীর একগুচ্ছ কবিতা।
১ : আলোকবর্ষ পেরিয়ে
আলোকবর্ষ পেরিয়ে গতির মাঠে
দেব চেনা স্মৃতি
অচেনা মানুষ, তীব্র শব্দ
মন কেমন করে।
সুখ বিসর্জিত মঙ্গলেতেও
প্রাণের উঁকি দেয়,
পৃথিবী জোড়া মায়ার জগতে
ঘুম ভাঙেনা আমার।
শনির বলয় ভেদ করে যায়
তোমার চোখের দৃষ্টি,
সাধ জেগেছে মিশে যাবো;
ব্ল্যাক হোলের নিকষ কালো অন্ধকারে।
খুঁজো না আমায়----
হারিয়েছি অনেক আলোকবর্ষ পেরিয়ে।।
২ : শুষে নাও সব
শ্রাবনের প্রবল বর্ষনে গর্জে ওঠে মন
নিরুত্তাপ জনপদ, অস্থির সময়
নদী নালা ভেদ করে।
পরিপূর্ণ গিরিখাত জলের স্রোতে
ভাসিয়ে দেয় অষ্টাদশীর হৃদয়।
গাঙের মাঝি ঘুম পাড়ায়
চিল পায়রার ধুম
তুমি তো সূর্য, শুখিয়ে দাও সব
শুষে নাও সব টুকু।।
৩ : ঘুমাস আমার কোলে
ঘুম আসেনা, কান্না চোখে তোর কথা ভাবি
দুফোটা মুক্ত ঝরলে ক্ষতি কি?
চিবুক ভেঙে মাটিতে পড়ে মনের ক্ষত,
বিছানায় যেখানে তোর ফুলের মালা রাখা
আমার বুক ভাঙা কান্না তোর জন্য তোলা;
গুছিয়ে রেখেছি স্মৃতির আলমারিতে।
রাত ভারী হলে মেঘ জমে, আকাশ কালো হয়
তোর আকাশে শান্তির পায়রা গুলো মুক্ত করবো
ঘুমাস আমার কোলে।
৪ : বসন্তের স্নান
লাল, নীল, গোলাপি, সবুজ রঙ এর খেলায়
মেতে ওঠে বসন্ত।
রাগ রাগিনীর দোলায়, মেখে নেয় আবেগ
শুকনো বাতাসে খুশির গন্ধ ঝরে পড়ে সারা হাওয়ায়।
চঞ্চল দোলোন চাঁপারা খোঁপায় বাসা বাঁধে
সুখের নীড়ে ঢেউ ওঠে অপরাজিতার ঘরে
আকন্দ আর গাঁদা ফুলেরা ভাসে, খেয়া পাতার পালে
শিউলি ফুলের গলিচা পাতা, ম্রিয়মাণ মন আকূল হয়
এক পা দুপা পদচিহ্নের গলি ভেদ করে
বসন্তের স্নান দেখি প্রাণ ভরে
৫ : ভিজে মনের জানালায়
মৃদু পদধনি তোমার চলার পথে, ছন্দ তোলে
আমার খাতার পাতা ভরাট হয়।
মিছে আশার বাস্তবায়ন, কল্পনার সাগর ধূপ জ্বালে
মন পুড়ে যায় নিমেশে ব্যস্ততার ফাঁকে।
সবুজ ঘাস প্রদীপ নেভায় ভিজে মনের জানলায়।
মুখ ঢেকেছো কেন ময়ূরের পালকে,
আমি অন্ধ হতে চায় তোমার চোখের তারার দ্যুতিতে।
মিছে কেন জড়াও মায়ার জ্বালে
আমি তো বহির্জগতের বাসিন্দা তোমার কাছে।
6: মনের উঠোনে
আমার মনের হাওয়ায় যখন কালবৈশাখী ওঠে
খড় কূটোর মত উড়িয়ে নিয়ে যায় সুখগুলো;
মেঘ যত কালো হয় অবসন্ন মন তত ক্লান্ত হয়।
স্মৃতিগুলো বন্যার জলে ভাসাবো
মনের উঠোনে জায়গার বড়ো অভাব।
বৃষ্টির অপেক্ষা, আমি আকাশের দিকে চায় বারবার-----
দূরে কোন এক চিল ডেকে যায় মনটা উজাড় হয়ে ওঠে
যন্ত্রনা ভরা একটা চিৎকার, আমার কষ্টে ওরাও কাঁদে।
শুধু তোমার মনের গিরিখাতে আমার কষ্টের নদী কাদা জমাতে পারিনি,
খরস্রোতার মত বয়ে চলেছি প্রবল বেগে, নুড়ি বালি নিয়ে।
3 no ta beshi valo legeche
ReplyDeleteCarry on Umme.....
ReplyDeleteGod Bless you.
Sob kotai Fatatai Hoyeche...
Dua kori age aro valo kichu korbe tumi.