Posts

Showing posts from October, 2019

বিশ্বজিৎ দাসের কবিতা

Image
বিশ্বজিৎ দাস। জন্ম ১৯৮৫ সালে উত্তর চব্বিশ পরগনার ভবানীপুরে। " সব ব্যর্থতাই একদিন কবিতায় এনেছে। কবিতার কাছে তাই দায়বদ্ধতাহীন বাস্তবতা রাখি সহাস্যে। " - এটা কবির কথা । প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : হ্যালোজেন ও স্পর্ধাগুচ্ছ। তরুণ কবি বিশ্বজিৎ  দাস পূর্ব  পাকিস্তানের বাংলা কবিতার গতিপ্রকৃতি (1947-71) নিয়ে M Phil করেছেন । বরাবর ই  ভিন্ন ভাবে শব্দের প্রয়োগে অভ্যস্ত আজ রইল কবির কবিতা বিগত মাছের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১ জামা খুলে ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই ইতিহাস অদৃশ্য কাগজগু‌লোর সঙ্গী হাতপা'ওয়ালা বর্ণের সেইসব দিনরাত্রি যেমন ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে সতীর দেহের মতো একান্নপীঠে... আমি সর্বশান্ত এখন পথের দিকে তাকাই বিড়ালেরা বিগত মাছের ধ্বংসাবশেষ রাখে নিষ্পাপ দাঁতের আড়ালে... ২ যন্ত্রণার দুএকটি অভিধান খুলে দেখি দানবের অস্তিত্বের সংকট নিয়ে কখনো বাতাবিলেবু সন্ধ্যাতারাকে প্রত্যাহার করেনি... যেভাবে মাছের আঁশের ভিতরে জ্যোৎস্না ঘুমায় যেভাবে কবিও নিভে যায়; ফ্যাকাসে কথায় আত্মজীবনী নেই, আত্মহত্যার জন্যও শব্দ আপাদমস্তক প্রতারিত করে এই নিমিত্তকে... ৩ হস্তান্তরের প্রেক্ষিত থেকে কতটা দ

রঞ্জনা ভট্টাচার্যের কবিতা

Image
রঞ্জনা ভট্টাচার্যর বাড়ি মধ্যমগ্রাম । ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স  এবং শিক্ষিকা । তাঁর কবিতায় থাকে সৎ এবং পরিশ্রুত উচ্চারণ যেন হৃদয় থেকে উৎসারিত ছোট ছোট শব্দের  বুদবুদ , আমাদের বেষ্টিত করে। আজ রইল কবির একগুচ্ছ কবিতা 1: তবু প্রেম  ছায়া ছায়া অণুবীক্ষণিক  যন্ত্রণা                 গুঁড়ো গুঁড়ো ইচ্ছের রেণু মেখে ধুসর পাখিদের ডানায় বসে রোদ পোহায়, আর ঠিক তখনই বৃষ্টি নামে , ভেজা পালকের সাথে পাখির বাসার হঠাৎ দেখা অসময়ে, অসময়ে বাসায় আসা পাখিরা  একটু প্রেম খোঁজে উষ্ণতার জন্য, ভেজা শরীরে শীত জেগে ওঠে। 2: শারদীয়া শুভেচ্ছা ঝুপুস কিছু ঝুলন্ত  ক্ষত মণ্ডপের ঢাকে বাজে, মেঘের মঞ্চ সজ্জায় সঙ্গিনী গোধূলির রাঙা টিপ, লেপ্টে আছে পড়ন্ত বিকেলের  শারদীয়া          শুভেচ্ছায়, মনভেজা শহরে আলোর রোশনাই আর তুমি জেগে থাকো আলিঙ্গনে। 3: আধেক আমিকে... আধখানা আমি এঘর ওঘর, আরেক আধেক বিন্দুতে টলমল, পিপাসা তো সুজাতার ও ছিল, তবে পায়েসান্নের গায়ে লেগে থাকা পবিত্র প্রেম  বোধি বৃক্ষের জল, মাটি, বায়ু, আমার কবিতা ও তো আম্রপালি হতে চায়,            

বিকাশ দাসের কবিতা

Image
 পরিচিতি: বিকাশ দাস জন্ম পশ্চিম বাংলার মালদায়। পিতা স্বর্গীয় বীরেন্দ্র কুমার দাস। মাতা স্বর্গীয়া সিন্ধু দাস। ছেলেবেলার লেখা বয়সের সঙ্গে ধরে রাখতে পারেনি । সংসার সামলাতে লেখালেখির দুয়ার দিতে হয়েছিলো। ইদানীং আবার লেখা শুরু করেছি রোজকার পুজো আর্চার মতো। বর্তমানে মুম্বাইতে বসবাস। আমার কবিতা কতটুকু আপনাদের ভালো লাগাতে পেরেছে,  জানি না। এইটুকু বলতে পারি আমাদের সবাইকে  হৃদয় দিয়ে কবিতা ভালোবাসতে হবে । আমি বিশ্বাস করি একদিন কবিতা বিশ্বজনীন বাসিন্দা হয়ে উঠবে। আমার প্রকাশিত একক কাব্যসংকলনঃ এখন আমি একা / জরায়ুজ / নিকুচি করেছে কবিতা /কবির শেষপাতা / তবু ভালো দুঃখ দিও/ জীর্ণ ব্যথার মুখবন্দী কথা / নির্বাচিত কবিতা / ঈশ্বর এবার খেটে খা / মৃত্যুর জন্য কবিতা দায়ী। আজ রইল কবির দুটি কবিতা 1: প্রার্থনা নিজের সঙ্গে একলা থাকার নির্ভরতা  দাও দু’চোখের দৃষ্টি ভেঙে আলিঙ্গনের সত্তা দাও আকাশ থাক আমার বুকে  এক ফালি মেঘ দাও। ঘাস মাটি উর্বর করতে পারি  দু’হাতে অস্ত্র দাও দু’হাত প্রার্থনার অঞ্জলিমুঠোতে  মাথা নিচুর জলাঞ্জলিতে সমাজ উদ্বিগ্ন করে  ভয়ের পাহারার  নিঃশ্বাসে যেন বাঁচতে না হয় বরং জীবনব্যাপী

নবকুমার দাসের কবিতা

Image
পরিচিতি নবকুমার দাস ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। স্বল্প সময়ের জন্য পড়েছেন তুলনামূলক সাহিত্য। অল্প কিছুদিন ফরাসি ভাষার পাঠ নিয়েছেন গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন ও ভবানীপুর গুজরাটি অ্যাসোসিয়েশন কলেজে । বর্তমানে পেশায় সমষ্টি উন্নয়ণ আধিকারিক। প্রায় দশ বছর শিক্ষকতা করেছেন ( জুলাই ,২০০০- জুন , ২০০৯)। সম্পাদনা করেছেন 'রোদ্দুর ' এবং 'ক্যাকটাস' পত্রিকা দুটি । বিভিন্ন ছোটপত্রিকায় প্রায় তিন দশক ধরে লেখালিখি। ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষায় গদ্য ও পদ্য লেখালিখি ও চর্চা করেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ চার - (১) হে প্রেম,হে অনুভব (প্রকাশকাল-২০০২) (২) নিশ্চিন্দিপুরের কিশোর (৩) নন্দিত নরক ও (৪) ইন্ডিয়া ও ভারতবর্ষ । শেষ তিনটি কাব্য একত্রে 'নৈঃশব্দের কথকতা ' কাব্য সংকলনে প্রকাশিত (প্রকাশকাল-২০১৫)। কিশোরদের রহস্য-রোমাঞ্চ গোয়েন্দা গজুদা সিরিজের সত্যসন্ধানী শুভব্রত শ্রী দাসের কল্পচরিত্র। এই সিরিজের কাহিনীগুলির অন্যতম হল -(১) চুরিগেল চাঁদের পাথর (২০০৭), (২) বক্সা রহস্য(২০১৪) , (৩) গজুদার গোয়েন্দাগিরি(২০১৫), (৪) সামার হিলের সমস্যা(২০১৬)। এছাড়া কল্পবিজ্ঞান সিরিজের বিজ্ঞানী বি-কিউব বা ডক্টর বনবিহা

শ্রেয়ণের কবিতা

Image
পেশায় সাংবাদিক। 'নিবিড়' ই-পত্রিকার সম্পাদক এবং অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।  পড়াশোনা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ।  পরিচিতি এইটুকু বললেই অনেকটা বলা হয়ে যায় । শ্রেয়ণ বরাবর ই একটু ভিন্ন ঘরানার কবিতা লিখতে অভ্যস্ত । আজ রইল কবির একগুচ্ছ কবিতা পাঠকের দরবারে ।  1: প্রজাপতি আমার বিছানায় যতটুকু জায়গা খালি আছে, সেখানে একটা প্রজাপতি অনায়াসে ধরে যেতে পারে। আমি ঠিক করেছি, এমন প্রজাপতিকেই ডেকে আনব, যার পাখনাগুলো হবে প্লাস্টিকের তৈরি, তার মুখগহ্বর দিয়ে ঢুকে সোজা মনের অবচেতন স্তরে পৌছনো যাবে। সেই রকম একটা পতঙ্গ খুঁজে বার করেছিল আমার এক বন্ধু। ওই প্রজাপতির বড়ো আত্মহত্যার দিকে ঝোঁক। আমি খুব মজা পেলাম। তার ডানার চারটে কোণ সেলাই করে আটকে দিলাম আমার বিছানার গদিতে। সে ওই অবস্থায় ছটফট করে, আমি চেয়ারে বসে তার ওপর পা দু'খানা তুলে চা খাই। 2:  মহাশূন্যের ছিদ্র তিনের থেকে পাঁচ বাদ দিলে কত অবশিষ্ট থাকে, তার ওপর নির্ভর করছে অনেকগুলো সম্পর্ক। একজন মানুষের সঙ্গে আরও অনেক মানুষ যেভাবে জুড়ে থাকে, তাদের সঙ্গে জুড়ে গাছপালা, গ্রহ, নক্ষত্র --- সবকিছু চুষে খাচ্ছে এক ব