Posts

Showing posts from August, 2020

মতিউল ইসলামের কবিতা

Image
পরিচিতি -মতিউল ইসলাম,জন্ম মুর্শিদাবাদের খাঁড়েরা গ্রামে,পিতা নুরুল ইসলাম মা বেগম নসিবা ইসলাম,পেশা শিক্ষকতা,প্রকাশিত কাব্য একমুঠো রোদ্দুর, বাউলের একতারা,কিংবা ঝুমবৃষ্টি,এবং মরিচিকা বা স্বপ্ন। আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে মতিউল ইসলামের একগুচ্ছ কবিতা।   ১.অরাজনৈতিক ভোর জাগলেই স্বপ্ন গুলো ফুল হয়ে যায়,লাল,নীল,বেগুনী। কিছু সাদা ফুলও থাকে শহীদবেদী আলোকিত করার জন্য। আলো আর অন্ধকারের মাঝে কিছু সমঝোতা লেনদেন মিটিয়ে ফেলা যায় কিছু দুঃস্বপ্ন মুছে ফেলার জন্য, স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্নের মাঝে ভাঙ্গাসেতুর মতো দোল খায় কিছু মায়াবী বিকেল, তারা স্বপ্ন না ফুল হতে চায় নিজেই বোঝে না। তারপর হঠাৎই লকডাউনে সব বন্ধ স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ফুলওয়ালি মুখে মাস্ক দিয়ে নামতা পড়ে, কিন্তু মজাটা হলো একের ঘরই আওড়ে যেতে হয় যাতে সংখ্যা গুলো একই থাকে। চাল আর ডাল অর্থাৎ শুধু খিচুড়ি, অভিধান থেকে আস্তে আস্তে মুছে যাচ্ছে বেশ কিছু শব্দ। ২.মরাহাতি এখন মেঘ আসলেই বজ্রপাত হয় ঝলসানো মাংসের মতো পড়ে থাকে নীথর শরীর মাঠে ময়দানে যেন মৃত্যুর মড়ক যেন ভোজ বাড়ির এঁটোপাতা শুধু বুভুক্কু কুকুরের বদলে কিছু মৃত কাক তাদের ছবি আঁকেন না কাকশিল্পী তি

চিরঞ্জিৎ বৈরাগীর কবিতা

Image
কবি পরিচিতি: কবি: চিরঞ্জিৎ বৈরাগী। জন্ম: ১৯৯১ সালের ১লা জুলাই, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার অন্তর্গত যাদবপুর গ্ৰামে। বাবা: শংকর বৈরাগী (পেশায় ক্ষুদ্র মুদি ব্যবসায়ী)। মা: শান্তিলতা বৈরাগী(গৃহকর্মী)। দিদি: সোমা বৈরাগী(বিবাহিত)। শিক্ষা: গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজ থেকে যথাক্রমে- বাংলা সাহিত্যে এম. এ (২০১৪) ও বি.এড (২০১৭) পাস। বর্তমানে জিরো বাউন্ডারিসহ একাধিক পত্রিকায় লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত আছেন। প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: "আকাশ উঠেছে শূন্যে" আজ  জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে চিরঞ্জিৎ বৈরাগীর একগুচ্ছ কবিতা।  ১.নিট ফল জিরো ১.কথা রাখেনি, কত প্রশ্ন প্রশ্নাতীত হিম-সাগর থেকে কাস্পিয়ান গঙ্গাসাগরে যুগপৎ মাশুল গুনছে কপালের ঘাম লেফ্ট ফরোয়ার্ড, লিফ্টলেট ভাঁজ ২.আগে-পরে নতুন বিজ্ঞাপন, তাক করে অভিজাত কাস্টমার পারফিউমে মনো-হিরণ কোটেট বুট, মডার্ন কালচার পুরানো, টু জিবি মেমরি রিলেসনশিট বিটুইন ৩.যো জিতেগা বহি সিকন্দার, মেকআপ অচেনা লিপিস্টিক পাওয়ার প্রিপেয়ার ইয়োর হোয়াইট টাস গেম ওভার নিউ কামার ৫.পুরুষ নামে চাবি, তালা চায় কম কিংবা দামি মানি মার্কের্টিং বিজনেস-ইজম থানডার প্রুফ 'হ'

রুবি রায়ের কবিতা

Image
মধ্যমগ্রাম নিবাসী রুবি রায়  , বাংলায় অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করেছে । প্রথম থেকেই রুবি ভিন্ন ঘরানার  লিখতে অভ্যস্ত , তার কবিতার শব্দ চয়ন এবং ব্যবহার নজর কাড়ে।  আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে তরুণ এই কবির একগুচ্ছ ভিন্ন স্বাদের কবিতা।  ১: আর্যভট্টের সাথে থাকি :- আর্যভট্ট! আজকাল দুয়ারে শুধু তোমারই বৃত্তানুপ্রাস। রাতের স্ফুটনাঙ্কে " অরন্যের অধিকার " পারেনা ছায়া স্মৃতি ভোলাতে । নাভিবিন্দু থেকে বেরনো সেলাই রেখাংশগুলি  এক একটি মদন বানের সংজ্ঞা । পাস্ট কনটিনিউয়াস রোদে গলে উপছে পড়ে  রাতে জমে চোখে । আর্যভট্ট ! মুক্তিবেগ ঘটবে না ? দরজাবন্ধ আম মাখা গরমে আমার  তর্জনী ও মধ্যমার কার্বন ডাই অক্সাইড  পারেনা -- ঘুলঘুলির সংসার ভেঙে দিতে । আর্যভট্ট ! আমার লাশ সৎকারের অধিকরণ কারক  খুজে পাচ্ছে না । অগত্যা , ছোট্ট চারাগাছটার শিকড়  ধরে শুয়ে পড়েছি ।                                   ২: অতএব , সমাধান      ঐ দেখো ....         পৃথিবীর কন্ঠনালী বেয়ে নেমে যাচ্ছে          অট্টহাস্যের রোল । ভ্যারাইটিস হাস্যমুখ ... ইমোজির পুঁটুলিতে  বেঁধে সেন্ড হচ্ছে স্ক্রিন টু স্ক্রিন । মৌরি চিবানো এরোটিক ভাবনায় ,

রুমা ঢ্যাং অধিকারীর কবিতা

Image
রুমা ঢ্যাং অধিকারী এই সময়ের বাংলা কবিতার এক পরিচিত নাম।  থাকেন হাওড়ার শালকিয়ায়। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থ,  লিখছেন বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়।  জিরো বাউন্ডারির সম্পাদক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য।   আজ একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবির একগুচ্ছ সিরিজ কবিতা  যা সত্যিই ভিন্ন মাত্রার।  জন্মাবধি  ১/  প্রিয় হয়ে ওঠার সবকটা নির্বাচনী পালক উড়িয়ে নিয়ে গেছে জন্মের আহ্লাদ। কথা বলছি বেঁচে থাকার স্রোতবাক্যে সেখানে পালক এক বিচ্ছেদের নামান্তর। যাকে অনন্ত বিস্তারিত ভেবে  চোখ থেকে সরিয়ে রেখেছি শালুকদুহিতা ২/  আমি ঋজুকায় ঘাস, বিদুরের তণ্ডুলকণা হাতে ছুটে চলেছি জড়পিণ্ড হাতে দেবতাদের হৃৎপিণ্ডে বেঁধে রাখছি ঢিল ৩/  স্থবির এই দিন এলে কলরবহীন শোকের মতো পরিবাহিত সংযম সমাপ্তির কাছে একদিন চক্কর টানা শেষ হলে মানুষের কাছে এসে দাঁড়াব  কিংবা মেঘের কাছাকাছি... ৪/  সরলরেখার পিঠের ওপর শুয়ে থেকে মৃগতৃষ্ণায় ভেসে যায় রঙিন উৎসবের ঘোড়া ও                 পালনীয় জীবনের অনুসঙ্গ প্রত্যেকবার উচ্ছ্বাসের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে একটি তালগাছ  কে কবে জেনেছে মনের কাছাকাছি ফুঁ দিতে দিতে চিৎকার থেকে জন্ম নিয়েছে  দূরের প্রার্থনা সভা  ৫/  হাঁ

কবিতা-গ্রন্থ আলোচনা , বিশ্বজিৎ দাস

Image
বিশ্বজিৎ দাস এই সময়ের বাংলা কবিতার এক তরুণ কবি এবং একটি পরিচিত নাম।  ছায়ারোদ - নামে একটি ই-ম্যাগাজিন সম্পাদনা করছেন ।  আজ বিশ্বজিৎ দাসের কলমে উঠে আসা কবি আফজল আলির একটি কাব্যগ্রন্থ আলোচনা।  ভালোবাসার দরবার থেকে কবিকে দেখি _________________________________________ কবিতাগ্রন্থ : মোঘল দরবার থেকে          কবি : আফজল আলি "হরিপাল লোকাল থেকে ধনেখালি হল্ট" বাংলা কবিতার এক অন্য আঁতুড়ঘর। "ওই মনকেমনের গল্প শুনে" আমিও "ঘুমের মধ্যে নীলপরিদের আনাগোনা" দেখি। কবি আফজল আলি রূপকথাদের ভিড়ে দাঁড়িয়ে তাই বলেন, "তারাদের দূরাভাষে সাজাবো পৃথিবীর রূপ; তুমি থাকো ছাই না থাকো।" স্বপ্নের ভিতরে দেখেন, "সেই মুঘল দরবার থেকে তুমি যেভাবে নেমে আসছো, আমার যান বলতে এই টু-হুইলার।" এক দৃশ্যের থেকে অন্য দৃশ্যের মধ্যে অনায়াসে তাঁর যাতায়াত, "আমার নিয়তির উঠোনে সামঞ্জস্যহীন হলুদচোয়ানো নাচ/ আমি বলছি না যে সাদা পাঁজরের উপর গোত্রহীন নামের/ রেখাপাতগুলো শুধু স্বপ্ন হয়ে উড়ে যেতে চায়।" অস্তিত্বের খুব কাছে বসে তিনি বলেন, "শ্বাসকষ্টে বুকের ভিতর বাতি নিভছে এত তীব্র কষ্ট আম

আমিনা তাবাসসুমের অণুকবিতা

Image
আমিনা তাবাসসুম, মুর্শিদাবাদের এক প্রত্যন্ত গ্রাম গঙ্গাধারীতেই থাকে,  জন্ম সেখানেই।  ছোট বেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি তার অনুরাগ ছিল ।  বাংলা অনার্স নিয়েই পড়াশোনা।  লেখালিখি করে মাঝে মাঝে, তবে পড়তেই বেশি ভালোবসে সে, বিশেষ করে উপন্যাস, গোয়েন্দা গল্প,নাটক। আবৃত্তিও করে ভালো। তার প্রথম কবিতা "তুমি যদি বলো" ভাষা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এরপর সনেট পাবলিকেশন থেকে "তোর ঠোঁটে রোদ্দুরে" সংকলনে এক ডজন কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। পরবর্তীকালে সনেট পাবলিকেশন থেকে "আবেগের ঠোঁট" সংকলন এর সম্পাদিকার কাজ করেছে। এছাড়াও কাচের জানালা সংকলন,ডহর পত্রিকা, চাতক পত্রিকা, আয়না কবি, কচি পাতা, আগডুম বাগডুম, কিশলয় পত্রিকা থেকেও তার  কবিতা প্রকাশ পেয়েছে। আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে আমিনা তাবাসসুম এর অণু কবিতা সিরিজ। মেঘেদের দিনলিপি  নামে ।  মেঘেদের দিনলিপি                ১ আলতা মেখে ভিজছে শহর কবিতাদের মেহফিলে তুমি তখন ঠোঁটের বশে ভীষণ রকম আটকে ছিলে।                ২  গল্প কত লিখবে প্রেমিক বাঁচার মত রসদ কই ভালবাসার অভিধানে সবই কেবল শূন্যই...                ৩  শরীর ভোগের ইচ্ছে

সবর্ণা চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা

Image
শূন্য দশকের কবি সবর্ণা চট্টোপাধ্যায় । জন্ম ২০ ই সেপ্টেম্বর,  ১৯৮৪  চন্দননগরে ।  সেখানেই বড়ো হওয়া । বিবাহ সূত্রে বর্তমানে কলকাতায় বাস । ছোট থেকেই কবিতা লেখার প্রতি ঝোঁক।  তাঁর কবিতার ভাষায় নিজস্বতার ছাপ স্পষ্ট,  কবিতার ভাষা সহজ সরল হলেও কাব্যের মায়াবী আলো এবং রহস্যময়তা তাঁর কবিতাকে এক্কেবারে স্বতন্ত্র করে রাখে যা পাঠকের হৃদয়কে আবিষ্ট করতে পারে।  কবি গদ্য কবিতার পাশাপাশি ছন্দে লিখতেও সমান পারদর্শী  এবং নিজের ভালোবাসায় লিখে চলেছেন অনেক অনেক কবিতা।  ইতিমধ্যেই সিগনেট  প্রকাশ পেয়েছে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ-চারদেওয়ালি চুপকথারা  ২০১৮ সালে । বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় , দৈনিক এবং ওয়েব ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে তাঁর কবিতা।  এছাড়াও প্রবন্ধ লেখেন বিভিন্ন বিষয়ে,  রয়েছে কিশোর সাহিত্য সম্পর্কে আগ্রহ।  বাংলা কবিতায় সবর্ণা চট্যোপাধ্যায় হয়ে উঠেছে এক পরিচিত নাম। আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে তরুণ এই কবির পাঁচটি কবিতা । ১: বাঁচিয়ে রেখেছ বসন্ত হাওয়ার মতো বাঁচিয়ে রেখেছ বসন্ত হাওয়ার মতো পিঠের ওপর হেসে ওঠা চুল তোমার আঙুলে জড়িয়ে দিচ্ছে ঘুমের অনুভূতি। কল্পনার রাস্তা খুলে যায় রোদে চকচক করে বালি ভিজে