Posts

Showing posts from December, 2019

অনিমেষ সরকারের কবিতা

Image
অনিমেষ সরকার ডুয়ার্সের চালসায় থাকেন। । জন্ম ১৩ ই ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে । ঘুরতে ভালোবাসেন তরুণ এই কবি । সম্পাদনা করেন ডুয়ার্স web নামে একটি online magazine.   কবিতায় তাঁর মতো করে একটা ভাষা তৈরি করতে চাওয়া এই কবি খুঁজে চলেছেন অহরহ । আজ রইল কবির একগুচ্ছ কবিতা (১)  অস্থায়ী মোনালিসা-কে মন্থরতার ভেতর  সম্বিৎ  ফিরে                 আসে । এ কেমন কুয়াশাছন্ন মরীচিকা মঞ্চে কাপড় শুকোচ্ছেন কবি ! পায়ে পায়ে ক্ষণস্থায়ী হয়েছে ঈশ্বর ধুলো  চাইলে           -           ফিরে যাও! যেই দেয়ালে টিকটিকি ল্যাজ নাড়ে পাখায় স্থাবরতা ,                           "অসাধু হইতে সাবধান" ওরা বলে আয়না স্বচ্ছ নয় , ও কারো হতে পারে না। স্থিতিশীল হতে শিখে যাই এই ভ্রম শুধু আমার নয় মোনালিসা... (২) অস্থায়ী মোনালিসা-কে বাতকল ঘুরছে, শীতের পোশাক পরে অনন্ত মুহূর্তে; দর্পণে ধ্বংসস্তূপ ঘাটতে ঘাটতে মাঝখানে অপরাংশে তিনটি ছায়া স্বাধীন হয়ে পড়ে                 আমার দিকে তাকাও মোনালিসা জেগে আছো ! বন্দি হয়ে ধনুকে বিষ মাখিয়ে                                                  দাও চরাচর অক্ষরে 

কার্তিক ঢকের কবিতা

Image
কার্তিক ঢক থাকেন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে। পেশায় ক্ষৌরকার। প্রতিদিন তাঁর জীবন যুদ্ধ ।তবু কবিতার প্রতি দুরন্ত টান তাঁকে আবিষ্ট করে রাখে । তিনি কবিতাকে করতে চান সময়ের উপযোগী  বা সময় উত্তীর্ণ । তাঁকে নিয়ে লেখালিখি হয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকায় । তাঁর পেশার জায়গা ঠিক রেখে কবিতা চর্চা যে কত কঠিন  এবং সেই কঠিনের পরীক্ষায় কবি কার্তিক ঢক উত্তীর্ণ । তাই  বিষ্ণুপুরে তাঁর সেলুনটি হয়ে উঠেছে কবিদের মিলন ক্ষেত্র । কবিতা পাক্ষিক সহ পশ্চিমবঙ্গের একাধিক পত্রিকায় তিনি দীর্ঘদিন লিখে চলেছেন ।  আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবির একগুচ্ছ কবিতা যা তাঁর নিজস্ব ঘরানার । 1: প্রকৃতি কোমরের দ্রাঘিমায় আটকে আছে তীব্র রোদে পোড়া চশমার লেন্স- নাভিকুন্ডের পিচ্ছিল পথ বেয়ে নেমে যেতে চায় স্নানের ঘাটে... অপরাধ বোধ নেই কোনো- শরীরের অবগাহন শরীরই তো দিতে পারে। আমি তো পুরুষ আর তুমি, পরমা প্রকৃতি 2 : কাসুন্দি মিথুনলগ্নে আধ-খোলা চাঁদ দেখা দিলে নিউটন জেগে ওঠে,বিলম্বিত আইন্সটাইন ও... প্রেম-টেম ঝরা-পাতার কাসুন্দি রতি-গন্ধেই মোমাছির তান। বায়স্কোপ বায়স্কোপ খেলা আর নেই। ন্যাকু-ঘুম ভেঙে ফেললে দেখ

পৃথা চ্যাটার্জির কবিতা

Image
পৈত্রিক বাড়ি ছিল মুর্শিদাবাদে।পড়াশোনা লালবাগ/ বহরমপুরে । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় মাস্টার্স ।  কবিতা পাক্ষিক সহ একাধিক পত্রিকায় ইতিমধ্যেই  তাঁর   লেখা প্রকাশিত হয়েছে । কাব্যের সহজতা  , সরলতাও বলা যেতে পারে  এবং সরাসরি প্রকাশ করা  - এই দুটো  কবি পৃথা চ্যাটার্জির লেখনীর বৈশিষ্ট্য । শব্দের সহজতার মধ্যে দিয়ে প্রবল অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে সক্ষম কবি। তাঁর লেখা পাঠককে অন্যমনস্ক করে তোলে অনুভূতির ঘোরে । সহজ অথচ বেশ তীব্র । প্রেম তাঁর কবিতার অন্যতম উপাদান । আজ রইল কবির একগুচ্ছ কবিতা । পাঠকের ভালো লাগবে আশা করি । 1:  বড্ড অদ্ভুত আবদার তোমাকেই  চাই। কীভাবে তা জানা নেই ,সঠিকভাবে জানতে চাই না।  অথচ পাওয়ার কী নিবিড় ইচ্ছে। ভালোবাসো ? উত্তরে স্পষ্ট বলেছিলে' জানো না'। নারী মানে নারীকে চাওয়া, ভালোবাসা আসে নি কখনো। তাহলে কী প্রেমহীন দেহ আর অযাচিত মন কী তীব্র ছিল সেই কথার দহন বিশাল হৃদয় ছিল বিঁধেছিল অনায়াসে বিষাক্ত তিরের ফলায় এখনও জীবন জুড়ে হৃদয়ক্ষরণ। 2: তোমাকে সত্যিই যদি ভালোবেসে ফেলি জীবনের নানা ছাঁদে বাঁধা সম্পর্ক সযত্নে থাক কোনো অসম্ভব ভাবনা কখনো ভাবিনি অথচ আজকাল

প্রসেনজিৎ আচার্যর কবিতা

Image
প্রসেনজিৎ আচার্য মুর্শিদাবাদের গোকর্ণ গ্রামে থাকেন।  বর্তমানে কাণ্ডারী সাহিত্য পত্রিকি , নীল দিগন্তের নীল পালক , স্বপ্নকথা সাহিত্য পত্রিকা অঙ্কুরসাহিত্য পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত আছেন।  নতুন লিখতে আসা তরুণ মুখ  , প্রসেনজিৎ আচার্যর কবিতায় ধরা পড়ে শাশ্বত চেতনার ভাব ও প্রকাশ । আজ রইল কবির একগুচ্ছ কবিতা  1: বারাঙ্গনা         বারাঙ্গনা রাত হাতছানি ডাকে                 চীবরহীন বুক আর বাঁকা সুরুগলি বেয়ে পথ হারায় যৌবন পালিত হয় নিঝুম রাতে কার্তিকের শিশির স্নাত ঘাস অশ্রু মাখে পথচলতি স্ট্রিট লাইটে হোঁচোট খায় ভুলে যায় পথ চলতে নিঃসঙ্গ রাত তখন যায় উড়ে পেঁচার বেশে হয়তো বা ইঁদুরের রূপ ধরে                কতবার মেঠোধুল মেখে ক্ষতবুকে নিমেষে হাতধরে স্ট্রিটলাইটের হলুদ আলোয় পারফিউমের রুমালী মেয়ে        আবছা বুক চীবরহীন সরল রাত তখন বারাঙ্গনা সাজে         2 : চাঁদ কথা চাঁদের জৌলুস শুঁষেছে মাছের শরীরটা, যেমন কালো রাত্রি হয়েছে পুকুরের জল৷ আর যত শ্যাওলা - মন - দূষণ গেছে আমার অবয়বে মিশে, ঘোর একটা রাত্রি শীতল পুকুরে পরিণত ; মাধ্যাকর্ষণে  মুখ থুবরে পড়ছে সাজানো হাড়গোর! নিভে যাওয়া দিনের

অনুরূপা পালচৌধুরীর কবিতা

Image
    অনুরূপা পালচৌধুরী থাকেন রানাঘাটে । ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স । অনুরূপা কবিতায় নানান চিহ্ন সংযুক্তির এক নতুন ভাষা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। কিছুটা হলেও সক্ষম হয়েছেন। তিনি কবিতা খুব বেশি দিন না লিখলেও  , তাঁর মধ্যে কবিতার প্রক্রিয়া তথা মনের ভিতর তৈরি হওয়া অদৃশ্য ছাঁকনি তাঁকে তাঁর মতো কবিতার ভাষা আনতে সাহায্য করেছে। পরাবাস্তবতা এবং জাদু-বাস্তবতা মিলে মিশে তাঁর কবিতা নিজস্ব ঘরানার ।  জিরো বাউন্ডারি WhatsApp group e  তাঁর কবিতা নিয়মিত পঠিত হয় । আজ রইল কবির একগুচ্ছ স্বতন্ত্র কবিতা                 ১.        আড়াআড়ি বৃত্তের ঘাতকমুখ    হয়তো দ্বিতল রাতের উষ্ণ পেট বেহিসাবি জোনাকির চোখ : হিসাবী জানলার ডিপোজিট এপিকিউরাস সকাল ৫ টা বেজে ৩৯ মিনিট। সব চেষ্টাই সন্ন্যাসী সন্দেহ সময় কি ঘন্টা বোঝে কেনো কিছু বলি না আরো একটু বরফবালিশ ঘনিষ্ঠতা আপনি। আমি। তুমি। জীর্ণ চতুর্ভুজ।২মিনিট বেওয়ারিশ বিরতি চুপচাপ নিঃশ্বাস জমে ওঠে কাগজেকলমে সত্যিটা বুঝি সত্যিঘুমেই ভোর জমায়                           ২.              উপোষী আয়নার পুনর্জন্ম   হয়তো বেপরোয়া নদী খুলে দিতে পারে বাষ্পীয় ভোজবায়ু এ

সায়ন সেনগুপ্তর কবিতা

Image
সায়ন সেনগুপ্ত এবারে মাধ্যমিক দেবে । সায়ন এর বাবা দূতকুমার সেনগুপ্ত  , মায়ের নাম বেবি সেনগুপ্ত । পিকনিক গার্ডেন এ বাড়ি । সায়নকে একটু support দেওয়ার জন্য  আমাদের এই প্রচেষ্টা । আজ থাকছে সায়নের তিনটি মিষ্টি লেখা । 1:  দুর্গা মাইকি যেখানেই থাকি সবে উৎসবে বাড়ি ফেরা , ছেয়ে যাওয়া হাতে পেয়ে উৎসাহে নাড়াচাড়া । কটা দিন আলাদীন প্যান্ডেলে রাতদিন , পড়ে যাওয়া আনন্দে অসুর টা পরাধীন । নিভে গেলে সব আলো জ্বলে শুধু নবমী , পরদিন জলে ভাসে বছরের দশমী ।                 2:  শিউলি তুমি শিশির সিক্ত শিউলি তুমি       প্রেমের পরশে ফুটি , স্নিগ্ধ রজনী তোমায় চুমি         দিবস দরশে লুটি ।। তোমার গন্ধে সমীর খেলে       শরৎ হিমেল হাসি, মিতালি ছন্দে ঝরতে এলে           মানব চেতনে ভাসি ।।           3 : মন তোর বেহিসেবি  মন ,           আমি ব্যস্ত কাজের ভিড় ।। অপেক্ষাতেই দাড়িয়ে দুজন               যেন ঢেউ ভাঙছে তীর ।। তোর জীবনের পটবদল,            আমার সাদামাটা রোজে ।। হারাচ্ছি-একটু করে প্রতিক্ষন !              দুজনেই ভালোবাসার                        খোঁজে ।।।