Posts

Showing posts from July, 2021

আমিনুল ইসলামের কবিতা

Image
  আমিনুল ইসলাম-এর কবিতা নতুন চিন্তাচেতনার কবিতা, নতুন চিহ্ন-প্রকরণের কবিতা। মাল্টিডিসিপ্লিনারি তাঁর ডিসকোর্স যা সর্বদা মাল্টিপল ইনটারপ্রিটেশনের সম্ভাবনা তৈরি করে। কোন একটি বিশেষ মেটাফোর-কেন্দ্রিক নয় তাঁর কবিতা। তাঁর টেক্সটের রাইজোমেটিক বা মুথাঘাসীয় স্ট্রাকচার  পাঠককে আহবান করে এক নতুন খেলার দিকে, এক নতুন সম্ভাবনাময় অর্থ নির্মাণের উল্লাসের দিকে। তাঁর টেক্সট ঊর্মিবহূল চিহ্ন-সমুদ্র। আমিনুল ইসলাম মুর্শিদাবাদ জেলায় থাকেন এবং ভুবনডাঙা নামে একটি web magazine সম্পাদনা করেন। এই সময়ের কবিতার এক স্বতন্ত্র স্বর নিয়ে কবিতা রচনা করে চলেছেন তিনি।   আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে তরুণ কবি আমিনুল ইসলামের একগুচ্ছ সিরিজ কবিতা  A ইন্টারপ্রিটেটিভ কনভারসেশন  আমিনুল ইসলাম  ১. . . দিয়ে গড়ছে সিন্ধু সব হ্যালুসিনেশন  অনেকটা হাতছানিও বলা যায় আবার পশ্চাৎপদ অনুসরণে  ১টা অলিখিত নির্ভরতা সূক্ষ্ম ভাসমান, যা গোচর হয় না~ ২. এখন ওয়াইফাই-এ নিজেকে টাঙিয়ে নিয়েছি  আঁকুশির আপগ্রেডেড ভার্সন বেশ ইউজ ফ্রেন্ডলি আম লিচু পেয়ারা যা খুশি পেড়ে ফেলা যায় ~ ৩. মৃত্যুর আ...

শ্রাবণ কয়ালের কবিতা

Image
    জন্ম: 4/5/1995 সালে বাসস্থান :দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলার অন্তর্গত লক্ষীকান্তপুর সংলগ্ন এলাকায়। সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালিখির চর্চা।প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় 'কচিপাতা' পত্রিকাতে তারপর ধীরে প্রাঙ্গণ,কবিতা কুঠির, পোস্টম্যান,অর্ক,সৃজন সাহিত্য প্রয়াস,পথচলা ফাউন্ডেশন,নবপ্রভাত ওয়েব ম্যাগাজিন,এছাড়াও কয়েকটি পেজবুক পেজে।  আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে শ্রাবণ কয়ালের একগুচ্ছ কবিতা।          (১)    অহংকার কেন!  ---যদি বলি ভালোবাসি, কি উত্তর দেবে তুমি? --না --কেন ,কালো বলে! --বলতে পারবো না --যদি বলি বিয়ে করতে চাই --কি করো কি শুনি? --ওই তো শপিংমলে জব --বাবা রাজি হবে না --তুমি? --সরকারি জব হলে চেষ্টা করতাম --আগে কি প্রেম ছিল? --না --একটা ছেলেকে যে হাত ধরে ঘুরতে দেখলাম --ওটা x --বিয়ে হলে আমি বুঝি y --হু --তুমি কি করো  --এবছর বি.এড কমপ্লিট  --চাকরি পাবে? --জানি না --আশা রাখো -না --কেন? --সরকারের যা অবস্থা --আমি পাবো কেমন করে! --জানি না --চাকরি ওয়ালা চাই কেন?  --আমি সুন্দরী তাই --রূপ চিরকাল থাকবে? --না --তবে অহংকার কে...

দেবানন্দ ভট্টাচার্যের কবিতা

Image
দেবানন্দ ভট্টাচার্য। জন্ম কলকাতায়। উনিশশো তিপ্পান্ন সালে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি একজন আঁকিয়ে।'নির্বাচিত কবিতা' সহ মুদ্রিত বই তিনটি। আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবি দেবানন্দ ভট্টাচার্যের একগুচ্ছ কবিতা।  ১।  সাক্ষাৎকার     সমুদ্রসফর শেষে আপনার    প্রথম সাক্ষাৎকারে আমি-ই   ছিলাম। নির্ধারিত সময়ের  মধ্যে কথা শেষ করলেন।  খুব বেশি বলার সুযোগ   ছিল না আমার।   অথচ সমুদ্র নিয়ে অসীম জিজ্ঞাসা।  আপনি সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।    সাগরের নুনজল আর  নোনা হাওয়ায় ঘুরে গায়ে   রং তো কালো হবার কথা---- অথচ আপনার রং চটেনি চোখের কোলে নীলচে আভা   তরঙ্গভঙ্গিল !   আগের মতো সে-ই অসহিষ্ণু চাউনি আর নেই বরং স্নিগ্ধ মায়াবী দৃষ্টি !  সিন্ধুপাখির ডানার গন্ধ পেলাম। আপনি কি সমুদ্রের ফেনা থেকে নুন আলাদা করা শিখেছেন ?  জিজ্ঞাসা করা সম্ভব হয়নি  ২। জলমগ্নতা   ধীরে ধীরে জলের নিচে তলিয়ে   গেলাম। বুকের ওপর জল। তারপর শূন্যতা। মেঘ রোদ্দুর ও   আকাশ। পিঠের নিচে পল...

বিশ্বজিৎ সরকারের কবিতা

Image
  নদীয়া জেলার করিমপুর থানার অন্তর্গত নাজিরপুর গ্রামে বাড়ি।  বি এড সহ বাংলায় এম এ।  কবিতা লিখছে বেশ কয়েক বছর  , কিন্তু জিরো বাউন্ডারি গ্রুপে এসে নতুন ভাবে নিজেকে গড়ে তুলেছে । ইদানীং বেশ সুন্দর লিখছে ।  আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে এই তরুণের একগুচ্ছ কবিতা।   ১:  নিরুত্তর এমন তো নাও হতে পারে  তুমি যা ভাবছো সম্পূর্ণ অর্থহীন হতে পারে তীরের ফলায় রক্ত বিষাদ নয়, আনন্দ-উল্লাসের!  গভীর রাতে যে মেয়েটি একা একা কাঁদত, সেও শিখে গেছে কীভাবে  ভালো থাকা যায়। বুকের মাঝেতে যে জল জমে ছিল  হাড় ভাঙা শীতে তা পাথর, বয়ে চলা ক্লান্ত বাতাসে ঘুম ভাঙে শিশুটির।  অথচ শিশুর মুখে হাসি নেই আছে শুধু করুণ আর্তি!  বহু দূর যখন উড়ে যায় পাখিটি ভুলে গেছে পাখি তার বাসাটি। অন্ধকার নেমে আসে  জানালার ফাঁক দিয়ে সামনে ভেসে বেড়ায় নিরুত্তর ছবি! ২: অবকাশ অন্তহীন আকাশ মেঘ-রোদ্দুর এলোপাথাড়ি বৃষ্টি মুখ ছুঁয়ে যায়  তীরের বুকে ঘুমিয়ে থাকে জোনাকি!  পাহাড়ের দীর্ঘশ্বাসে মৌন হয় মন শরীরের হাড়গুলো জড়ো হতে থাকে  কালো মেঘে মুখ ঢেকে যায়!...

মহম্মদ আফজলের কবিতা

Image
  মহম্মদ আফজল,জন্ম ১৯৯৪ সালের ২৮ শে মার্চ,পুরুলিয়া-ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী এক প্রত্যন্ত গ্রামে থাকেন,যেখানে বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল নৌকা। কৈশোরে পিতৃবিয়োগ হয় তরুণ এই কবির। তাই সংসারের বোঝা মাথায় নিতে অল্প বয়সেই পৈতৃক কাপড়ের দোকানে বসেন। কিন্তু কবিত্ব তাঁর রক্তে,তিনি স্বভাবকবি,তাই দোকানে খরিদ্দার সামলানোর পাশাপাশি ফাঁক পেলেই কবিতার খাতা নিয়ে বসে পড়েন।৷ এলাকায় সাঁওতাল ও নিম্ন বর্গের হিন্দু জনজাতির বাস,তাঁরা উচ্চমাধ্যমিকের পর যোগাযোগ না থাকার জন্য কলেজে যেতে পারে না,বিশেষ করে মেয়েরা,নারী শিক্ষা সচেতন এই কবি এলাকার নদীতে সেতুর জন্যও আন্দোলন করেন। পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম যেখানে সাহিত্য চর্চা প্রায় নেই বললেই চলে সেখানে তিনি নিজের আলোতেই ভাস্বর হয়ে জ্বলছেন একা একা। বেশ কিছু পত্র পত্রিকায় তাঁর লেখা ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে তরুণ কবি মহম্মদ আফজলের একগুচ্ছ কবিতা।   (১)ছেঁড়া বৃত্ত পোশাকের বাকল ছাড়িয়ে অলৌকিক অর্কিডরা বাতাসে দুলছে ঠিক নখের সঙ্গে মিলে যাবে কালির ফোঁটা! সূক্ষ্ম কিছু বিন্দু, চেহারায় অপরিমেয়তা জয় পরাজয়ের নদী ব...

সোমিনা ইয়াসমিনের কবিতা

Image
সোমিনা ইয়াসমিন মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা । কবিতা লিখছে অনেক দিন হল । তবু মাঝে মাঝে বিরতি পড়ে লেখায়। এক সময় জিরো বাউন্ডারির সাথে যুক্ত ছিল । পুনরায় ফিরে এসেছে লেখায়।  আজ একক উদযাপন বিভাগে থাকছে সোমিনার পাঁচটি কবিতা  (১) হিউম্যান রোবট  ডেথ সি'র  ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য্য যদি উপভোগ করতেই হয় তবে তার শান্ত ঢেউয়ে জীবন্ত ফসিলের তরিকায় নিজেকে মানিয়ে নেওয়াই ভবিষ্যৎ।  যতখানি উত্তাপে ভেঙে যায় দেহের অনুপরিমান সংযম,ওলট-পালট হয় দেহস্থ প্লেট নগ্ন জীবন -চরিত্র অথবা কোনো প্রণয়ী মুখের মুখোশ।    বরং তারচেয়ে শ্রেষ্ঠ অতি-স্বল্পত্তাপে মনস্তাত্তিক সত্তাকে চুবিয়ে উঠে আসুক কিছু মন্থিত আবেগ। আবিস্কৃত হোক কিছু অভেদ্য মানসিক স্তর,যার মনোনয়ন পত্র হবে সুগভীর অথচ স্বচ্ছ। থাকবে স্বাচ্ছন্দবোধ,যা নিমেষেই পড়ে নিতে পারে অপ্রকাশিত প্রণয়ী ভাষা। স্থির অথচ আনুবিক্ষনিক দৃষ্টির প্রেক্ষাপটে মিলিয়ে নেবে জীবনের বত্রিশ আনা। মাদকাসক্তের মতো  অবলীলায় শুষে নেবে স্বর্গীয় নির্যাসটুকু। অন্তত সে মুহুর্তে যেন ঝরে যায় প্রাপ্তির সবটুকু অশ্রু।         (২) সীমানা  দীর্ঘদিনের সুপ্ত...

ভবেশ বসুর কবিতা

Image
   কবি সাহিত্যক তথা প্রাবন্ধিক , ভবেশ বসু এই সময়ের এক উল্লেখযোগ্য নাম । তাঁর সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি কিছু বলার থাকে । আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবির একগুচ্ছ কবিতা।                             (১)  জ্ঞান                             জ্ঞানের বেশি কথা নেই-----যে জ্ঞানী সে বকুল ফুলের মতো অথবা কাঁচ পুতুল জল-স্রোত বড় বেশি কাঁপে------সাঁতার কাটতে গিয়েও পাড় ভাঙে শব্দ করে অস্তিত্ব নিজের মনে হলেই তখন আমার অবয়বে আমি হাসি সন্তান সবসময় অচেনা ভূখণ্ড------খলবল করে-----হাততালি বাহবা নেয়-----মায়ের ভূ-ভূমি চেনা-----দুপুর গড়ালেও পাহাড় হয়ে আছে তার সময় আয়নায় চোখ না রেখেও দেখা যায় কে কোথায় ঘুমায়। কয়েক যোজন উঁচুতে উঠে----শব্দ না করেও তবু চিল দেখে নেয় তার আহার নিঃশ্বাস ঠিক হয়ে নিয়ে আসে কোথায় অক্ষর এবং সকল শব্দের বাহার আমি দেখেছি ডাক দিয়ে গেলেও অনেকেই আসে না-----আদেশ শোনায় বলে আবার উর্বর শরীর খুলে না দিলেও খ্রীষ্...