Posts

Showing posts from May, 2020

মন্দিরা ঘোষের কবিতা

Image
 কবি পরিচিতিঃ মন্দিরা ঘোষ জন্ম বর্ধমান জেলায় এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে।শৈশব  থেকেই যৌথপরিবার ও সাহিত্য   আবহে বেড়ে ওঠা।প্রকৃতির সাথে নিবিড় যোগাযোগ ও কবিতার লালন তখন থেকেই।পড়াশোনা বোলপুর ও পরে বর্ধমানে। বর্তমানে বিবাহসূত্রে  হাওড়ার শিবপুরে বসবাস। বিভিন্ন  পত্রপত্রিকা,  লিটিল ম্যাগাজিনে ও ওয়েব ম্যাগাজিনে পরিচিত মুখ। তিনটি কাব্যগ্রন্থ ও দুটি সংকলন রয়েছে। কাব্যগ্রন্থ গুলি হলঃজ্যোৎস্নাশরীরের ছবি,মিশুক শব্দের মলাট ও অম্বালিকার কিশোরীগন্ধ। আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবির একগুচ্ছ কবিতা ১ : লকডাউনের পাতা থেকেঃ ছবি রোদ আর ছায়ার মাঝের ফাঁক থেকে              উঠে আসছে                     হতাশ সকালের মুখ টুকরো টুকরো মানুষ হাঁটু মুড়ে আছে  ছায়ার অন্ধকারে নৌকোঘরে কোনো ভোর আঁকা নেই গাছের অনুভূমিক ডালপালা ডুবে যাচ্ছে গ্রীষ্মের আগুন নাভিতে ফুলের শরীরে          সংগীত  নেই আর অদূরে  নতজানু পৃথিবী ভুল রা...

হরিৎ বন্দোপাধ্যায়ের কবিতা

Image
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়           জন্ম ১৯৬৭ সালের ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার ধনিয়াখালি গ্রামে। লেখালিখির শুরু খুব ছোটবেলা থেকেই। পেশায় গৃহশিক্ষক হলেও সাহিত্যই চব্বিশ ঘণ্টার ধ্যানজ্ঞান। আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবির একই শিরোনামে  একগুচ্ছ কবিতা মধ্যরাতের সংলাপ ( নয় ) কত যে প্রশ্ন করি, কোথাও তো একটা দাঁড়াতেই হয়, ঠিক সেখান থেকেই জেনে নেওয়া নিজের অবস্থান, কতটা হেঁটেছি, বাড়ির চৌকাঠে দাঁড়িয়ে যে প্রস্তুতি নিয়েছি তার ঠিক কতটা কাজে লাগাতে পেরেছি, আমার বিশ্বাসের বিস্তার কতদূর পর্যন্ত নিজস্ব মেরুদণ্ডে বিশ্বাসী থেকেছে, এসবই কথাতে উঠে আসে, আমার সামনে সর্বদা আমি এসেই দাঁড়াই, তাই এসব প্রশ্নের জাল বিস্তার আমাকে ঘিরেই, প্রশ্নের হাত ধরেই পায়ের তলার মাটি আস্তে আস্তে শক্ত হয়, প্রশ্নই তো উত্তরের ছুঁচালো ঠাণ্ডা বাতাস, যেকোনো দিক থেকে আমাকে ফালাফালা করে চিরে দেয় ( দশ ) উঠোন পরিষ্কার না করে আমি এখন আকাশ পরিষ্কারের জন্যে ঝাঁটা ধরেছি, অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায় আমার উঠোন, কত কত মানুষের পায়ের ছাপ, মানুষ ছাড়া আরও কিছু কিছু অন্য...

অর্পিতা দাশগুপ্তর কবিতা

Image
অর্পিতা দাশগুপ্ত থাকেন কলকাতায়। পেশায় গৃহিণী এবং সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগে  post graduate. অর্পিতার লেখা বেশ শক্তিশালী।  ওর লেখায় মায়াবী আদিমতা লুকিয়ে থাকে যা তৈরি করে এক গহীন রহস্যময়তা। আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবির একগুচ্ছ কবিতা। ১ : নার্সিসাস ঠোঁট দেখলেই বুঝতে পারি কখন ঠোকরাতে চাও ইচ্ছে করে সরে আসি কিন্তু লোভ হয় বড় লোভ হয় নার্সিসাস ! বার বার রক্তাক্ত হতে হতেও কি এক মোহাচ্ছন্নতায় ....... ঠোঁট দেখলে বুঝতে পারি কখন নিজেকেই শেষ করে দিতে চাও আদরে আদরে বড় ঘৃণা হয় ! তবু কি বশ্যতায় তোমার সামনে আয়না ধরে থাকি ! ঠোঁট দেখলে বুঝতে পারি বিষে উন্মুখ হয়ে আছো আনখশির ! তবু কি অনিবার্যতায় ..... নার্সিসাস ! তোমার কাছেই চাই শেষ চুম্বন ! ২ : অমানবী আবছা দেখতে পাচ্ছি তোমার বাড়িটার ভগ্ন দেহে বাসা বাঁধছে এক ছায়ামানুষ ঝুঁকে আসা চিলেকোঠায় মাকড়সার ঝুলের মত সে বিস্তার করছে নিজেকে  ! তোমার সিগারেট খাওয়ার ধরণ থেকে সামান্য কুঁজো হয়ে খবরের কাগজ কুড়িয়ে নেওয়া সবই শিখে নিচ্ছে একে একে শিখে নিচ্ছে মুদ্রাদোষ , পরকীয়া প্রেম ও প্রেমহীনতার মধ্যে অবা...

সবর্ণা চট্যোপাধ্যায়ের কবিতা

Image
খুব দ্রুত উঠে আসা এই সময়ের এক মুখ সবর্না চট্যোপাধ্যায় । তরুণ এই কবির কবিতার মধ্যে শব্দ চয়নের দারুণ নিজস্বতা আছে এবং সেই সঙ্গে কবিতার মধ্যে থাকে অদ্ভুত মায়াবী কুহেলিকা  ,  অথচ শব্দ ব্যবহার তেমনই সাবলীল । প্রায় সমস্ত প্রথম শ্রেণীর পত্রিকায় লিখছেন কবি । 2018 সালে  সিগনেট প্রেস থেকে প্রকাশিত তাঁর কাব্যগ্রন্থের নাম  -চারদেওয়ালি চুপকথারা  । জিরো বাউন্ডারি গ্রুপের সাথে জড়িয়ে থাকা এই কবি তাঁর লেখাকে দিন দিন ক্ষুরধার করে তুলছেন। আজ রইল কবির একগুচ্ছ কবিতা । পাঠকের ভালো লাগবে অবশ্যই। ১: একটা ভিডিও কলিং বিষণ্নতার নীচে টলমল করছে জল তখনই ফোনটা এল। হঠাৎ ছিনিয়ে নিয়ে গেলে ইহলোক! দুমড়ানো বাক্সের ভেতর রাখা কাগজ উই ধরা ভ্যাপসা দেয়াল পুরোনো হয়ে যাওয়ার যে কী ভীষন এক গন্ধ আছে, টের পাচ্ছি চুপিচুপি। ফোনটা ঢুকে পড়ল আলো নিয়ে। ধুয়ে মুছে যাচ্ছে ধুলো। ভেসে যাচ্ছে ঢেউ ঠোঁট ছুঁয়ে আসা এক একটা শব্দ উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে নিশ্চিত জ্যোৎস্নার কাছে। কোন ইহলোক নেই। অপরাধ নেই। দুজনে শুধু সাঁতরে চলেছি দিগভ্রান্তের মতো খুলে যাচ্ছে একটা করে লোহার শেকল একএকটা বন্ধ দরজা আর আমরা পেরিয়ে ...

এ এস এম আবদুল্লাহ র কবিতা

Image
নাম এ এস এম আব্দুল্লাহ। পত্র পত্রিকায় এই নামেই লেখা প্রকাশিত হয়। প্রকৃত নাম মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মন্ডল।  পেশায় শিক্ষক।  এখনো কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি । তবে আগামী দিনে নিশ্চয় হবে । নতুন প্রতিভা খুঁজে তুলে ধরাই তো জিরো বাউন্ডারির কাজ । আজ একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবির একগুচ্ছ কবিতা  , যা পাঠকের দৃষ্টি টানবেই। ১: ক্ষয় দেহের প্রধান কার্যালয় বিভ্রান্ত বলে শঙ্কিত হই কারণ, তখনই দুই ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে নেমে আসে অপরিমিত আবর্জনা। বাকি জীবন অন্ধকারে হাঁটানোর জন্য অস্থিহীন অঙ্গ সঞ্চালিত হয় প্রযুক্তির ফলকে। নাম-ঠিকানা পাশ করে হাজারো বিদগ্ধ জন যুগের তালে ছোটৈ নৈশ উল্কার মতো অযথা উপমায় পেট ভরে কালের জনতার অচেনা স্থলে দৃশ্যমান হয় লজ্জার জলজ স্বর। আগুন আর স্বপ্ন নিয়ে ভাসমান দাসত্ব বন্ধক রাখে শৃঙ্গ অর্থে কিংবা অনর্থের মোহে তারপর ক্লান্তিতে হিসেবের খাতা খোলে তখন হারিয়ে যায় প্রথম যৌবন, সকালের রোদ্দুর। ২: শিরোনাম অভিধান খুলে শব্দ খু্ঁজি অবিরাম সব ঋতুর নির্যাস নিয়ে গদ্যময় কাব্যের অবগুণ্ঠন যদি খোলা হয়, কী হবে আমার কবিতার শিরোনাম? অমাবস্যা পাথরের পাঁ...

সুলগ্না রায়ের কবিতা

Image
লেখক পরিচিতি-কবি সুলগ্না রায়ের জন্ম ১৯৯২ সালে ভারতের কলকাতা মহানগরীর নিকটবর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়,কাঁটাতারের বিভেদ অতিক্রম করে  একুশের রক্তকমল বাংলাদেশের সাথে সখ্যতা স্থাপনের ইচ্ছে বহুদিনের,লেখিকার প্রথম প্রকাশিত যৌথ কাব্যগ্রন্থ "হৃদয়ের ক্যানভাস" একুশের বইমেলা,সাল ২০১৭;এছাড়া ও দীর্ঘদিন তিনি প্রচ্ছদ শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন,বর্তমানে লেখিকা নিজ জেলায় একটি ইংরিজী মাধ্যম বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা পদে কর্মরত আছেন৷ আজকের  একক উদযাপনে থাকছে  সুলগ্না  রায়ের  একগুচ্ছ কবিতা ৷ ১: আমার শহর এখন শহরের বিকেলে আর গোলাপী রোদ পড়েনা, জীবনানন্দ চলে গিয়েছে আজ প্রায় বহুকাল নলবন,ভিক্টোরিয়ার বেঞ্চ ছেড়েছে প্রেম প্রেম খেলা, হুগলি সেতুর আলোকমালা ডুবেছে গঙ্গার অন্তঃজলে নন্দন,স্ব ভূমির আড়ালে আঁতেল আর কেউ থাকেনা, উঁচু উঁচু সব বাড়ির থেকে আলোর রেশ মুছে যায় এককদিন এককরাতের মহোৎসবে, আর অন্যদিকে শহর জুড়ে কেবল ফেস্টুন সমাহার দাদাদেরও আর দেখিনা কাঁধে কিট নিয়ে মাঠে যেতে, এখন আর শহরে আসেনা কাশ্মীরি ফেরিওয়ালাদের দল রাঙা বেলুন আর ট্রাম লাইনগুলো এখনো বাসা বাঁধেনি, শহরের দেওয়ালে লেখা হয়...

অমূল্য রতন মালের কবিতা

Image
পরিচিতি : নাম অমূল্য রতন মাল l পিতা ,সদানন্দ মাল l বীরভূম জেলার মাড়গ্রাম থানা অধীনস্ত তপশিলি অধ্যুষিত ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ছেলে l জন্ম 1974সালে l বর্তমানে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাহী সহায়ক পদে কর্মরত l নেশা -বই পড়া ,লেখালেখি ,আঁকা l জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন লিটিল ম্যাগাজিনের সাথে যুক্ত l রোদ্দুর ষান্মাসিক পত্রিকার সহ সম্পাদক l এখন পর্যন্ত প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ দুটি l তবুও কবিতা ডাকে (2016) এবং আমন্ত্রণ (2017) l আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে কবি অমূল্য রতন মালের একগুচ্ছ কবিতা ১: দান আমাকে দিয়েছিল আমার পূর্বপুরুষ তোমাদেরকে তাইই দিলাম l সযত্নে রেখে দিও উত্তরপুরুষের জন্য l এখন চরিত্র নির্মাণ বড়ই জরুরি চায় স্বপ্নের উপর একটা শক্ত ভিত নাও ,আঁচল পাতো ঋজু মেরুদণ্ডের জন্যে এক খাবলা দধীচির অস্তি গুঁড়ো দিলাম l ২: ভিক্ষা কবিতা আমি তোমার কাছে নতজানু প্রেম ভিক্ষা দাও l সিরিয়া লেবানন কিংবা বাগদাদের আতঙ্কিত সূর্য নয় ,আমাকে দাও উগান্ডা নয়তো মাসাইমারার বন্য চাঁদ l কবিতা ,আর রক্ত ঘাম নয় একটা মোমবাতি মন দাও l ৩: বিশেষ তৃষ্ণা তৃষ্ণা ,একটু থাম পোশা...

সাহিন আক্তার কারিকরের কবিতা

Image
সাহিন আক্তার কারিকর , পিতা মোস্তাফা কারিকর , মাতা জাহিরা বিবি । টাকি গভঃ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।  উত্তর 24 পরগণার হিঙ্গলগঞ্জ থানায় বাড়ি।  মূলত জিরো বাউন্ডারি WhatsApp group থেকেই কবিতা লেখার উত্থান।  সহজ সরল ভাষায় অনুভূতি প্রবণ কবিতা হৃদয়ের অন্দরমহলে তৈরি করে আবেগ । এই হল সাহিনের কবিতা। আজ জিরো বাউন্ডারির একক উদযাপন বিভাগে থাকছে তরুণ এই কবির একগুচ্ছ কবিতা ১ : অসুখি শহর লজ্জাবতী হয়ে উঠছে হোমযজ্ঞ করে সবল করা হল ৯:৩০...                                                    বেলা আর অবেলাকে নিয়ে জানা নম্বরের ব্যস্তনুবাদ, উনুন জ্বলচ্ছে তো...? হিসাব হল চাল- গম - আটা - তেল - আলু- পেঁয়াজ ঝলকে ঝলকে ঝলসে উঠছে মোবাইল ফ্লাস।             ... ভোটের স্লিপ প্রতিটি ঘরে ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুত, শুধু ত্রাণ এল না!                           ...