Posts

Showing posts from September, 2020

আমিনা তাবাসসুমের কবিতা

Image
আমিনা তাবাসসুম, এই সময়ের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এক নাম । মুর্শিদাবাদ জেলায় বাড়ি  । বাংলা অনার্স নিয়ে পড়াশোনা।  । তার কবিতায় থাকে আবেগ  ও মর্মবোধের দ্যুতি যা পাঠকের গভীরে প্রবেশ করতে পারে ।  সনেট পাবলিকেশন থেকে "আবেগের ঠোঁট" সংকলন এর সম্পাদিকার কাজ করেছে। এছাড়াও কাচের জানালা সংকলন,ডহর পত্রিকা, চাতক পত্রিকা, আয়না কবি, কচি পাতা, আগডুম বাগডুম, কিশলয় পত্রিকা থেকেও তার  কবিতা প্রকাশ পেয়েছে। যুক্ত আছে জিরো বাউন্ডারি গ্রুপের সাথে ও ।  আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে আমিনা তাবাসসুমের নয়টি কবিতা।   ১ : পৃথিবীটা বড্ড মিথ্যে শূন্যতার আর এক ধাপ ওপরে                                        আমি, প্রক্ষোভ টুটে গেছে সব, লঙ্কার অনুভূতি বুঝি না আর কিংবা ভালো থাকা কাকে বলে যেন! শহরের হলুদ কুটিরের এক প্রান্তে মোমবাতির শেষ সলতে বাকি শুধু এক আকাশ মরুভূমি বুকের বাম পাশে, জীবনটা বাঁশ পাতা হয়ে গেছে... কালো কালো রক্তের কথকতা আর চাপা উৎকন্ঠা-- ধূসর পৃথিবীটা বড্ড মিথ্যে ক্লান্তিতে ঘুম নেমে আসে চোখে যখন শিলালিপি প্রতারক হয় একাকিত্বকে তখন কে আটকায়...! ২ : আধখানা চাঁদের ডিমের ভিতর আধখানা ডিমের ভিত

গৌতম বাড়ই এর কবিতা

Image
পরিচিতি---- জন্ম: ১লা জানুয়ারী,১৯৬৬ সালে শিলিগুড়ি শহরে। শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুলের প্রাক্তনী। পড়াশোনা বেড়ে ওঠা সেই পাহাড়তলীতে।বর্তমানে একাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত রাষ্ট্রায়ত্ত ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডে।চাকরিসূত্রে বাস কলকাতা শহরে। সাহিত্যের ভালোবাসায় লেখালিখি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মাধ্যমে।সতের বছর বয়সে প্রথম আত্মপ্রকাশ উত্তরবঙ্গের বহুল প্রচারিত এক দৈনিকে ছোটগল্পের মাধ্যমে।জীবনের বিভিন্ন ভাঙ্গাগড়ায় নিজেকে খোঁজেন বারবার। খোঁজেন মানুষের মধ্যে নিজেকে।" ধর্মহীন বর্ণহীন গণ্ডীবিহীন মহাদেশ বা এ পৃথিবী আমার দেশ।তাই ভাবি।এই ভাবনাই আজীবন ভেবে যাব। " -- কবির ভাবনা সরাসরি তুলে ধরলাম।   আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে গৌতম বাড়ই এর একগুচ্ছ কবিতা  ১: মহাতীর্থের দেশে মৌনীবকের মতন পৃথিবীর সারস ঠোঁটে মিষ্টান্ন চাখা চোখ থেকেও চেতনার গভীরতায় মাছেদের জীবন চিনে নেওয়া সব সন্তরনের গল্প নয় মৎস্যকন্যার সাঁতার রূপকথায় তোমার কাঙ্খিত রোদ এ পোড়াটাই বৃথা শব্দের ফুল আরও কিছু পাখওড়া ছাই নাইনোক্লক রঙীন হতে গিয়েও হতাশহুটারে সরণীর মৃত্যুকাল পুরোটাই কুদিন কুযামিনী চেয়ে থাকে শতাব

চন্দনা সাহুর কবিতা

Image
চন্দনা সাহু , গৃহবধূ  , থাকেন সিন্দুর মুড়ি , সবং  , পশ্চিম মেদিনীপুরে ।  আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে তাঁর তিনটি কবিতা।                 (১)  সাঁকো জীবন মূত‍্যুর সন্ধিক্ষণ বিষাদ ও রোমাঞ্চে ভরা এক দোদুল‍্যমান সাঁকো মায়া,মমতা,হর্ষ,বিষাদের অবসানও অসীম জ্ঞান লোকে প্রবেশের স্পৃহা মনের অশান্ত অনুভূতির,স্থিরতায় প্রবেশ দুপাশে নেই অভিনবত্বের  ছড়াছড়ি নেই চোখ ধাঁধানো জৌলুস নেই পুঁথি গন্ধ ভরা অন্ধকারের ভয় সেথায় বিরাজিত কেবল পরম শান্তি দৃষ্টি  সেথায় স্থির ও শাশ্বত সেইক্ষনে ঝাঁপ দিই আমি ডুবে যাই ----------শুধু ডুবে যাই জানি না কোন অতলে ------------- এক জ‍্যোতির্ময়তায় আবিষ্ট হই আত্মার  সাথে পরমাত্মার মিল ঘটে তখনই জীবন মরন একাকার হয় সেইক্ষণে প্রতিটি পদক্ষেপে করি পরম ব্রহ্মের অনুসন্ধান                       (২)   আলোর পথে সঙ্কটে,সঙ্কায়,জেরবার পৃথিবী রাজপথ থেকে সড়ক,সড়ক থেকে আলপথ,মেঠোপথ         সবকিছু  শুনশান এক শব্দভেদী বানে যেন সবার সব কথা ফুরিয়ে গেছে  আজ, মেরুদণ্ডহীন প্রাণীর মতো প্রহর গোনা, বিফলতার বিষাদে রাত্রি অতিদীর্ঘতর তবে কেউ যেন ভয়হীন চিত্তে ভোরের দিকে তাকিয়ে আছে দৃপ্ত কণ্ঠে একটাই ক

সাবিনা ইয়াসমিনের লেখা

Image
সাবিনা ইয়াসমিন  ইংরেজি অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী । আরামবাগে বসবাস।  তার রচিত একটি ছোট আলেখ্য ।       বিচিত্র এ সমাজ           বর্তমান সমাজ! বর্তমানে আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যেখানে দেশপ্রীতি প্রবল, আবার ন্যায়-অন্যায় যাচাই করতে গেলে দেশদ্রোহী তকমাও অনর্গল। এমনই এক সমাজ যেখানে বেকারত্বের জ্বালা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে,  তবুও মানুষ রাজনৈতিক নেতাদের পদ চুম্বনেই বেশি আগ্রহী। এটা এমনই এক বিচিত্র সমাজ যেটা নাকি গণতন্ত্রের ওপর ভিত্তি করে গঠিত অথচ কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার নাই। আছে কত দুষ্ট ক্রিয়াকর্ম  শুধু নাই তার বিচার। আমরা এমনই এক সমাজে বাস করি যেখানে উচ্চবিত্ত শ্রেণী ও নিম্ন শ্রেণীর মানুষদের মাঝে পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণী। একদল সুবিধাভোগী মানুষ স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে মধ্যবিত্ত মানুষদের যাঁতাকলে পিষ্ট করে দিচ্ছে। এটা এমনই এক সমাজ যেখানে ৫ বছরের শিশু থেকে শুরু করে বয়স্কা মানুষ কেউই কয়েক দল হিংস্র জন্তুদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাদ যায় না। যেখানে 'বেটি বাঁচাও', 'বেটি পড়াও' স্লোগান তো ওঠে কিন্তু সেই বেটিই অন্যায়ের শিকার হলে  উপযুক্ত ন্যায় সে পায় না। এটা এমনই এক

বর্ণজিৎ বর্মণের কবিতা

Image
পরিচিতি:বর্ণজিৎ বর্মন । জম্ম , কোচবিহার জেলার গোসানিমারিতে । বর্তমান মালদায় বসবাস । পেশা-গবেষণা(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) ।  আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে বর্ণজিৎ বর্মণের একগুচ্ছ কবিতা।  ১: অন্ধকারের  রাত নৌকাটি স্রোত ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে  আলোমুখী জীবন পারাপার করে । কিন্তু ইজ্জতের নির্যাস দারিদ্রের কোনো ঢেউ  ভাঙ্গতে পারেনি মাঝির । ভবিষ্যত রীতিমত এভাবে চলে কি ? শেষ সম্বলটুকু চোখের জ্লে ভিজিয়ে  গভীর অন্ধকারের রাত, বনলতা সেন পেরিয়ে  আমরা চলছি চরম গন্তব্যে..  ২: মন্তব্য  এক বহ্নি শিখা থেকে কাঁচা আলোর  যে মুখ পথ বেরিয়ে আসে  তার স্পর্শ চাই আমার সবুজ শরীর জুড়ে  তারপর এক জোড়া প্রজাপতি  দাম্পত্য গল্প শোনাবে আমার                                        ঘাসফুলে বসে আমি শিখি ,  আর একটা চারাগাছ হয়                       জেনারেশন 2জেনারেশন উত্তরাধিকারির পতাকা বয়ে নিয়ে যায় । এভাবে কোনো মন্তব্য ছাড়াই শীত নেমে আসে  আমরা জম্মজ্ম্মান্তরের অধিবেশন বসাই  ৩: বিশ্বাস  সম্ভাব্য পাতা গুলি ঝরে যাওয়ার আগেই   সন্ধানী শিকড় বলেছিল                               বিশ্বাস ভেঙে যেওনা  ভোরের পাখি কাকলি শুরু করেলেই  পাতা