মোঃ আনোয়ার হোসেন কবিতা

 


মহম্মদ আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহে থাকে। যখন দীর্ঘ কবিতা লেখার চল প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বললেই চলে , তখন তরুণ আনোয়ার লিখে চলেছে একের পর এক দীর্ঘ কবিতা। যদিও  কম বয়সের জন্য কিছুটা আবেগ থাকছে , তবে আনোয়ার বেশ সম্ভাবনাময়।  

আজ জিরো বাউন্ডারিতে প্রকাশিত হল তার একটি দীর্ঘ কবিতা। 


রাত্রির ক্লান্ত শহর

---------------------


   নূঁয়ে পড়া আকাশ 

 একফালি চাঁদ উদিত হচ্ছে 

ঘুমন্ত শহরে,  নিস্তব্ধতা ভাঙতে আকাশের।

           আর শহর ঘুমন্ত, 

            ঘুমন্ত মানুষের শহর,

             ক্লান্তির ঘুম শহরে, 

ঘুমন্ত পাথরে অট্টালিকার প্রাচুর্যে।

রাত্রির ক্লান্ত পৃথিবীর শহর ক্লান্ত হয়ে 

             মুখ থুবড়ে ঘুমিয়ে,

              নাবিক মন

ঘুমের রাজ্যের অলসতার বিবর্ণতার 

               ধূসর।

এক পেশে মনে হয় পুরো ঘুম শহর

   ব্যস্ত সময়৷ ব্যস্ত অফিস কাচারি, -

    ব্যস্ত গাড়ি, নিঃস্তব্ধ পরে রয়।

 শুধু ঘুম জেগে আছে মানুষের  চোখের 

      পাপড়ির ভেতর!

ব্যস্ত স্বপ্নরা বাসা নিয়েছে  চোখের 

        কুঠোরে।

        শহর, অলিগলি নিস্তব্ধ

আধুনিকতার মোড়ক রাজ্যে

         অদ্ভুত সব রঙ করা বাতি, 

ল্যাম্প পোস্ট দাঁড়িয়ে  আছে, সারাদিনের 

          কর্মহীন অভ্যাস।

রাত্রি নিঝুম দ্বীপ  চঞ্চল তৎপরতা

শুধু জেগে থাকতে হবে রাত্রির

          পাহারাদার হয়ে

      স্তব্ধ রাত্রির ক্যানভাসে।

       অন্ধকার ময় রাত্রি -

ল্যাম্প পোস্ট ছাড়া গহীন অর্থ

        নিষ্প্রয়োজন।

পুরো রাত্রি, শহরের একটি কবিতা 

        লাইনহীন জীবন।

পেঁচা আসবে, রাত্রির বৈশিষ্ট আলাদা

        করতে শহরে রাত্রি ঘুম।

         দূর আকাশ -

পথিক ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রবে ক্ষন

ঘুমন্ত শহরের নজর দারি করতে।

         স্বপ্ন ক্লান্ত হবে-

পরাজিত ঘুমের অলসতার

          মাঝে।

শহরের নাবিকেরা ঘুমের ক্লান্ততার

           সাথে হারে

    নিঃশ্বাস চেতন হীন যুদ্ধ

           ঘুমন্ত স্তব্ধ শহর।

এখানে কবিতা কবিতাময় হবে না

           আলস্য ঘুমের কাছে।

ঝিঁ ঝিঁ পোকার একগুয়েমি থাকবে না

চঞ্চল কিছু মানুষের ঘুমহীন  রাত্রি-

             হয়ত - ক্লান্ত চোখ বেদনায়

              রক্ত বর্ণ হবে

              সাত রঙ সাজিয়ে 

           ঘুমের ক্লান্ত চিন্তায় নেশায়,

নিস্তব্ধতার শহরের ছবি আঁকবো,

দু একজন নাবিকের ব্যস্ততা দেখবো 

যারা খুঁজে  শহরের মানচিত্র  রাত্রির।

জাগা! শহরের মানচিত্র দেখতে।

      হেঁটে চলা রাস্তা ঘুমিয়ে যাবে 

           কখনো পথিক বিহীন  

             নিশাচরের মত।

আমি কাকতাড়োয়ার মত দাঁড়িয়ে 

              থাকতে চাই

উপরে মেঘের সাথে একটি শহরে 

               রাত্রি যাপন করতে।

               শহরের নাবিক ঘুমে 

    চোখের পাপড়ির ভেতরে

স্বপ্ন নিয়ে  যখন  স্বপ্ন মেঘে।

            শহরে নাবিকদের! 

              ঘুমন্ত শহরে

              সারাদিনের 

            কর্ম ব্যস্ত শেষে

      জমানো বাঁধানো  ঘুম

          রাত্রির ক্লান্তি শহর 

ঝড়ো বেগের পর সমুদ্র থেমে গেলে 

          নিরবতার  যে আত্মা স্থির

           ভালোলাগার সৃষ্টি 

তা ঘুমন্ত শহরের আরেক সমাহার-

      উপভোগ করতে নিরব শান্তির 

       শহরে।

এ যেন রাত্রির ঘুমন্ত শহর।

          রাত্রির রেললাইন -

          ঘুমন্ত আগত শিশুর 

       রেল কান্নায় যেন শিশুর 

     ৷  জাগ্রত হওয়া বার বার 

          ঘুমন্ত শহরে।

চাকার ঘূর্ণন যেন শহরে-

নাবিকদের ঘুমন্ত আত্মা

লোহার ঘর্ষণে জেগে উঠা।

             রাত্রির শহর,

ব্রহ্মপুত্র শহর বাঁধ,, ঘুমিয়ে 

পদচারণ হীন, কোলাহল  হীন,

    সুখের মূহুর্ত হীন, মরা-

বেওয়ারিশ পাথর পথ পরে

   অজানা সময় হতে রক্ষায় 

    ঘুমন্ত সমস্ত শহর।

বন্ধু শাহীন  প্রতিদিন মানুষ চেনা হয়ে উঠা

      রাস্তার ঘুম ভাব

       কিনারার পার ঘেষে 

        ঘুমন্ত শহর।

        গাছ গুলো ঘ্রাণ নিতে না পেরে

ক্লান্ত ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে  আছে,  ঠাঁয় শহরের পাশে। রাস্তায়,  বাসার কিনারে। মাঝে মাঝে বাঁশ-

পাতা হতে দু ফোটো শিশির ঝরে পড়া। 

            সমস্ত গলি হাইওয়ে 

             রোড ক্লান্ততা নিয়ে 

           পড়ে আছে ঘুমন্ত শহরে 

           শহরে ঘুমন্ত নাবিক দল। 

শহরে  পোস্ট অফিস ও ঘুমে নূঁয়ে 

পড়েছে,  সারাদিনের ক্লান্তি আর 

শহরে নাবিকদের ঘুম পোস্ট করতে করতে 

             ক্লান্ত ঘুমের আনয়নে

            ঘুমন্ত শহর,  ক্লান্ত শহর 

             ক্লান্ত শহরে নাবিক দল।

ব্রহ্মপুত্র ও যেন ঘুমন্ত  শহরের 

              চক্করে।



Comments

Popular posts from this blog

দেবীপ্রসাদ বটব্যাল এর কবিতা

শ্যামল সরকারের কবিতা

শম্পা সামন্তর কবিতা