আবু তালেব মোল্লাহ-র কবিতা

 

পরিচিতিঃ আবু তালেব মোল্লাহ্ বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৯৬২ সালে জন্ম গ্রহন করেন। স্থানীয় স্কুল ও কলেজে লেখাপড়ার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও এম, এ পাশ করেন। অনুষঙ্গ সাবজেক্ট দর্শন এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পড়েন। ১৯৯০ সালে কর্মজীবন শুরু হয়। কর্মজীবনের সমাপ্তি টানেন ২০১৬ সালে। এরপর থেকে রাজশাহী শহরে স্থায়ী ভাবে বাস করছেন। এপর্যন্ত তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ তিনটি। এখনো লিখছেন। 

কবি জিরো বাউন্ডারি গ্রুপের সাথে যুক্ত আছেন। আজ প্রকাশিত হল কবির একগুচ্ছ ভিন্ন স্বাদের কবিতা 


০১। বিকেল 


এমনই কোমর বন্ধনী জড়িয়ে কোমরে

নেমে আসে বিকেল—

প্রতিদিন শাড়ির রং পাল্টায়

ম্যাচ করে ঠোঁটের লিপস্টিক। 


ভুল বুঝাটাও সহজ ব্যাপার নয়

প্রশান্তমহাসাগরীয় গভীরতা লাগে,

আর, এজন্য ব্যাপারটা ছোটখাটো হয়ে নাই, 

ঋতু বদলেছে — পানি গড়িয়েছে অনেক।


০২। নিম্নচাপ


সেই চ্যানেলটা নিম্নচাপ বিষয়ে 

দিনরাত বকবক করে চলেছে,

অভিজ্ঞতা থেকে ক্ষয়ক্ষতির জল্পনা 

জুড়ে দিচ্ছে বিস্তারিত।


কিছুক্ষণ পরপর চা ও বিস্কিটের ট্রে—

ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড়।


০৩। ভ্রমন


সবুজ ভূমিতে ঝিনুকগুলো ছড়িয়ে রেখেছি—

পত্রপল্লবে প্রসারিত হোক,

শোভিত জলা ভূমি — অপ্রত্যাশিতভাবে

ভ্রমন সংক্ষিপ্ত করে ফিরতে হয়। 


০৪। মেলা ফুরিয়ে যায় 


খুব কাছে হলেও কারো কারো

সমুদ্র দেখা হয়ে ওঠেনা,

শোনা হয়না তার মোহন বাঁশি। 


কারো কারো জন্মটাই এমন হয়,

হাতের কাছে হলেও মুঠো ভরে মাঠের ফসল 

নেওয়া হয়না — সোনালি পাকাধান। 


সোনালি রঙটা বড়ো চমৎকার—

খুব দামি দামি ভাব,

ফসল পাকলে এই রঙ ধরে মাঠের যৌবন।


কেউ কেউ শখে আহ্লাদে

চুল রঙ করে সোনালিতে।

হোক তা কৃত্রিম, তবু সোনালি হবার

কিছুটা শখ তো মেটে!


সমুদ্রের ঢেউয়ে যখন রোদ পড়ে 

চিকচিক করে পানির শরীর, 

তার রঙটাও কি সোনালি হয়?


কারো কারো সমুদ্র দেখা হয়না, 

সমুদ্র না দেখেই কারো কারো মেলা ফুরিয়ে যায়। 



Comments

  1. অপূর্ব, অসাধারণ কবিতা দাদা

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

দেবীপ্রসাদ বটব্যাল এর কবিতা

শ্যামল সরকারের কবিতা

শম্পা সামন্তর কবিতা